অরবিন্দ কেজরীওয়াল
অরবিন্দ কেজরীওয়াল অরবিন্দ কেজরিওয়াল হলেন একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ, সমাজকর্মী এবং ভারতীয় রাজস্ব সেবার সাবেক কর্মকর্তা, যিনি বর্তমানে দিল্লির সপ্তম মুখ্যমন্ত্রী এবং আম আদমি পার্টির প্রতিষ্ঠাতা।
অরবিন্দ কেজরীওয়াল | |
---|---|
![]() | |
দিল্লির সপ্তম মুখ্যমন্ত্রী | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ২৮ ডিসেম্বর ২০১৩ | |
পূর্বসূরী | শীলা দীক্ষিত |
দিল্লি বিধানসভা | |
দায়িত্ব গ্রহণ | |
যার উত্তরসূরী | শীলা দীক্ষিত |
সংসদীয় এলাকা | নতুন দিল্লি |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | সিওয়ানি, হরিয়ানা | ১৬ আগস্ট ১৯৬৮
রাজনৈতিক দল | আম আদমি পার্টি |
দাম্পত্য সঙ্গী | সুনীতা কেজরিবাল |
সন্তান | দুই |
বাসস্থান | গাজিয়াবাদ, ভারত |
শিক্ষা | যন্ত্রপ্রকৌশলে বি.টেক |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, খড়গপুর |
ধর্ম | হিন্দু |
পুরস্কারাদি | রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার |
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/a/a7/Arvind_Kejriwal_smiling.jpg/286px-Arvind_Kejriwal_smiling.jpg)
প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা:
সম্পাদনাজন্ম 16 আগস্ট, 1968, ভারতের হরিয়ানার সিওয়ানিতে।ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (IIT) খড়গপুর থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক পাস করেন।অরবিন্দের বাবা গোবিন্দরাম মেসরার বিড়লা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির একজন ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন, এবং মা গীতা দেবী একজন গৃহিণী । অরবিন্দ ছিলেন তিন ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় ছেলে । অরবিন্দ আইআইটি স্নাতক হওয়ার পর, তিনি TATA স্টিল, জামশেদপুরে (ভারতের বৃহত্তম ইস্পাত কারখানা) তার কর্মজীবন শুরু করেন।1989 থেকে 1992 পর্যন্ত প্রায় চার বছর কাজ করেছেন। পরবর্তী কালে অরবিন্দ পদত্যাগ করেছিলেন, কারণ TATA কর্মকর্তারা তাকে তাদের সমাজকর্ম বিভাগে স্থানান্তর করার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ।আপনি কি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জীবন বা কর্মজীবনের কোন বিশেষ দিক সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য চান?
প্রাথমিক প্রভাব ছিল ভিপি সিং , যার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসাবে বোফর্স কেলেঙ্কারিতে সততা এবং প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মন্ডল কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে রিজার্ভেশন বাস্তবায়নের মাধ্যমে সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য যার প্রচেষ্টা, একজন তরুণ কেজরিওয়ালকে অনুপ্রাণিত করেছিল। 1995 সালে ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিসে (IRS) যোগ দেন। কেজরিওয়াল তার এনজিও পরিবর্তনে ফোকাস করার জন্য তিন বছর পরে আইআরএস ছেড়ে দেবেন। কলেজের দিন থেকে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা তাকে সরকারকে পরিশোধের জন্য ঋণ জোগাড় করতে সাহায্য করেছিল যখন তিনি সিভিল সার্ভিস থেকে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেছিলেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই এবং সুশাসনের প্রচারের লক্ষ্যে 2012 সালে আম আদমি পার্টি (AAP) সহ-প্রতিষ্ঠা করেন। 2013 সালের ডিসেম্বরে প্রথমবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হন কিন্তু জন লোকপাল বিল পাস করতে ব্যর্থতার কারণে 49 দিন পরে পদত্যাগ করেন।দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভের পর ফেব্রুয়ারী 2015 এবং ফেব্রুয়ারী 2020 এ আবার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে পুনঃনির্বাচিত।আপনি কি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জীবন বা কর্মজীবনের কোন বিশেষ দিক সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য চান?
বিতর্ক:২১ মার্চ ২০২৪-এ অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলার অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে গ্রেপ্তার হন। তিনি ভারতের মধ্যে প্রথম ক্ষমতাসীন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে গ্রেফতার হন। ইডি তাকে তাদের কর্মকর্তাদের গুপ্তচরবৃত্তির জন্য অভিযুক্ত করেছে। তিনি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের নয়টি সমন এড়িয়ে গিয়েছিলেন। দিল্লি হাইকোর্ট তার গ্রেফতারের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। তার মন্ত্রী, সত্যেন্দ্র জৈন এবং মণীশ সিসোদিয়াও প্রায় দুই বছর ধরে জামিন, বিচার বা দোষী সাব্যস্ত না হয়ে জেলে রয়েছেন। বিরোধী জোট ২০২৪ সালের ভারতীয় সাধারণ নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে গ্রেপ্তারকে বিজেপি কর্তৃক বানোয়াট এবং “ম্যাচ ফিক্সিং” বলে অভিহিত করেছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে যে রাজনৈতিক বিরোধীদের পিছনে যাওয়ার জন্য আর্থিক এবং সন্ত্রাসবাদের আইনগুলিকে অস্ত্র দেওয়া হয়েছে যখন বিজেপি অস্বীকার করেছে যে কেজরিওয়ালের পিছনে যাওয়ার কোনও রাজনৈতিক এজেন্ডা রয়েছে। বর্তমানে উনি জেল হেফাজতে আছেন।
- দিল্লিতে দূষণ কমাতে “অড-ইভেন” ট্রাফিক স্কিম চালু করেছে।
- বিনামূল্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য “মহল্লা ক্লিনিক” উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে।
- সরকারি স্কুলে শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য “দিল্লি শিক্ষা বিপ্লব” চালু করেন।
কেজরিওয়ালের প্রশাসন দিল্লির পাবলিক স্কুল এবং স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলিতে উল্লেখযোগ্য উন্নতির পাশাপাশি বাসিন্দাদের বিনামূল্যে জল এবং ভর্তুকিযুক্ত বিদ্যুতের ব্যবস্থা করার উদ্যোগের জন্য সুপরিচিত৷ বিভিন্ন রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং বিতর্কের সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও, তিনি ভারতীয় রাজনীতিতে একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং তৃণমূল গণতন্ত্রের পক্ষে।আরও পড়ুন
সম্পাদনা- Kejriwal, Arvind (২০১২)। SWARAJ। HarperCollins Publishers India। আইএসবিএন 9350299372। (সদস্যতা প্রয়োজনীয়)।
- Johri, Meera (২০১০)। Greatness of Spirit: Profiles of Indian Magsaysay Award Winners। Rajpal & Sons। পৃষ্ঠা 215 pages। আইএসবিএন 8170288584। (সদস্যতা প্রয়োজনীয়)।
- Bansal, Rashmi (২০১৩)। INTO THAT HEAVEN OF FREEDOM: ARVIND KEJRIWAL - EXTRACTED FROM I HAVE A DREAM। Westland। আইএসবিএন 9383260491। (সদস্যতা প্রয়োজনীয়)। ১০ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০১৪।
রাজনৈতিক দপ্তর | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী শীলা দীক্ষিত |
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ২৮ ডিসেম্বর ২০১৩ |
নির্ধারিত হয়নি |
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |