আনোয়ার হোসেন মনির
একই নামের অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের জন্য দেখুন আনোয়ার হোসেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
জন্ম | মুন্সীগঞ্জ | ৩১ ডিসেম্বর ১৯৮১|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ |
আনোয়ার হোসেন মনির (জন্ম: ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৮১) মুন্সীগঞ্জে জন্মগ্রহণকারী বাংলাদেশের সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পক্ষে খেলেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন ‘মনির’ ডাকনামে পরিচিত আনোয়ার হোসেন। লিকলিকে গড়নের আনোয়ার ২০০৩ সালে ৩টি টেস্ট ও একটিমাত্র ওডিআই খেলার সুযোগ পান।
খেলোয়াড়ী জীবনসম্পাদনা
অভিজ্ঞতাবিহীন অবস্থায় মিডিয়াম পেস বোলিংয়ে পারদর্শী আনোয়ার ২০০৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে অস্ট্রেলিয়া সফরে টেস্ট দলের সদস্যরূপে প্রতিনিধিত্ব করেন। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ৩০তম খেলোয়াড়রূপে টেস্ট ক্যাপ পরিধান করেন। ২৫ জুলাই, ২০০৩ তারিখে কেয়ার্নসে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক হয়। কিন্তু কোন উইকেট লাভ করতে পারেননি।
এরপর পাকিস্তান সফরে গেলেও তেমন সফলতা পাননি তিনি। অক্টোবর, ২০০৩ সালে ইংল্যান্ড সফরে প্রথম খেলায় বোর্ড সভাপতি একাদশের বিপক্ষে বোলিং আক্রমণে নেতৃত্ব দেন। খেলায় তিন উইকেট পান। তন্মধ্যে, তার বলে মাইকেল ভনের ক্যাচ ধরেন একই নামের আরেক আনোয়ার হোসেন। ২০০৫ সালের বসন্তে ইংল্যান্ড সফরে যাবার জন্য জাতীয় দলের সদস্য হন। প্রস্তুতিমূলক খেলায় নর্দান্টসের বিপক্ষে মুশফিকুর রহিমের অপরাজিত ১১৫* ও মোহাম্মদ রফিকের ৫৪ রান এবং তার ৪/১১৩ বোলিং পরিসংখ্যানে খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয়। কিন্তু, ২০ ওভারের বোলিং পরিসংখ্যানে তিনি প্রায় ছয় রান দিয়ে বসেন।[১] তাস্বত্ত্বেও টেস্ট সিরিজে অংশ নেয়ার জন্য আমন্ত্রিত হন তিনি। ৩ জুন, ২০০৫ তারিখে চেস্টার-লি-স্ট্রিটে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন।
৯ অক্টোবর, ২০০২ তারিখে একমাত্র ওডিআইয়ে অংশ নেন। কিম্বার্লিতে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তার একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক হয়। নিচের সারির ব্যাটসম্যান হিসেবে ১ বল মোকাবেলা করে শূন্য রানে অপরাজিত থাকেন। এছাড়াও বল হাতে আট ওভারে ৪৫ রান দিলেও কোন উইকেট পাননি।
স্বল্পকালীন টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনে বোলার হিসেবে অগৌরবজনক রেকর্ডের সাথে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন। ৩৪৮ বল ডেলিভারি করে সর্বাধিক ৩০৭ রান দেন ও কোন উইকেট লাভে সক্ষমতা দেখাননি।[২]
অবসরসম্পাদনা
২০০০-০১ মৌসুমে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষিক্ত হন। এতে ঢাকা বিভাগের পক্ষে খেলেন। ৮ জানুয়ারি, ২০০৮ তারিখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত জাতীয় একদিনের ক্রিকেট লীগে রাজশাহী বিভাগের বিপক্ষে অংশ নেন। ঐ খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান। কয়েক বছর ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশ নেয়ার পর মনির কোচিং কোর্সে অংশ নেন। বর্তমানে তিনি বিসিবিতে কর্মরত।
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ Northants v Bangladesh, tour match, 3rd day May 22, 2005, Rahim century boosts Bangladesh, retrieved: 13 February, 2017
- ↑ Walmsley, Keith (২০০৩)। Mosts Without in Test Cricket। Reading, England: Keith Walmsley Publishing Pty Ltd। পৃষ্ঠা 457। আইএসবিএন 0947540067।.