আজাহার উদ্দিন আহমদ

একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও চিকিৎসক ছিলেন। তিনি পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক আইন পরিষদের সদস্য (এ

আজাহার উদ্দিন আহমদ (১৩ অক্টোবর ১৯১৩ – ১০ জানুয়ারি ২০১১) একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদচিকিৎসক ছিলেন। তিনি পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক আইন পরিষদের সদস্য (এমএলএ) ও ডেপুটি লীডার ছিলেন। পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্যও ছিলেন তিনি। তার ছেলে মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম[১][২][৩]

ডাক্তার
আজাহার উদ্দিন আহমদ
এমএলএ
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম(১৯১৩-১০-১৩)১৩ অক্টোবর ১৯১৩
চর কাকড়া, উত্তর নেয়ামতপুর, দৌলতখান, ভোলা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত
(বর্তমান বাংলাদেশ)
মৃত্যু১০ জানুয়ারি ২০১১(2011-01-10) (বয়স ৯৭)
শেবাচিম হাসপাতাল, বরিশাল
সমাধিস্থললালমোহন, ভোলা
দাম্পত্য সঙ্গীকরিমুন্নেছা
সন্তানহাফিজ উদ্দিন আহমদ সহ ৪ ছেলে ২ মেয়ে
পিতামাতাগোলাম রহমান পাটোয়ারী
বাসস্থানলালমোহন, ভোলা
প্রাক্তন শিক্ষার্থীবরিশালের বিএম কলেজ,
ভোলা সরকারি স্কুল

প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা

আজাহার উদ্দিন আহমদ ১৩ অক্টোবর ১৯১৩ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের ভোলার দৌলতখানের উত্তর নেয়ামতপুরের চর কাকড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটকালেই পিতামাতার সাথে লালমোহন চলে যান। তার পিতার নাম গোলাম রহমান পাটোয়ারী।

তিনি লালমোহন মাইনর স্কুল থেকে ১৯২৪ সালে প্রাথমিক বৃত্তি ও ১৯২৭ সালে জুনিয়র বৃত্তি লাভ করেন। ১৯৩৩ সালে ভোলা সরকারি স্কুল থেকে মেট্রিক ও ১৯৩৫ সালে বরিশালের বিএম কলেজ থেকে আইএসসি পাশ করেন। ১৯৪০ সালে এলএমএফ (লাইসেনশিয়েট অব মেডিকেল ফ্যাকাল্টি) পাশ করেন।

তার স্ত্রীর নাম করিমুন্নেছা। এই দম্পতীর হাফিজ উদ্দিন আহমদ সহ ৪ ছেলে ও ২ মেয়ে।[৪]

কর্মজীবন সম্পাদনা

আজাহার উদ্দিন আহমদ ১৯৪০ সালে কলকাতা ক্যাম্বেল হাসপাতালে ডাক্তার হিসেবে তার প্রথম কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর ঢাকা মিটফোর্ড, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও কক্সবাজার জেনারেল হাসপাতালে চাকুরী করেন।

অল ইন্ডিয়া মেডিকিল লাইসেন্শিয়েট এসোসিয়েশনের বরিশাল জেলার সভাপতি ছিলেন। চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণের পর সামাজিক ও রাজনৈতিক কাজে সম্পৃক্ত হন।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনেও তার ভূমিকা ছিল অনন্য। তিনি বরিশাল ডায়াবেটিক এসোসিয়েশন, ভোলা জনকল্যাণ সমিতি ও বরিশালের অন্যান্য জনকল্যাণমূলক কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন।

রাজনৈতিক জীবন সম্পাদনা

আজাহার উদ্দিন আহমদ ১৯৬২, ১৯৬৩ ও ১৯৬৫ সালে তিনি লালমোহন-চরফ্যাসন থেকে প্রাদেশিক আইন পরিষদের সদস্য (এমএলএ) নির্বাচিত হন। সে সময় ডেপুটি লীডার হিসেবেও দারিত্ব পালন করেন তিনি।[২][১]

১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগের পক্ষ হতে জাতীয়পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।[৩]

১৯৭৩ সালে ভোলা তিন আসনে জাসদ থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন।

মৃত্যু সম্পাদনা

১০ জানুয়ারি ২০১১ সালে বার্ধক্যজনিত কারনে বরিশালের শেবাচিম হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. কর্নেল মোহাম্মদ আবদুল হক, পিএসসি (অব:) (৪ নভেম্বর ২০২১)। "মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম এক সফল সামরিক, রাজনৈতিক নেতা"দৈনিক নয়াদিগন্ত। ৮ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০২৩ 
  2. "প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব, ভোলা জেলা"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ৮ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০২৩ 
  3. "১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে জাতীয় পরিষদে বিজয়ী সদস্যদের তালিকা"সংগ্রামের নোটবুক। ১১ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০২৩ 
  4. "হাফিজ উদ্দিন আহমেদের গল্প | রাজনীতিকের অন্দরে | Hafizuddin Ahmed Politician | BNP | Desh TV"