মুহাম্মাদ বিন আবদুল্লাহ মসজিদ

ভারতের অযোধ্যার ধন্নিপুরে অবস্থিত মসজিদ
(অযোধ্যা মসজিদ, ধান্নিপুর থেকে পুনর্নির্দেশিত)

মুহাম্মাদ বিন আবদুল্লাহ মসজিদ বা অযোধ্যা মসজিদ অযোধ্যা বিবাদ মামলার রায়ের পর ভারতের সুপ্রিম কোর্টের মনোনীত স্থানে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা জেলার ধন্নিপুরে নির্মিত হচ্ছে।[] ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের অধীনে মসজিদ ও সংশ্লিষ্ট প্রাঙ্গণের নির্মাণকাজ চলছে।[][] মসজিদটি অযোধ্যার রাম মন্দির থেকে প্রায় ২২ কিমি দূরে অবস্থিত।[]

মুহাম্মাদ বিন আবদুল্লাহ মসজিদ
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
শাখা/ঐতিহ্যসুন্নি
জেলাঅযোধ্যা জেলা
যাজকীয় বা
সাংগঠনিক অবস্থা
নির্মানাধীন
পরিচালনা সংস্থাউত্তরপ্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড
অবস্থান
অবস্থানধন্নিপুর, অযোধ্যা
পৌরসভাধন্নিপুর
রাজ্যউত্তর প্রদেশ
দেশভারত
মুহাম্মাদ বিন আবদুল্লাহ মসজিদ উত্তরপ্রদেশ-এ অবস্থিত
মুহাম্মাদ বিন আবদুল্লাহ মসজিদ
উত্তরপ্রদেশে অবস্থান
মুহাম্মাদ বিন আবদুল্লাহ মসজিদ ভারত-এ অবস্থিত
মুহাম্মাদ বিন আবদুল্লাহ মসজিদ
উত্তরপ্রদেশে অবস্থান
স্থানাঙ্ক২৬°৪৫′৪৩″ উত্তর ৮২°০০′০৭″ পূর্ব / ২৬.৭৬২° উত্তর ৮২.০০২° পূর্ব / 26.762; 82.002
স্থাপত্য
প্রতিষ্ঠাতাউত্তরপ্রদেশ সরকার
উত্তরপ্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড
ভূমি খনন২৬ জানুয়ারী ২০২১
অযোধ্যা বিবাদ
অযোধ্যার পুরাতত্ত্ব
(বিষ্ণু হরি শিলালিপি)
বাবরি মসজিদ
বাবরি মসজিদ ধ্বংস
রাম জন্মভূমি
অযোধ্যা গুলি চালানোর ঘটনা
২০০৫ রাম জন্মভূমি জঙ্গি হানা
সংগঠন
অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ
রাম জন্মভূমি ন্যাস
শিবসেনা
ভারতীয় জনতা পার্টি
লিবারহান কমিশন
নির্মোহী আখাড়া
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ
সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড
ব্যক্তিত্ব
বাবর
অশোক সিংঘল
অটলবিহারী বাজপেয়ী
লালকৃষ্ণ আডবাণী
কল্যাণ সিং
মুরলি মনোহর যোশী
উমা ভারতী

২০২১ সালের ২৬ জানুয়ারি মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু করা হয়।[] ১৮৫৭ সালের ভারতীয় স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতা আহমদুল্লাহ শাহের সম্মানে মসজিদটির আনুষ্ঠানিক নামকরণ করা হয় আহমদুল্লাহ শাহ মসজিদ, কিন্তু পরবর্তীতে এর নাম পরিবর্তন করে মুহাম্মাদ বিন আবদুল্লাহ মসজিদ করা হয়।[]

অবস্থান

সম্পাদনা

ধন্নিপুর হলো ফৈজাবাদ জেলার (অযোধ্যা জেলা) সোহাওয়াল তহসিলে অবস্থিত একটি গ্রাম। মসজিদের জন্য নির্ধারিত জমিটি বাবরি মসজিদ থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

নির্মাণ

সম্পাদনা

২০২১ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং চারা রোপণের মাধ্যমে উত্তরপ্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পটি চালু করে। মসজিদ প্রাঙ্গণে একটি হাসপাতাল, যাদুঘর, গ্রন্থাগার ও একটি রান্নাঘর রয়েছে, যেখানে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২,০০০ জন খেতে পারে। এছাড়াও একটি ইন্দো-ইসলামিক সংস্কৃতি গবেষনা কেন্দ্র ও একটি প্রকাশনা হাউস রয়েছে।[]

বিতর্ক

সম্পাদনা

অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড এর বিবৃতি অনুযায়ী, মসজিদটির নির্মাণ ওয়াকফ আইনের পরিপন্থী এবং শরিয়ত আইনের অধীনে বেআইনি।[] এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি দাবি করেন যে, মসজিদ নির্মাণের জন্য অর্থ দান করা এবং মসজিদে প্রার্থনা করা ইসলামি নীতি অনুসারে হারাম (নিষিদ্ধ), যার জবাবে মসজিদ ট্রাস্ট বলেছিল যে, "মানবতার সেবা করা হারাম নয়"।[]

মালিকানা বিরোধ

সম্পাদনা

দিল্লির দুই বোন এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চে একটি পিটিশন দাখিল করে মসজিদের জন্য বরাদ্দকৃত ২৮ একর জমির মালিকানা দাবি করে। তারা বলেছিল যে, দেশভাগের সময় তাদের বাবাকে এটা দেওয়া হয়েছিল।[]

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Srivastava, Prashant (২০২০-০২-০৭)। "Dhannipur near Ayodhya already has 15 mosques, local Muslims want hospital and college too"ThePrint (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৬-০৬ 
  2. Razak, Hanie Abdul (২০২১-০১-১৯)। "Construction of Ayodhya mosque to begin with flag-hoisting on Republic Day"The Siasat Daily – Archive (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০১-২৬ 
  3. "Ayodhya Mosque Work Starts On Republic Day With Tricolour Hoisting"NDTV.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-২৬ 
  4. "Ahmadullah Shah: Ayodhya Mosque to be named after the maulana who died for India's Independence"The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০১-২৫। ২০২১-০১-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-২৬ 
  5. "Ayodhya's Dhannipur mosque project launched with unfurling of tricolour on Republic day"Hindustan Times। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-২৯ 
  6. "Ayodhya mosque against Waqf Act, illegal under Shariyat law: AIMPLB"Hindustan Times (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-১২-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৬-০৬ 
  7. "Contributing for construction and prayers at Masjid in Ayodhya is 'haraam': Owaisi"Deccan Chronicle (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০১-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৬-০৬ 
  8. PTI (২০২১-০২-০৪)। "Delhi sisters claim ownership of land offered for Ayodhya mosque, move court"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৬-০৬