আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ
আবু উবাইদা আমর ইবনে আবদিল্লাহ ইবনুল জাররাহ (৫৮১-৬৩৮) (আরবি: أبو عبيدة عامر بن عبدالله بن الجراح) আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ বলে অধিক পরিচিত, ছিলেন মুহাম্মদ এর একজন সাহাবী। খলিফা উমর ইবনুল খাত্তাবের সময় তিনি রাশিদুন সেনাবাহিনীর একজন সেনাপতি ছিলেন।
আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ | |
---|---|
![]() আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহর মাজার, বালকা গভর্নরেট, জর্ডান | |
ডাকনাম | আবু উবাইদা, আমিনুল উম্মাহ (উম্মাহর তত্ত্বাবধায়ক) |
জন্ম | ৫৮১ মক্কা, আরব |
মৃত্যু | ৬৩৮ জর্ডান উপত্যকা, জর্ডান। | (বয়স ৫৬–৫৭)
আনুগত্য | ![]() |
সার্ভিস/ | ![]() |
কার্যকাল | ৬৩৪ - ৬৩৮ |
পদমর্যাদা | রাশিদুন সেনাবাহিনীর সেনাপতি (৬৩৪-৬৩৮) |
নেতৃত্বসমূহ | লেভান্টের গভর্নর (৬৩৪-৬৩৮) |
যুদ্ধ/সংগ্রাম | মুসলিম-কুরাইশ যুদ্ধ মুসলিমদের সিরিয়া বিজয় |
প্রাথমিক জীবনসম্পাদনা
আবু উবাইদা ৫৮৩ সালে বণিক আবদুল্লাহ ইবনুল জাররাহর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কুরাইশের বনু আল হারিস ইবনে ফিহর গোত্রের সদস্য ছিলেন। ইসলাম গ্রহণের পূর্বেও তিনি অন্যতম অভিজাত কুরাইশ বলে গণ্য হতেন। তার অমায়িকতা ও সাহসিকতার জন্য তিনি খ্যাত ছিলেন।
ইসলাম গ্রহণসম্পাদনা
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ইসলাম প্রচারের শুরুতে নিজের কাছের সঙ্গীদের প্রথম ইসলাম গ্রহণের আহ্বান জানান। এসময় আবু উবাইদা ইসলাম গ্রহণ করেন।[১]
আবিসিনিয়ায় হিজরতসম্পাদনা
প্রথমদিকের অন্যান্য মুসলিমদের মতো আবু উবাইদাও অপমান ও নির্যাতন ভোগ করেন। প্রথমবার আবিসিনিয়ায় হিজরতের পর মক্কার মুসলিমদের উপর নির্যাতনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। আবু উবাইদা তার গোত্রের একমাত্র ইসলাম গ্রহণকারী ব্যক্তি ছিলেন। রসূলুল্লাহ্ মুহাম্মদ (সাঃ) বাকি মুসলিমদের আবিসিনিয়ায় হিজরত করতে বলেন। এসময় ৮৩ জন পুরুষ ও ২০ জন নারীর একটি দলের সাথে আবু উবাইদা হিজরত করেন।[২]
মদিনায় হিজরতসম্পাদনা
৬২২ সালে রসূলু্ল্লাহ্ মুহাম্মদ (সাঃ) মদিনায় হিজরত করেন। আবু উবাইদাও এরপর মদিনায় আসেন। মুহাম্মদ (সাঃ) প্রত্যেক মুহাজির মুসলিমকে মদিনার বাসিন্দা আনসারদের একজনের সাথে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করেন। আবু উবাইদার সাথে মুয়াজ ইবনে জাবাল ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হন। মদিনা আক্রমণের জন্য কুরাইশরা সেনাবাহিনী গঠনের আগ পর্যন্ত মদিনায় মুসলিমরা শান্তিতে অবস্থান করতে থাকে।