অখিল পাল
এই জীবিত ব্যক্তির জীবনীমূলক নিবন্ধটির তথ্য যাচাইয়ের জন্য অতিরিক্ত সূত্র থেকে উদ্ধৃতিদান করা প্রয়োজন। (সেপ্টেম্বর ২০২১) |
অখিল পাল (জন্ম: অক্টোবর ১৮, ১৯৭৪) বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান ভাস্কর শিল্পী। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের উপর বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে অনেকগুলো ভাস্কর্য তৈরি করেছেন।[১][২]
অখিল পাল | |
---|---|
জন্ম | |
পরিচিতির কারণ | ভাস্কর |
দাম্পত্য সঙ্গী | আর্দ্রিতা পাল রীমা |
সন্তান | অরুন্ধতি পাল |
পিতা-মাতা | পিতা - নরেন্দ্র পাল মাতা - সুধারানী পাল |
জন্ম ও পারিবারিক জীবন
সম্পাদনাঅখিল পাল জন্মগ্রহণ করেন ১৯৭৪ সালের ১৮ অক্টোবর নেত্রকোণা জেলার আটপাড়া উপজেলার লুনেশ্বর ইউনিয়নের লুনেশ্বর গ্রামে। বাবার নাম নরেন্দ্র পাল এবং মাতার নাম সুধারানী পাল। তিনি বাবা মায়ের আট সন্তানের মধ্যে সপ্তম। তার স্ত্রীর নাম আর্দ্রিতা পাল রীমা এবং এক কন্যা সন্তান যার নাম অরুন্ধতি পাল।[৩][৪]
শিক্ষাজীবন
সম্পাদনাঅখিল পাল শিক্ষা জীবনের শুরু গ্রামের লুনেশ্বরি সরকারি প্রাথমিক স্কুলে। মাধ্যমিক নাজিরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে। তারপর কলেজ জীবন কাটান আটপাড়া কলেজে। এরপর নারায়ণগঞ্জ চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে বিএফএ করেন।
কর্মজীবন
সম্পাদনাঅখিল পাল মূলত বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান ভাস্কর এবং তার কর্মজীবনও এই ভাস্কর্যের উপর। তিনি এই পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসের উপর তৈরি করা অনেক খ্যাতিসম্পূর্ণ ভাস্কর্য তৈরি করেছেন। যার ফলে তিনি অনেক সু-খ্যাতি অর্জন করেছেন। ছোটবেলা থেকে তার এই কাজের প্রতি অনেক আগ্রহ ছিল। প্রথমে তিনি মা এবং বড়ো ভাইয়ের কাছ থেকে প্রতিমা বানানো শিখেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীকালে তিনি বিভিন্ন ভাস্কর্য তৈরিতে পারদর্শী হয়ে উঠেন।
তৈরিকৃত ভাস্কর্যসমূহ
সম্পাদনাঅখিল পাল বাংলাদেশের ইতিহাসের উপর বিভিন্ন ধরনের এই পর্যন্ত অনেকগুলো ভাস্কর্য তৈরি করেছেন। অখিল পালের তৈরিকৃত এই পর্যন্ত যতগুলো ভাস্কর্য আছে, সেগুলোর তালিকা নিচে দেওয়া হলো।
- নটরাজের ভাস্কর্য,
- মোদের গরব,
- বিজয়োল্লাস,
- ওনুয়া স্মৃতি ভাস্কর্য (ওনুয়া স্মৃতি স্তম্ভ),
- ফিরে দেখা একাত্তর,
- শ্রেষ্ঠ সন্তান (ভাস্কর্য),
- স্বাধীনতা চত্বর,
- অদম্য বিজয়,
- ভাস্কর্য প্রজন্ম
- কুপি বাতি ভাস্কর্য, বামন গাঁও, বারহাট্টা ইত্যাদি
পুরস্কার ও সম্মাননা
সম্পাদনাবাংলাদেশ মানবাধিকার নাট্য পরিষদ থেকে ২০১৪ সালে গুণীজন সংবর্ধনা পুরস্কার লাভ করেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "খ্যাতিমান ভাস্কর অখিল পাল"। ৩০ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ "আটপাড়ার অন্যতম ভাষ্কর অখিল পাল"। নেত্রকোণা জার্নাল (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৭-০৮। ২০২২-১১-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৬-২২।
- ↑ agaminews.com (ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২২)। "মাতৃভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় ভাস্কর্য নিরব ভূমিকা পালন করে: ভাস্কর্য শিল্পী অখিল পাল"। agaminews.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৬-২২।
- ↑ "সাক্ষাৎকার।। ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় ভাস্কর্য নিরব ভূমিকা পালন করে-ভাস্কর অখিল পাল।। প্রবীর সাহা"। চাতাল (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৫-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৬-২২।