স্লিপনট
স্লিপনট একটি মার্কিন হেভি মেটাল ব্যান্ড যা ১৯৯৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া অঙ্গরাজ্যে গঠিত হয়। এই ব্যান্ডের সদস্য হলো ৯ জন, তবে ২০১০ সালের ২৪শে মে বেজিস্ট পল গ্রে-এর মৃত্যুতে ব্যান্ডে মাত্র ৮ জন সদস্য বাকি থাকে; যারা হলেন সিড উইলসন, জয়ি জর্ডিসন, ক্রিস ফেন, জিম রুট, ক্রেইগ জোনস, শন ক্লাউন ক্রাহান, মিক থমসন ও কোরে টেইলর। তাদের সবাই অদ্ভুত হাস্যজনক মুখোশ পরিধান করে থাকেন। ১৯৯৯ সালে তাদের প্রথম অ্যালবাম বের হয়, যা ছিল সেলফ-টাইটেলড ডেবিউ অ্যালবাম। ২০০৮ সালের ২৫ শে আগস্ট তাদের ৪র্থ স্টুডিও অ্যালবাম বের হয় যা বিলবোর্ডে ১ম অবস্থানে অভিষিক্ত হয়। ব্যান্ডটির সারা বিশ্বে ২০১০ সালের মে পর্যন্ত ১৪ মিলিয়নেরও বেশি অ্যালবাম বিক্রি হয়।[১]
স্লিপনট | |
---|---|
প্রাথমিক তথ্য | |
উদ্ভব | আইওয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
ধরন | হেভি মেটাল, ন্যু মেটাল, অল্টারনেটিভ মেটাল |
কার্যকাল | ১৯৯৫–বর্তমান |
লেবেল | রোডরানার রেকর্ডস, নিউক্লিয়ার ব্ল্যাস্ট রেকর্ডস |
সদস্য | সিড উইলসন জয়ি জর্ডিসন ক্রিস ফেন জিম রুট ক্রেইগ জোনস শন ক্লাউন ক্রাহান মিক থমসন কোরে টেইলর |
প্রাক্তন সদস্য | পল গ্রে |
ওয়েবসাইট | SlipKnot1.com |
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গিটারিস্ট ডনি স্টীল ব্যান্ডকে ছেড়ে বের হয়ে আসেন তার খ্রিস্টান ধর্ম বিশ্বাসের জন্য। তার বদলে দলে যোগ দেন ক্রেইগ জোনস। ডিজে সিড উইলসন ব্যান্ডটার প্রতি আগ্রহ ও সদস্যদের সন্তুষ্ট করে ব্যান্ডের যোগ দেন ১৯৯৮ সালে। ১৯৯৮ সালের ৮ই জুলাই ব্যান্ডটি রোডরানার রেকর্ডসের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। ২৮শে আগস্ট ২০০৮-এ ব্যান্ডের আইওয়া নামের ২য় অ্যালবাম বের হয়। এই অ্যালবাম বাণিজ্যিকভাবে সফল হয় বিলবোর্ডের ৩য় অবস্থানে গিয়ে ও ইংল্যান্ডে ১ম অবস্থানে পৌছে।[২] ২০০২ সালে স্লিপনট আইওয়া ওয়ার্ল্ড ট্যুরে বের হয়। রিডিং ফেস্টিভ্যালে অংশ নেয়ার পর বিবিসি বলে যে স্লিপনট শো টা চুরি করেছে ও প্রমাণ করে যে তারা আনন্দদায়ী ব্যান্ড। ঐ বছরেই তারা ২য় ডিভিডি অ্যালবাম বের করে যার না ডিসেস্টারপিসেস। ২০০২ সালের শেষের দিকে গুজব ওঠে যে স্লিপনট ভেঙ্গে যাচ্ছে। ২০০৪ সালের মে মাসে তাদের ৩য় অ্যালবাম বের হয় নিউক্লিয়ার ব্ল্যাস্ট রেকর্ডস থেকে। এই অ্যালবামটিও ব্যবসা সফল হয়ে ওঠে বিলবোর্ডের ২য় অবস্থানে গিয়ে। ২০০৫ সালে ১লা নভেম্বর তারা তাদের প্রথম লাইভ অ্যালবাম বের করে যা বিলবোর্ডের ১৭ তম অবস্থানে যায়। ২০০৬ সালে ব্যান্ডটি তাদের ১ম গ্রামি এডওয়ার্ড জিতে নেয়। ২০০৮ সালের ২০শে আগস্ট স্লিপনট ব্যান্ডের ৪র্থ স্টুডিও অ্যালবাম বের হয় যা বিলবোর্ডে ১ম স্থানে অবস্থান করে। অ্যালবামটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৮ লক্ষ ২৫ হাজার কপি বিক্রি হয়।
২০০৮ সালের শেষের দিকে স্লিপনট ইংল্যান্ড সফর করে মেসিন হেড ও চিল্ড্রেন অব বডমের সাথে। ২০০৯ সালের গ্রীষ্মে ব্যান্ডটি নানা স্থানে ইউরোপীয়ান ফেস্টিভ্যালে অংশ নেয় যার মধ্যে সনিস্ফিয়ার ফেস্টিভ্যাল, রক এ্যাম রিং, ডাউনলোড ফেস্টিভ্যাল। ২০১০ সালের ২৪শে মে বেজিস্ট পল গ্রে মাত্রারিক্ত মরফিন ও ফেন্টানাইল গ্রহণের ফলে মৃত্যুবরণ করেন। ব্যান্ডটি তারপর থেকে দ্বিধা করছে তাদের কোন রকম ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা বলতে।ড্রামার জয়ি জর্ডিসন বলেন যে তারা ২০১২ সালে তাদের পরবর্তী অ্যালবাম বের করবেন।
ব্যান্ডটির সঙ্গীতের পেছনে মূল অনুপ্রেরণা ছিল মেটালিকা, হোয়াইট জোম্বি, লেড জেপলিন, জুডাস প্রিস্ট, ব্ল্যাক সাবাথ,স্লেয়ার, কর্ন, কিস ও বিস্টি বয়েজ। তারা ন্যু মেটাল ব্যান্ড হলেও ব্ল্যাক মেটাল, ডেথ মেটাল এবং হেভি মেটাল থেকে তারা অনুপ্রেরণা পেয়েছে। ২০০২ সালে ব্যান্ডটিকে ২য় সেরা ন্যু মেটাল ব্যান্ড হিসেবে নির্বাচিত হয়, ১ম হয় লিম্প বিজকিট। অলমিউজিকের রিক অ্যান্ডারসন বলেন যা তাদের গানের কথা পারিবারিক ওয়েবসাইটে বিবৃত করার যোগ্য না। তাদের পরা মুখোশকে অনেক সমালোচক বলেন যে ভাওতাবাজি করে অ্যালবাম বিক্রি করার কৌশল মাত্র। ব্যান্ডটি অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলে যে এটা করা হয় সবার মনোযোগ থেকে দূরে থাকতে ও সঙ্গীত সৃষ্টিতে মনোনিবেশ করতে। মাশরুমহেড ব্যান্ড দাবি করে যে মুখোশ পড়ার পরিকল্পনাটি স্লিপনট তাদের থেকে চুরি করেছে।
ডিস্কোগ্রাফি
সম্পাদনা- স্লিপনট (১৯৯৯)
- আইওয়া (২০০১)
- দ্যা সাবলিমিন্যাল ভার্সেস(২০০৪)
- অল হোপ ইজ গোন (২০০৮)
বর্তমান ব্যান্ড সদস্য
সম্পাদনা- সিড উইলসন
- জয়ি জর্ডিসন
- ক্রিস ফেন
- জিম রুট
- ক্রেইগ জোনস
- শন ক্লাউন ক্রাহান
- মিক থমসন
- কোরে টেইলর
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Slipknot bassist Paul Gray dead"। {{subst:LC:M}}etro। ২০১০-০৫-২৫। ২০১০-০৫-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৯-১১।
- ↑ "Billboard.com's page on Iowa"। {{subst:LC:B}}illboard। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৯-১২।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- MFKR Biography ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৬ জানুয়ারি ২০০৯ তারিখে
- Slipknot Biography
- Hammer