আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনি
আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনি (ইংরেজি: Ataullah abu Ammar Jununi)[১][২] সাধারণত আতাউল্লাহ বা আতা উল্লাহ নামেও পরিচিত। তিনি আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (ARSA) এর নেতা। এটি একটি রোহিঙ্গা বিদ্রোহী দল যা উত্তর রাখাইন রাজ্যে সক্রিয়।[৩] ARSA থেকে অনলাইনে প্রকাশিত হওয়া বিভিন্ন ভিডিওতে আতাউল্লাহ সামনে এসেছেন, যেখানে তিনি প্রেস বিবৃতি ও বক্তব্য দিয়েছেন।[৪]
আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনি | |
---|---|
অন্য নাম | আতা উল্লাহ |
জন্ম | করাচী, পাকিস্তান |
আনুগত্য | আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (ARSA) |
সক্রিয় | ৯ অক্টোবর ২০১৬ | – present
যুদ্ধ/সংগ্রাম | মিয়ানমারে অন্তঃস্থ দ্বন্দ্ব |
স্বাক্ষর |
প্রথম জীবন
সম্পাদনাআতাউল্লাহ জন্মগ্রহণ করেন পাকিস্তানের করাচিতে। তার পরিবার ছিল মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ধর্মীয় নির্যাতনের কারণে ১৯৬০ এর দশকে পাকিস্তানে পালিয়ে আসা একটি পরিবার।[৫] প্রথম জীবনে আতাউল্লাহ এর পরিবার সৌদি আরবের মক্কায় চলে যায়, এবং তিনি সেখানে একটি ইসলামী বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন। পরে আতাউল্লাহ সেখানকার রোহিঙ্গা বিস্ফূরণের জন্য ইমাম হিসেবে কাজ করেন, যেখানে দেড় লক্ষ রোহিঙ্গা রয়েছে।[৬]
বিদ্রোহ
সম্পাদনাইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ (ICG) একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করে এটি এই বিদ্রোহী দলের সদস্যদের সাক্ষাতকার নিয়েছে। এদের থিংক ট্যাংক বলেন এই দলের নেতার সৌদি আরবের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।[৭] ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রকাশিত আইসিজি প্রতিবেদন অনুসারে তিনি রাখাইন রাজ্যে হওয়া ২০১২ সালের রাখাইন রাজ্যের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংগঠনের কিছু দিন পর, সেই বছরেই সৌদি আরব ত্যাগ করেছেন। মায়ানমার সরকারের একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, আতাউল্লাহ পাকিস্তানে তালিবানের অধীনে ছয় মাস ধরে আধুনিক গেরিলা রণকৌশলের প্রশিক্ষণ নিয়েছে। আইসিজি প্রতিবেদনটি বলছে (যদিও নিশ্চিত করা যায়নি), তিনি পাকিস্তানে বা অন্য কোথাও গিয়েছিলেন, এরকম কিছু আলামত রয়েছে, সেই সাথে তিনি আধুনিক গেরিলা রণকৌশলের প্রশিক্ষণও গ্রহণ করেছেন। এই বিদ্রোহী দলের কয়েকজন সদস্য আইসিজি-কে এও বলেছে যে, রাখাইন রাজ্যে প্রত্যাবর্তনের পূর্বে তিনি লিবিয়াতে অতিরিক্ত প্রশিক্ষণও গ্রহণ করে থাকতে পারেন, কিন্তু তার সম্পর্কে অন্য বিষয়গুলো অনিশ্চিত।[৩]
২০১৬ সালের ৯ অক্টোবরে আতাউল্লাহ শত শত বিদ্রোহীকে বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে নিয়ে আসেন, যেখানে তারা বর্মী সীমান্তের পুলিশ পোস্টে হামলা করে।[৮] এক সপ্তাহ পরে, আতাউল্লাহকে অনলাইনে একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সেখানে তিনি এই হামলার দায় স্বীকার করেন।[৩][৪]
আতাউল্লাহ ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টে একটি দ্বিতীয় বড় ধরনের জঙ্গি হামলা সংগঠন করেন, যার ফলে ৭১ জনের মৃত্যু হয়।[৯][১০][১১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ McPherson, Poppy (২ সেপ্টেম্বর ২০১৭)। "'We die or they die': Rohingya insurgency sparks fresh violence in Myanmar"। The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Who Are the Arakan Rohingya Salvation Army?"। Radio Free Asia (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ ক খ গ Millar, Paul (১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭)। "Sizing up the shadowy leader of the Rakhine State insurgency"। Southeast Asia Globe Magazine। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
- ↑ ক খ McPherson, Poppy (১৭ নভেম্বর ২০১৬)। "'It will blow up': fears Myanmar's deadly crackdown on Muslims will spiral out of control"। The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০১৬।
- ↑ Sakhawat, Adil (২০ অক্টোবর ২০১৭)। "Who is Ata Ullah – the man at the heart of the Myanmar conflict?"। Dhaka Tribune।
- ↑ "Birth of an ethnic insurgency in Myanmar" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৯-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-১৩।
- ↑ J, Jacob (১৫ ডিসেম্বর ২০১৬)। "Rohingya militants in Rakhine have Saudi, Pakistan links, think tank says"। ২৬ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Rakhine unrest leaves four Myanmar soldiers dead"। BBC News। ১২ অক্টোবর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৩ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ "Myanmar tensions: Dozens dead in Rakhine militant attack"। BBC News। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ Htusan, Esther (২৫ আগস্ট ২০১৭)। "Myanmar: 71 die in militant attacks on police, border posts"। AP News। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ Lone, Wa; Slodkowski, Antoni (২৪ আগস্ট ২০১৭)। "At least 12 dead in Muslim insurgent attacks in northwest Myanmar"। Reuters। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৭।