আমার দেখা নয়াচীন
আমার দেখা নয়াচীন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৫২ সালের রাজনৈতিক জীবনের প্রথমদিকে গণচীন ভ্রমণের অভিজ্ঞতার আলোকে লেখা একটি ডায়েরির পুস্তকি রূপ। এটি শেখ মুজিবর রহমান রচিত তৃতীয় গ্রন্থ। শেখ মুজিবের জন্মশতবার্ষিকীকে কেন্দ্র করে বাংলা একাডেমি ২০২০ সালে বইটি প্রকাশ করে।
![]() আমার দেখা নয়া চীন বইয়ের প্রচ্ছদ | |
লেখক | শেখ মুজিবুর রহমান |
---|---|
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
বিষয় | ইতিহাস, ভ্রমণ |
ধরন | আত্মজীবনী, ভ্রমন কাহিনি |
প্রকাশক | বাংলা একাডেমী |
প্রকাশনার তারিখ | ২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ |
পূর্ববর্তী বই | কারাগারের রোজনামচা |
পরিচয়সম্পাদনা
'আমার দেখা নয়াচীন' বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০২০ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলায়'। একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। বইটি প্রকাশ করেছে বাংলা একাডেমি। বইটির সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন বাংলা একাডেমির প্রয়াত সাবেক মহাপরিচালক ও লোক গবেষক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান এবং বইটির ভূমিকা লিখেছেন বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা ও বাংলাদেশের সমসাময়িক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পূর্বে প্রকাশিত বইয়ের মত এ বইটিরও গ্রন্থস্বত্ব 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট'-এর । [১][২]
বিষয়বস্তুসম্পাদনা
১৯৫২ সালের ২-১২ই অক্টোবরে গণচীনের পিকিংয়ে এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি শান্তি সম্মেলনের আয়োজন করা হয় যেখানে ভারত ও পাকিস্তানের ডেলিগেটরাও অংশ নেন। সেই সম্মেলনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান তথা বর্তমান বাংলাদেশ থেকে শেখ মুজিব ছাড়াও আতাউর রহমান, মানিক মিয়া, খন্দকার মো. ইলিয়াসসহ বেশ কয়েকজন অংশগ্রহণ করেন। এটি শেখ মুজিবের প্রথম চীন সফর। এই সফরে চীনের অবিসংবাদিত নেতা মাও সে তুং এর সঙ্গে শেখ মুজিবর রহমানের দেখা হয়। এসময় তিনি চীনের রাজনৈতিক ও আর্থসামাজিক অবস্থা প্রত্যক্ষ করেন। এছাড়াও ১৯৫৭ সালে শিল্প, বাণিজ্য, শ্রম, দুর্নীতি দমন ও ভিলেজ-এইড দফতরের মন্ত্রী থাকাকালে পাকিস্তান সংসদীয় দলের নেতা হিসেবে তিনি দ্বিতীয় বার চীন ভ্রমণ করেন।[৩] চীন ভ্রমণের এসব অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি একটি ডায়েরি লেখেন যেখানে তিনি তৎকালীন পাকিস্তান ও চীনের রাজনৈতিক-আর্থসামাজিক অবস্থার তুলনা, কমিউনিস্ট রাষ্ট্রে গণতন্ত্রের চর্চা প্রভৃতি বিষয়াদি প্রাঞ্জলভাবে আলোচনা করেন। তিনি তাঁর এই লেখার নাম দেন নয়া চীন ভ্রমণ। এ ডায়েরিটিই 'আমার দেখা নয়া চীন ' নামে বই আকারে প্রকাশ করা হয়।[৪][৫][৬][৭][৮]
আরও দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "বঙ্গবন্ধুর 'আমার দেখা নয়া চিন' বইয়ের মোড়ক উন্মোচন"। চ্যানেল আই অনলাইন। ২০২০-০২-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-২০।
- ↑ "আজ প্রকাশ পাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর 'আমার দেখা নয়া চীন'"। বাংলা ট্রিবিউন। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-২০।
- ↑ "বঙ্গবন্ধুর ভ্রমণ কাহিনিতে চীনের উন্নয়ন ভাবনা"। বাংলা ট্রিবিউন। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-২০।
- ↑ "বঙ্গবন্ধুর 'আমার দেখা নয়া চীন' বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী"। ইত্তেফাক। ২০২১-০১-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-২০।
- ↑ "বঙ্গবন্ধুর 'আমার দেখা নয়া চীন' প্রকাশ হচ্ছে আজ"। www.desh.tv। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-২০।
- ↑ "বঙ্গবন্ধুর তৃতীয় গ্রন্থ 'নয়া চীন ভ্রমণ' প্রকাশ আগামী বছর"। যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-২০।
- ↑ "প্রকাশিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর তৃতীয় বই 'নয়া চীন ভ্রমণ'"। সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-২০।
- ↑ "একুশে গ্রন্থমেলায় আসছে বঙ্গবন্ধুর তৃতীয় গ্রন্থ 'নয়া চীন ভ্রমণ'"। বাংলা ট্রিবিউন। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-২০।