অযোধ্যা, বাঁকুড়া

পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের একটি গ্রাম

অযোধ্যা হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর মহকুমার বিষ্ণুপুর সমষ্টি উন্নয়ন এলাকার একটি গ্রাম।

অবস্থান সম্পাদনা

অযোধ্যা অবস্থিত২৩°০৯′১৬″ উত্তর ৮৭°১৬′৪৫″ পূর্ব / ২৩.১৫৪৩৮৮° উত্তর ৮৭.২৭৯২৫২° পূর্ব / 23.154388; 87.279252

যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পাদনা

অযোধ্যা গ্রাম মাকুড়গ্রাম জয়কৃষ্ণপুর সড়কের পাশেই অবস্থিত। সড়ক পথে অযোধ্যা থেকে মহকুমা সদর বিষ্ণুপুর ১৩.৭ কিমি ও জেলা সদর বাঁকুড়া ৩২.৯ কিমি দূরে অবস্থিত । এছাড়াও ৫.৫ কিমি দূরে জয়কৃষ্ণপুরে বিভিন্ন সড়ক পথের সংযোগ আছে । অযোধ্যার নিকটবর্তী রেলওয়ে স্টেশন বিষ্ণুপুর রেলওয়ে স্টেশন ১৭ কিমি দূরে অবস্থিত।

জনসংখ্যা সম্পাদনা

ভারতের ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে, অজোধ্যার মোট জনসংখ্যা ছিল ২৮৬২ জন, যার মধ্যে ১৪৪৫ (৫০%) পুরুষ এবং ১৪১৭(৫০%) মহিলা। ০-৬ বছর বয়সের মধ্যে ২৮০ জন ব্যক্তি ছিল। অজোধ্যায় মোট শিক্ষিত ব্যক্তির সংখ্যা ছিল ১৮৮০ জন (৬বছরের বেশি জনসংখ্যার (৭২.৮১%)। [১]

অযোধ্যা উচ্চ বিদ্যালয় হল ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি বাংলা মাধ্যম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পঞ্চম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদানের সুবিধা রয়েছে। বিদ্যালয়টিতে ১০টি কম্পিউটার এবং ১৯০০টি বই সহ একটি গ্রন্থাগার রয়েছে। [২]

ইতিহাস ও সংস্কৃতি সম্পাদনা

অযোধ্যা গ্রামেই আছে বিখ্যাত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি। আনুমানিক ১৮০৫ সালে, নিতাই বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুত্র রামমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় জমিদারি শুরু করেন। এই জমিদার ২২টি নীলকুঠি ও ৪৬টি মৌজার মালিক ছিলেন। রামমোহন ব্যানার্জী অত্যন্ত ধার্মিক, ন্যায়পরায়ণ ও উদার ছিলেন। ভাই গদাধর বন্দ্যোপাধ্যায় পরবর্তীকালে জমিদারির আরও উন্নতি করেন।

আরও, সিংহদ্বারের বাম দিকে দ্বাদশ শিব মন্দির, সামনে গিরিগোবর্ধন মন্দির, দোলমন্দির ও ঝুলন মন্দির, রাস মন্দির ছাড়াও রয়েছে দুর্গামন্দির, নাটমন্দির ও রাধাদামোদরজিউর মন্দির। রাধাদামোদরজিউ মন্দিরে দুটি শালগ্রাম শিলা রয়েছে - ছোটটি রাধাদামোদরজিউ এবং বড়টি বংশীগোপালজিউ। গিরিগোবর্ধন মন্দিরটি ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দের দিকে নির্মিত হয়েছিল। [৩] এই মন্দিরটি একটি অভিনব নির্মাণশৈলীর নিদর্শন।

ডেভিড জে. ম্যাককাচিয়ন অযোধ্যার রাসমঞ্চ (রাস-মন্দির) কে রেখা বুরুজ সহ সপ্তদাস-রত্ন হিসাবে উল্লেখ করেছেন। [৪]

স্বাস্থ্যসেবা সম্পাদনা

অযোধ্যায় একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে, যেখানে ৬ শয্যা রয়েছে। [৫]

নিকটবর্তী অন্যান্য স্থান সম্পাদনা

ডিহর , ধারাপাট, বিষ্ণুপুর, বহুলাড়া , শ্যামচাঁদ মন্দির প্রভৃতি ।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "CD block Wise Primary Census Abstract Data(PCA)"West Bengal – District-wise CD blocks। Registrar General and Census Commissioner, India। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০২০ 
  2. "Ajodhya High School"। Schools.org.in। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০২০ 
  3. Singha, Maniklal (১৯৭৭)। Paschim rarh tatha Bankura sanskriti। Chittaranjan Dasgupta। 
  4. McCutchion, David J., Late Mediaeval Temples of Bengal, first published 1972, reprinted 2017, page 76. The Asiatic Society, Kolkata, আইএসবিএন ৯৭৮-৯৩-৮১৫৭৪-৬৫-২
  5. "Health & Family Welfare Department" (পিডিএফ)Health Statistics – Primary Health Centres। Government of West Bengal। ২১ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০২০ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা