আব্দুল আলীম (রাজনীতিবিদ)
আব্দলু আলিম (১ নভেম্বর ১৯৩০-৩১ আগস্ট ২০১৪) ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এর রাজনীতিবিদ এবং জয়পুরহাট-১ এর সাবেক সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রী। বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত করে ট্রাইবুন্যাল ২০১৩ তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে[১]।
আবদুল আলীম সরকার | |
---|---|
বগুড়া-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৯৭৯ – ১৯৮২ | |
পূর্বসূরী | মফিজ আলী চৌধুরী |
উত্তরসূরী | আবদুল মোমিন সরকার |
জয়পুরহাট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ জুন ১৯৯৬ – ২০০৬ | |
পূর্বসূরী | মোঃ গোলাম রাব্বানী |
উত্তরসূরী | মোজাহার আলী প্রধান |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১ নবেম্বর ১৯৩০ জয়পুরহাট জেলা |
মৃত্যু | ৩১ আগস্ট ২০১৪ |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল |
শৈশবকাল
সম্পাদনাআলিম জন্ম ১৯৩০ সালের ১ নভেম্বর ব্রিটিশ ভারতের পূর্ববঙ্গ জয়পুরহাট জেলায়। তার বাবা আবদুল ওয়াহেদ ছিলেন ইসলামিয়া রাইস মিলের মালিক। তাঁর পরিবার হুগলি জেলায় থাকতেন তবে ১৯৫০ সালে ভারত বিভাগের পরপরই জয়পুরহাট জেলায় চলে আসেন [২] ।
কর্মজীবন
সম্পাদনাআলিম ১৯৫৮ সালে মুসলিম লীগ যোগ দিয়েছিলেন এবং শীঘ্রই লীগের যুগ্ম-সচিব হন। তিনি মুসলিম লীগের বগুড়া জেলা শাখার ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আলীম ১৯৭৫ সালে জয়পুরহাট পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং ১৯৭৭ সালে পুনরায় নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় নির্বাচনে তৎকালীন বগুড়া-১ আসন থেকে ও ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে জয়পুরহাট-১ আসন থেকে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৮ সালে তিনি জিয়াউর রহমানের সরকারে প্রথমে বস্ত্রমন্ত্রী এবং পরে যোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন আলীম।
অভিযোগ
সম্পাদনাবাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন এবং পূর্ব পাকিস্তান কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটির জয়পুরহাট জেলা শাখার চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি জয়পুরহাটে রাজাকার আধাসামরিক ইউনিট গঠনে সহায়তা করেছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে তার বিরুদ্ধে সহযোগী আইনে অভিযোগ আনা হয়েছিল। [২]
২১ শে মার্চ ২০১১-এ তাকে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ৯ জুলাই ২০১২-এ, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে তার বিচার শুরু হয়েছিল [২] । তিনি যুদ্ধাপরাধের ১৭ টি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। [২][৩][৪]
মৃত্যু
সম্পাদনাতিনি ৩১ আগস্ট ২০১৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন।[৫]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "ঘাতক থেকে মন্ত্রী!"। banglanews24.com। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ৯, ২০১৩।
- ↑ ক খ গ ঘ "War crimes convict Alim dies"। bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "Alim guilty of genocide, murder"। bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "Alim to spend life in jail for war crimes"। bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "War crimes convict Alim dies in jail"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ৩১ আগস্ট ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৯।