অ্যালবিয়ান রাজকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
স্যার অ্যালবিয়ন রাজকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় CSI সিআইই (১০ অক্টোবর ১৮৭১ – ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৫০) একজন ভারতীয় বেসামরিক কর্মচারী এবং প্রশাসক ছিলেন যিনি ১৯০৭ থেকে ১৯১১৪ সাল পর্যন্ত কোচিনের দেওয়ান, ১৯২২ থেকে ১৯২৬ সাল পর্যন্ত মহীশূর রাজ্যের দেওয়ান এবং ১৯২৭ থেকে ১৯২৯ পর্যন্ত কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
অ্যালবিয়ান রাজকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় | |
---|---|
Prime Minister of Kashmir | |
কাজের মেয়াদ ১৯২৭ – ১৯২২ | |
সার্বভৌম শাসক | হরি সিং |
পূর্বসূরী | পদম দেও সিং |
উত্তরসূরী | জি. ই. সি. ওয়েকফিল্ড |
21st Diwan of the Mysore kingdom | |
কাজের মেয়াদ ১৯২৪ – ১৯২৬ | |
সার্বভৌম শাসক | কৃষ্ণ রাজা ওয়ারিয়ার ৪র্থ |
পূর্বসূরী | এম কান্তরাজ উরস |
উত্তরসূরী | স্যার মির্জা ইসমাইল |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১০ অক্টোবর ১৮৭১ ব্রিস্টল, যুক্তরাজ্য |
মৃত্যু | ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৫০ কলকাতা ,ভারত | (বয়স ৭৮)
জাতীয়তা | ভারতীয় |
দাম্পত্য সঙ্গী | নলিনী বন্দ্যোপাধ্যায় |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বালিয়ল কলেজ, অক্সফোর্ড |
পেশা | বেসামরিক কর্মচারী |
প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা
সম্পাদনাঅ্যালবিয়ন ব্যানার্জি ১৮৭১ সালের ১০ ই অক্টোবর ব্রিস্টলের এক বাঙালি ব্রাহ্ম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন । তিনি কলকাতার বরানগরের প্রখ্যাত সমাজ সংস্কারক ও শ্রম কর্মী শশীপদ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বাঙালি শিক্ষাব্রতী ও সমাজকর্মী রাজকুমারী বন্দ্যোপাধ্যায়ের জ্যেষ্ঠ সন্তান ছিলেন। তিনি জেনারেল অ্যাসেমব্লির ইনস্টিটিউশন বর্তমানের স্কটিশ চার্চ কলেজে পড়াশোনা করেন এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন এবং পরে অক্সফোর্ডের বালিয়ল কলেজে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি ভারতের সপ্তম আইসিএস, স্যার কৃষ্ণ গোবিন্দ গুপ্ত,-এর কন্যা নলিনী গুপ্ত কে বিবাহ করেন। স্যার গুপ্ত সিভিল সার্ভিসে বিশেষভাবে সফল কর্মজীবনের শেষদিকে লন্ডনে রাষ্ট্রের কাউন্সিলের সচিব হয়েছিলেন।
কর্মজীবন
সম্পাদনাপ্রশাসনিক
সম্পাদনাতিনি ১৮৯৪ সালে ভারতীয় সিভিল সার্ভিস পাশ করেন এবং মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সিতে সহকারী কালেক্টর এবং ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত হন।
রাজনৈতিক
সম্পাদনা১৯০৭ সালের মে মাসে ব্যানার্জি কোচিনের দেওয়ান নিযুক্ত হন এবং ১৯১৪ সাল পর্যন্ত সে দায়িত্ব পালন করেন। [১] কোচিন স্টেট ম্যানুয়াল প্রবর্তনের ভার তার উপর ন্যস্ত ছিল। [২]
দেওয়ান বিশ্বেশ্বরায়ের অধীনে তিনি মহীশূরে মন্ত্রী (কাউন্সিলরদের পরিচয় ছিল) হিসাবে যোগদান করেছিলেন । দেওয়ান হিসাবে বিশ্বেশ্বরায় পদত্যাগ করার পরে তিনি দেওয়ান এম কান্তরাজ উরস এর অধীনে প্রথম কাউন্সিলর হন। তবে এম কান্তরাজ উরস শারীরিক অসুস্থতার জন্য অনেক আগেই মহীশূর চাকরি ছেড়ে দিতেন। শেষে দেওয়ান হিসাবে পদত্যাগ করার পরে তিনি ১৯২২-২৬ সাল পর্যন্ত মহীশূরের দেওয়ান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি ১৯২৪ সালের কাবেরী চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
১৯২৭ সালে তিনি কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত হন। তবে ডোগরা রাজার বিলাসিতার জীবনযাত্রা আর অন্যদিকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দুরাবস্থায় শাসকের সাথে মতবিরোধ হয় এবং শেষে ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে তিনিই প্রথম এবং একমাত্র ব্যক্তি যিনি নৈতিক কারণে পদত্যাগ করেন। তিনি লিখেছেন -
প্রকাশনা
সম্পাদনা- ইন্ডিয়ান অ্যাফেয়ারস (লন্ডন থেকে প্রকাশিত একটি ত্রৈমাসিক পত্রিকা)।
- ইন্ডিয়ান ট্যাঙ্গল (হাচমসন — লন্ডন)
- ইন্ডিয়ান পাথ-ফাইন্ডার (কেম্প হল প্রেস — অক্সফোর্ড)
- বেঁচে থাকার ছন্দ (রাইডার এবং কো লন্ডন)
- যুদ্ধের সময় সামনে (হারমনি প্রেস-লন্ডন)
- ভারতের সাথে কী ভুল (কিতাবস্থান — এলাহাবাদ)
- একটি ভারতীয় ক্যামেরার মাধ্যমে (বেঙ্গালুরু প্রেস)
সম্মাননা
সম্পাদনা- দ্য অর্ডার অফ ইন্ডিয়ান এম্পায়ার (১৯১২)
- দ্য অর্ডার অফ দ্য স্টার অফ ইন্ডিয়া (১৯২১)
- নাইটহুড (১৯২৫)
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- Who's who – India। Tyson & Co। ১৯২৭। পৃষ্ঠা 14।