জৈনুদ্দিন আহমদ

বিহারের নায়েব-এ-নাজিম ও নবাব সিরাজউদ্দৌলার পিতা

জৈনুদ্দিন আহমদ ছিলেন বিহারের "নায়েব-এ-নাজিম" (প্রশাসক) এবং বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার পিতা। তিনি ছিলেন বাংলার নবাব আলীবর্দী খানের ভ্রাতুষ্পুত্র এবং জামাতা।[১]

জৈনুদ্দিন আহমদ
খান
বিহারের নায়েব-এ-নাযিম
কাজের মেয়াদ
১৭৪০[১] – ২৯ ফেব্রুয়ারি ১৭৪৮[১]
সার্বভৌম শাসকআলীবর্দী খান
উত্তরসূরীসিরাজউদ্দৌলা
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মমির্জা মুহম্মদ হাশিম
মৃত্যু২৯ ফেব্রুয়ারি ১৭৪৮[১]
পাটনা, বিহার, বাংলা (বর্তমান পাটনা, বিহার, ভারত)
দাম্পত্য সঙ্গীআমেনা বেগম
সন্তানমির্জা মোহাম্মদ (সিরাজদ্দৌলা)
মির্জা মেহেদি
পিতাহাজি আহমদ
ধর্মইসলাম

জন্ম, জীবন ও কর্ম সম্পাদনা

তার প্রকৃত নাম 'মির্জা মুহাম্মদ হাশিম', নবাব সুজাউদ্দিন খান কর্তৃক তিনি 'খান' উপাধি লাভ করেন। নবাব আলীবর্দী খান ১৭৪০ সালে তাকে বিহারের প্রাদেশিক শাসনকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেন[১]

আহমদ শাহ দুররানীর ভারত আক্রমণকালে ১৭৪৮ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি নবাব আলীবর্দীর সৈন্যবাহিনীর আফগান সৈন্যরা বিদ্রোহ করে[১]। বিদ্রোহীরা তাকে হত্যা করে এবং তার স্ত্রী আমেনা বেগম ও দুই পুত্রকে অপহরণ করে[১]। ১৭৪৮ সালের ১৬ এপ্রিল নবাব আলীবর্দী বিদ্রোহীদের পরাজিত করেন এবং তার কন্যা ও দৌহিত্রদের মুক্ত করেন[১]

মৃত্যু সম্পাদনা

১৭৪৮ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি নবাব আলীবর্দী খানের সৈন্যবাহিনীর আফগান বিদ্রোহীদের হাতে তিনি নিহত হন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. বাংলাদেশের ইতিহাস (ড. মুহম্মদ আব্দুর রহিম), নবাব আলীবর্দী খান, পৃ. ২৯২–৩০৫

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা