আবদুল মমিন চৌধুরী
আবদুল মমিন চৌধুরী (জন্ম: ২২ জানুয়ারি ১৯৪০) একজন বাংলাদেশী ইতিহাসবিদ এবং শিক্ষাবিদ। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য। তিনি বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতি ও বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন।[১][২][৩][৪]
অধ্যাপক ড. আবদুল মমিন চৌধুরী | |
---|---|
উপাচার্য | |
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় | |
কাজের মেয়াদ ২০০১ – ২০০৩ | |
পূর্বসূরী | দুর্গাদাস ভট্টাচার্য |
উত্তরসূরী | আফতাব আহমাদ |
উপাচার্য | |
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় | |
কাজের মেয়াদ ২০০৩ – ২০০৫ | |
সভাপতি | |
বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি | |
কাজের মেয়াদ ২০০০ – ২০০৩ | |
পূর্বসূরী | এম হারুন-উর-রশিদ |
উত্তরসূরী | এমাজউদ্দিন আহমদ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ২২ জানুয়ারি ১৯৪০ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | ইতিহাসবিদ, শিক্ষাবিদ, বিশ্ববিদ্যলয় প্রশাসক |
প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষাসম্পাদনা
মমিন চৌধুরী ১৯৪০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরী এবং মাতা শিরিন বেগম। তিনি ১৯৫৪ সালে ঢাকার আরমানিটোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক এবং ১৯৫৬ সালে ঢাকা কলেজ থেকে আইএ পাস করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে ১৯৫৯ সালে বি.এ. (অনার্স) এবং ১৯৬০ সালে এম.এ. ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল এন্ড আফ্রিকান স্টাডিজ থেকে ১৯৬৫ সালে পি.এইচ.ডি. ডিগ্রি অর্জনের পাশাপাশি ১৯৭৫-৭৬ সালে কমনওয়েলথ ফেলোশিপ নিয়ে পোস্ট-ডকটোরাল গবেষণাও সম্পন্ন করেন। ২০১৩-১৪ সালে অধ্যাপক চৌধুরী সিনিয়র ফুলব্রাইট ফেলো হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে ভিজিটিং স্কলার হিসেবে গবেষণা করেন।[২]
কর্মজীবনসম্পাদনা
আবদুল মমিন চৌধুরী ১৯৬০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে টিচিং ফেলো হিসেবে যোগদান করেন ও পরবর্তী বছর প্রভাষক পদে উন্নীত হন। একই বিভাগে তিনি ১৯৬৫ সালে সহকারী অধ্যাপক, ১৯৭০ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ১৯৭৮ সালে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান। ২০১৩ সালে তিনি ইতিহাস বিভাগ থেকে অবসর লাভ করেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক (পাঠদানের পাশাপাশি), কলা অনুষদের ডিন, সিন্ডিকেট ও সিনেট সদস্য সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি স্বনামধন্য বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০১-২০০৪ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি ছিলেন। ২০১৪ সালে তিনি এশিয়াটিক সোসাইটির ফেলো মনোনীত হন।
চৌধুরী ২০০১-২০০৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং ২০০৩-২০০৫ পর্যন্ত প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন।[১][২][৩][৪][৫]
গবেষণাকর্মসম্পাদনা
আবদুল মমিন চৌধুরী উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গবেষণামূলক গ্রন্থের রচয়িতা। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে তার ৪০ টিরও অধিক গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তার বহুল প্রশংসিত বইগুলির মধ্যে অন্যতম, ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত ডাইনেস্টিক হিস্ট্রি অব বেঙ্গল (৭০৫-১২০০ খ্রিস্টাব্দ), এশিয়াটিক সোসাইটি অব পাকিস্তান, ঢাকা, ১৯৬৭।[২]
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ ক খ "বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদরগণের তালিকা ও কার্যকাল"। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০২২।
- ↑ ক খ গ ঘ "অধ্যাপক ড. আবদুল মমিন চৌধুরী" (পিডিএফ)। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি (ইংরেজি ভাষায়)। ১৪ মে ২০২১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০২২।
- ↑ ক খ "বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির নেতৃত্ব"। বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতি। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০২২।
- ↑ ক খ "১৯৫২ সাল থেকে বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতিবৃন্দ"। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০২২।
- ↑ "বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির ফেলোবৃন্দ"। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০২২।