আবুল হাসান চৌধুরী
আবুল হাসান চৌধুরী কায়ছার (জন্ম ১৫ এপ্রিল ১৯৫১) একজন বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ এবং সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।[১] তিনি ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সরকারের আমলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[২]
আবুল হাসান চৌধুরী | |
---|---|
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১৯৯৬ – ২০০১ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | আবুল হাসান চৌধুরী কায়ছার এপ্রিল ১৫, ১৯৫১ ঢাকা |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
দাম্পত্য সঙ্গী | নাহিদ চৌধুরী |
সন্তান | ২ |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় |
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনাআবুল হাসান চৌধুরী ১৯৫১ সালের এপ্রিলে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন বাংলাদেশের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরী এবং তারা দাদা আবদুল হামিদ চৌধুরী ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের স্পিকার। ঢাকায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করার পর তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করেন।
রাজনৈতিক জীবন
সম্পাদনাআবুল হাসান চৌধুরী ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদানের মাধ্যমে রাজনীতিতে প্রবশে করেন। প্রথমবারের মত টাংগাইল-১ (মধুপুর উপজেলা ও ধনবাড়ী উপজেলা নিয়ে গঠিত) আসন থেকে ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে তিনি জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে এ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সরকার গঠন করে এবং তিনি সংসদে বিরোধীদলীয় হুইপ নির্বাচিত হন। এছাড়া তিনি ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয় সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে তিনি পুনরায় আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ নির্বাচনে তার দল সরকার গঠন করে এবং তিনি ১৯৯৬ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান এবং ৫ বছর মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বিতর্ক
সম্পাদনাদূর্নীতির অভিযোগে বাংলাদেশের পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংক একশ’ ২০ কোটি ডলার অর্থায়ন বাতিল করে। আবুল হাসান চৌধুরীসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠে।[৩] রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (আরসিএমপি) টরন্টোতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।[৪] ২০১৫ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন পদ্মা সেতু প্রকল্পের দূর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করে।[২] বিশ্ব ব্যাংকের প্রবল চেষ্টার ফলেও ৫৩ দিন তদন্ত করে দূর্নীতি দমন কমিশন কাউকে অভিযুক্ত হিসেবে পায়নি। তাদের প্রতিবেদন অনুসারে ঢাকা জেলা জাজ কোর্ট সকল অভিযুক্তদের মামলা থেকে খালাস দেন। এর পূর্বে দূর্নীতি দমন কমিশন যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীকে অভিযোগ থেকে খালাস দেয়।
২০১৭ সালে কানাডার আদালত ঘোষণা করে, পদ্মা সেতু প্রকল্পে কোন দূর্নীতির প্রমাণ তারা খুঁজে পাননি এবং অন্টারিও আদালত মামলাটি খারিজ করে দেয়।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "প্রখ্যাত-ব্যক্তিত্ব"। মধুপুর উপজেলা। ২০১৮-১০-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-৩০।
- ↑ ক খ "আবুল হাসান চৌধুরীকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ"। archive.prothom-alo.com। ২০১৮-১০-০৭। ২০১২-০৬-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-৩০।
- ↑ "পদ্মা সেতু: আবুল হাসান চৌধুরী কানাডায় আসামি"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২০১৩-০২-০২। ২০২১-১১-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-৩০।
- ↑ [author_link] (২০১৩-০৯-১৯)। "কানাডায় আবুল হাসান চৌধুরী অভিযুক্ত!"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-৩০।