আতুকুড়ি মোল্লা (১৪৪০–১৫৩০) ছিলেন একজন তেলুগু কবি, যিনি তেলুগু ভাষায় রামায়ণ অনুবাদ করেছিলেন।[১] তিনি তাঁর জীবিকা অনুসারে কুমোর (মৃৎশিল্পী) মোল্লা নামে পরিচিত ছিলেন। মোল্লামাম্বা বা মোল্লা ছিলেন কেসান্না সেট্টির কন্যা এবং তিনিও পেশায় একজন কুমোর ছিলেন। তাঁরা বাইয়া সম্প্রদায়ভুক্ত ছিলেন। পূর্ববর্তী ঐতিহাসিকরা তাঁকে কাকতীয় সাম্রাজ্যের তিক্কানা সোমায়াজির সমসাময়িক হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন। কিন্তু, কান্দুকুরি বীরেসলিঙ্গম পান্তুলু তাঁর 'অন্ধ্র কাভুলা চরিত্র'-তে উল্লেখ করেছেন যে তিনি শ্রী কৃষ্ণ দেব রায়ের সমসাময়িক ছিলেন, অর্থাৎ তিনি কুমোর গুরুনাথের বোন ছিলেন বলে পূর্বের দাবিগুলিকে অস্বীকার করা হয়েছে। গুরুনাথ মহাভারত অনুবাদে তিক্কানা সোমায়াজীর লেখক ছিলেন। কাকতীয় এবং বিজয়নগর সাম্রাজ্যের মধ্যবর্তী সময়ে বসবাসকারী শ্রীনাথের মতো কবিদের প্রতি তাঁর অভিবাদন নির্দেশ করে যে সেই কবিরা তাঁর পূর্ববর্তী ছিলেন।[২]

মোল্লা
স্থানীয় নাম
ఆతుకూరి మొల్ల
জন্মআতুকুড়ি মোল্লা
১৪৪০
গোপভরম, কাডাপা
মৃত্যু১৫৩০
ছদ্মনামমোল্লামাম্বা
পেশাকুমোর (মৃৎশিল্পী)
ভাষাতেলুগু
জাতীয়তাভারতীয়
সময়কাল১৪ - ১৫ শতকে
ধরনকবি
বিষয়তেলুগু রামায়ণ
সাহিত্য আন্দোলনসনাতন ধর্ম প্রচার
উল্লেখযোগ্য রচনাবলিসংস্কৃত থেকে তেলুগুতে রামায়ণ অনুবাদ করেছেন
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার'কবি রত্ন'

জীবনী সম্পাদনা

তাল্লাপাকা তিম্মাক্কার পরে মোল্লা হলেন দ্বিতীয় মহিলা তেলুগু কবি। তিম্মাক্কা ছিলেন তল্লাপাকা অন্নময়্যা ("অন্নমাচার্য")র স্ত্রী। তিনি সংস্কৃত রামায়ণকে তেলুগুতে অনুবাদ করেছিলেন।

তাঁর বাবা আতুকুড়ি কেসান্না ছিলেন গোপভরমের একজন কুমোর। এটি অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের কাদাপা থেকে পঞ্চাশ মাইল উত্তরে বাদভেল শহরের কাছে গোপভরম মণ্ডলের একটি গ্রাম। কেসান্না ছিলেন একজন শৈব এবং শ্রীশৈলমের শ্রীশৈলমের শ্রীশ্রীকান্ত মল্লেশ্বরের ভক্ত। তিনি তাঁর মেয়ের নাম দিয়েছিলেন মোল্লা, যার অর্থ "যুঁই", এটি দেবতার প্রিয় ফুল। শ্রী বাসবেশ্বরের সম্মানে মেয়ের ডাকনামও রেখেছিলেন বাসবী। মোল্লার পিতা-মাতা শ্রীশৈলমের মল্লিকার্জুন এবং মল্লিকাম্বা রূপে শিবের মহান ভক্ত ছিলেন। তাঁরা শিব মঠের শিষ্য ছিলেন। মোল্লা শুধু তাঁর নিজের গ্রামেই নয়, আশেপাশের গ্রামেও সহৃদয় স্বভাব, উদারতা এবং ভালবাসার জন্য সুপরিচিত ছিলেন।

মোল্লা শ্রী শিবকে গুরু বলে মানতেন, এবং তাঁর অনুপ্রেরণা পোথান্নার থেকে এসেছে বলে মনে করতেন। পোথান্না তেলুগু ভাষায় ভাগবত পুরাণ লিখেছিলেন। তাঁর মতোই, তিনি ছিলেন শৈব হিন্দু, কিন্তু তিনি রামকে (বিষ্ণুর একজন অবতার) নিয়ে গল্প লিখেছিলেন এবং সেই রামায়ণকে কোনো রাজার কাছে উৎসর্গ করতে অস্বীকার করেছিলেন, যদিও সেই সময়ে এই উৎসর্গ করা কবিদের জন্য একটি সাধারণ রীতি ছিল।

বরদারাজনের বই, "বৈষ্ণব সাহিত্যের অধ্যয়ন" অনুসারে, তাঁর জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে, তাঁকে রাজ দরবারে আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং তিনি কৃষ্ণদেবরায় ও তাঁর কবিদের সামনে রামায়ণ পাঠ করার সুযোগ পান।[৩] শ্রীশৈলমে তিনি নিজের বার্ধক্য কাটিয়েছিলেন শ্রীশ্রীকান্ত মল্লেশ্বরের উপস্থিতিতে।

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Molla, an illustrious female poet https://www.thehansindia.com/posts/index/Hyderabad-Tab/2013-09-18/Molla-an-illustrious-female-poet/72151"। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২  |title= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
  2. "Atukuri Molla Biography"। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  3. "Atukuri Molla – A Jasmine Flower In The Garden of Hindu Poets"। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা