অপরাজেয় (চলচ্চিত্র)
অপরাজেয় ১৯৭০ সালের ৬ মে মুক্তিপ্রাপ্ত সমান্তরাল ধারা বা কলাত্মক ধারার প্রভাবপুষ্ট প্রথম অসমীয়া চলচ্চিত্র। ফণী তালুকদারের 'মোরে মলুয়া' শীর্ষক নাটকটির আধারে অতুল বরদনিয়ের চিত্রনাট্য রচনা করা ছবিটি 'চতুরঙ্গ' নামে চারিজন পরিচালক পরিচালনা করেছিলেন। পরিচালকরা ছিলেন- ফণী তালুকদার, অতুল বরদলৈ, গৌরী বর্মন ও মুনীন বায়ন। সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন সলিল চৌধুরী। নায়িকা ছিল বাংলা ও হিন্দী ছবির প্রখ্যাত অভিনেত্রী রাখী। তিনি এখানে একজন পূর্ববঙ্গীয় বাঙালী মেয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেন। নায়কের ভূমিকায় ছিলেন নবাগত প্রশান্ত হাজারিকা। অন্য একটি মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন পরাগধর চলিহা। সত্রনগরী বরপেটার পটভূমিতে রচিত কাহিনীটির কেন্দ্রীয় বিষয় হ'ল, একজন পূর্ববঙ্গীয় মেয়ে ও একজন বরপেটীয়া ডেকার প্রেম ও বিভিন্ন সংস্কারে ভরা সমাজের বাধা-বিপত্তি দূর করে লক্ষ্যস্থানে উপনীত হওয়ার প্রয়াস। কাহিনীর বিকাশে নাওখেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে।[১]
অপরাজেয় | |
---|---|
পরিচালক | চতুরঙ্গ |
কাহিনিকার | ফণী তালুকদার |
উৎস | অঁনাতার নাটক 'মোরে মলুয়া' |
শ্রেষ্ঠাংশে | রাখী প্রশান্ত হাজারিকা থেকেগধর চলিহা |
সুরকার | সলিল চৌধুরী |
মুক্তি | ১৯৭০ |
দেশ | ভারত |
ভাষা | অসমীয়া |
নির্মাণ
সম্পাদনাঅপরাজেয়র বহির্দৃশ্য গ্রহণ বরপেটা সত্র, মানাহ, উজনী অসমের চা বাগিচা, উত্তর গুয়াহাটীর ওপরের গ্রামে করা হয়েছিল। ছবিটিতে ছিল বরপেটার বিখ্যাত নাওখেলাএর দৃশ্য ও বলিউডের নৃত্যপটিয়সী লক্ষীছায়ার একটি নৃত্য। এই নৃত্যটির দৃশ্যগ্রহণ তথা রাখীর ঠোঁট মেলানো ও লতা মঙ্গেশকারের গাওয়া গানের বাণীবদ্ধন মুম্বাইএর স্টুডিওতে করা হয়েছিল।[১]