আকরাম হোসেন চৌধুরী (বিচারক)
আকরাম হোসেন চৌধুরী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারক।[১]
আকরাম হোসেন চৌধুরী | |
---|---|
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
জীবিকা | বিচারক |
জীবনের প্রথমার্ধ
সম্পাদনাআকরাম হোসেন ১৯৫৯ সালের ২৫ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন।[২] তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিল্পকলা ও আইন বিভাগে দ্বৈত স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন।[২]
কর্মজীবন
সম্পাদনাআকরাম হোসেন ১৯৮৭ সালের ২৬ অক্টোবর জেলা আদালতে এবং ১৯৮৯ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্টে আইনী অনুশীলন শুরু করেন[৩]
আকরাম হোসেন ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নিযুক্ত হন[৪]
আকরাম হোসেনকে ২০১০ সালের ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বিভাগের একজন অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২০১২ সালের ১০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান তাকে স্থায়ী বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেন।[৩][৫]
২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে, আকরাম হোসেন ও বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, ২০০৪ সালে কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনের প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর গোলাম রব্বানীকে হত্যার দায়ে তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।[৬] আকরাম হোসেন ও বিচারপতি সৈয়দ এবি মাহমুদুল হক ভেজাল মামলায় অ্যাডফ্লেম ফার্মাসিউটিক্যালসের হেলেনা পাশাকে এক মামলায় এক বছরের জামিন দেন, যেখানে তাকে তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।[৭] ১৯৯০-এর দশকে কোম্পানিটির ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ খাওয়ার পর অনেক শিশু মারা গিয়েছিল।[৭]
২০১৬ সালের জুন মাসে, আকরাম হোসেন ও বিচারপতি মোঃ হাবিবুল গণি হাটহাজারী উপজেলায় ইউনিয়ন নির্বাচনের সময় নির্বাচনী কারচুপির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এক কর্মীকে জামিন দেন।[৮] আকরাম হোসেন ও বিচারপতি মোঃ হাবিবুল গণি পাঁচটি বিভিন্ন ফৌজদারি মামলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিবিদ রিজভী আহমেদকে জামিন দেন।[৯]
মুসলমানদের "ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত" করার মামলায় বিচারপতি মোঃ এমদাদুল হক ও আকরাম হোসেন লোকশিল্পী শরীয়ত বয়াতির জামিন নামঞ্জুর করেছেন।[১০]
২০২২ সালের ৩ অক্টোবর, আকরাম হোসেন ও বিচারপতি শাহেদ নুরুদ্দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করার জন্য দায়ের করা একটি মানহানির মামলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের রাজবাড়ী জেলা শাখার এক নেতাকে জামিন দেন।[১১] তিনি প্রধান বিচারপতি পদক বাছাই কমিটির সদস্য ছিলেন।[১২]
২০২৩ সালে, আকরাম হোসেন ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলী রানা প্লাজা ধসের মামলায় রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাকে জামিন দেন।[১৩][১৪] পরবর্তীতে এপ্রিল মাসে বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী এই জামিন বাতিল করেন।[১৩]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "High Court to resume regular benches from Wednesday"। ঢাকা ট্রিবিউন। ২০২০-০৮-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৬।
- ↑ ক খ "Home : Supreme Court of Bangladesh"। www.supremecourt.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৬।
- ↑ ক খ "Home : Supreme Court of Bangladesh"। www.supremecourt.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৬।
- ↑ "President appoints 26 DAGs"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৯-০২-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৬।
- ↑ "Jobs of 4 HC judges regularised"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-১২-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৬।
- ↑ "3 jailed for life"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৪-০২-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৬।
- ↑ ক খ Staff Correspondent (২০১৪-০৯-১২)। "Convicted Adflame director gets HC bail"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৬।
- ↑ "Vote rigging: Convicted BCL leader gets bail"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০৬-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৬।
- ↑ Report, Star Online (২০১৬-০৯-০৭)। "Rizvi gets HC bail in 5 cases"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৬।
- ↑ "Shariat Boyati denied bail"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০২-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৬।
- ↑ "Derogatory remarks on PM: Mohila Dal leader Sonia granted HC bail"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-১০-৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৬।
- ↑ "Selection body for 'Chief Justice Medal' formed"। The Financial Express (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৬।
- ↑ ক খ "SC chamber judge stays Sohel Rana's HC bail"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৪-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৬।
- ↑ "HC grants Rana Plaza owner bail in murder case"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৪-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৬।