রিজিওন্যাল ফোর ডে কম্পিটিশন
রিজিওন্যাল ফোর ডে কম্পিটিশন (ইংরেজি: Regional Four Day Competition) ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট প্রতিযোগিতাবিশেষ।[১] পূর্বে এ প্রতিযোগিতাটি শেল শীল্ড ও ক্যারিব বিয়ার কাপ নামে পরিচিত ছিল। ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ কর্তৃক এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ২০১৩-১৪ মৌসুমের প্রতিযোগিতায় শিরোপা বিজয়ী দলকে ডব্লিউআইসিবি প্রেসিডেন্টস ট্রফি ও নক-আউট প্রতিযোগিতায় জর্জ হ্যাডলি/এভারটন উইকস ট্রফি প্রদান করা হয়।[২] পূর্বেকার কয়েক মৌসুমে প্রতিযোগিতার শিরোপা বিজয়ী দলকে হ্যাডলি/উইকস ট্রফি প্রদান করা হয়েছে। ২০১৭-১৮ মৌসুম থেকে প্রতিযোগিতায় বাণিজ্যিকভাবে ডিজিসেলের সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ায় এ প্রতিযোগিতাটি ডিজিসেল ফোর ডে চ্যাম্পিয়নশীপ নামে পরিচিতি পাচ্ছে।[৩][৪] ২০১৯-২০ মৌসুমের প্রতিযোগিতাটি ওয়েস্ট ইন্ডিজ চ্যাম্পিয়নশীপ নামে পরিচতি পাচ্ছে।
রিজিওন্যাল ফোর ডে কম্পিটিশন | |
---|---|
দেশ | ![]() |
ব্যবস্থাপক | ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ (সিডব্লিউআই) |
খেলার ধরন | প্রথম-শ্রেণী (৪-দিন) |
প্রথম টুর্নামেন্ট | ১৯৬৫-৬৬ |
প্রতিযোগিতার ধরন | রাউন্ড রবিন, সেমি-ফাইনাল |
দলের সংখ্যা | ৮ |
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন | বার্বাডোস |
সর্বাধিক সফল | বার্বাডোস – ২২ শিরোপা (এছাড়াও ১টি যৌথভাবে) |
সর্বাধিক রান | গর্ডন গ্রীনিজ (বার্বাডোস) - ৯৯৫৬ |
সর্বাধিক উইকেট | কোর্টনি ওয়ালশ (জ্যামাইকা) - ৪১৯ |
![]() |
সাতটি ক্যারিবীয় দলের মাঝে এ প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়। মাঝে-মধ্যে অন্যান্য দেশের দলও এতে অংশ নেয়। চারটি ক্যারিবীয় দল - বার্বাডোস, গায়ানা, জ্যামাইকা এবং ত্রিনিদাদ ও টোবাগো তাদের দেশ থেকে এবং দুইটি দল - লিওয়ার্ড আইল্যান্ডস ও উইন্ডওয়ার্ড আইল্যান্ডস দল এতে অংশ নেয়। শেষের দুইটি দল কম্বাইন্ড আইল্যান্ডস নামে কয়েকটি দেশ ও অঞ্চলকে যুক্ত করে পূর্বে অংশ নিয়েছিল। ২০০৭-০৮ মৌসুমের শুরুতে কম্বাইন্ড ক্যাম্পাসেস ও কলেজের ক্রিকেট দল (সিসিসি ক্রিকেট দল) এ প্রতিযোগিতায় যুক্ত হয়। তবে, জুলাই, ২০১৪ সালে ডব্লিউআইসিবি ঘোষণা করে যে, ডব্লিউআইসিবির ক্রিকেট পরিচালক রিচার্ড পাইবাস মার্চ, ২০১৪ সালের এক প্রতিবেদনে পরিবর্তনের অংশ হিসেবে দলটিকে বাদ দেয়া হয়েছে।[৫]
বর্তমানে এ প্রতিযোগিতায় দ্বৈত রাউন্ড-রবিন লীগ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সর্বাধিকসংখ্যক পয়েন্ট লাভের অধিকারী দল শিরোপা বিজয় করবে। ২০১৪-১৫ মৌসুমের পূর্বে প্রতিযোগিতাটি কেবলমাত্র একবার রাউন্ড-রবিন লীগ পদ্ধতিতে খেলার পর সেমি-ফাইনাল ও ফাইনাল খেলায় সীমাবদ্ধ ছিল। অতীতে কোন নক-আউট পদ্ধতি ছিল না ও প্রয়োজনে যৌথভাবে ট্রফি প্রদান করা হতো।
বর্তমান শিরোপাধারী দল হচ্ছে গায়ানা। বার্বাডোস দল সর্বাধিকসংখ্যক বাইশবার (একবার যৌথভাবে) শিরোপা জয় করে। অন্যদিকে, জ্যামাইকা সর্বাধিকসংখ্যক ধারাবাহিকভাবে পাঁচবার জয় করেছে।
অংশগ্রহণকারী দল সম্পাদনা
২০০৭-০৮ মৌসুম থেকে নিম্নবর্ণিত দলগুলো প্রত্যেক প্রতিযোগিতায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে:
- বার্বাডোস (বর্তমানে বিশেষ প্রাধিকারপ্রাপ্ত নাম হচ্ছে বার্বাডোস প্রাইড)[৬]
- গায়ানা (বর্তমানে বিশেষ প্রাধিকারপ্রাপ্ত নাম হচ্ছে গায়ানা জাগুয়ার্স)[৬]
- জ্যামাইকা (জ্যামাইকা ফ্রাঞ্চাইজ নামে ডাকা হলেও[৬] পরবর্তীতে বর্তমানে বিশেষ প্রাধিকারপ্রাপ্ত নাম জ্যামাইকা স্কর্পিয়ন্স রাখা হয়।)[৭]
- লিওয়ার্ড আইল্যান্ডস (বর্তমানে বিশেষ প্রাধিকারপ্রাপ্ত নাম হচ্ছে লিওয়ার্ড আইল্যান্ডস হারিক্যান্স)[৬]
- ত্রিনিদাদ ও টোবাগো (বর্তমানে বিশেষ প্রাধিকারপ্রাপ্ত নাম হচ্ছে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো রেড ফোর্স)[৬]
- উইন্ডওয়ার্ড আইল্যান্ডস (বর্তমানে বিশেষ প্রাধিকারপ্রাপ্ত নাম হচ্ছে উইন্ডওয়ার্ড আইল্যান্ডস ভলক্যানোস)[৬]
এছাড়াও, নিম্নবর্ণিত দলসমূহ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে:
- কম্বাইন্ড আইল্যান্ডস – ১৯৬৫/৫৫ - ১৯৮০/৮১
- ইংল্যান্ড লায়ন্স – ২০০০/০১ (ইংল্যান্ড এ দল নামে), ২০১০-১১
- ওয়েস্ট ইন্ডিজ বি দল - ২০০০/০১ - ২০০৩/০৪
- বাংলাদেশ এ দল – ২০০১/০২
- ভারত এ দল – ২০০২/০৩
- কেনিয়া – ২০০৩/০৪
- কম্বাইন্ড ক্যাম্পাসেস ও কলেজেস - ২০০৭/০৮ - ২০১৩/১৪
পয়েন্ট পদ্ধতি সম্পাদনা
২০১০-১১ মৌসুম থেকে পেশাদারী ক্রিকেট লীগ চালু হবার পূর্ব-পর্যন্ত অংশগ্রহণকারী দলসমূহ একে-অপরের সাথে একবার দ্বৈত রাউন্ড-রবিন পদ্ধতিতে অংশ নেয়। এরপর, লীগের শীর্ষ চার দল সেমি-ফাইনালে অবতীর্ণ হয়।
নিম্নবর্ণিত পদ্ধতিতে পয়েন্ট প্রদান করা হয়:
- সরাসরি জয় - ১২
- ১ম ইনিংসে এগিয়ে থেকে পরাজয় - ৪
- ১ম ইনিংসে টাই থেকে পরাজয় - ৩
- ১ম ইনিংসে পিছিয়ে থেকে পরাজয় - ০
- টাই - ৮
অসমাপ্ত খেলা
- ১ম ইনিংসে এগিয়ে থাকলে - ৬
- ১ম ইনিংসে পিছিয়ে থাকলে - ৩
- ১ম ইনিংসে টাই হলে - ৪
ড্র খেলায় সমান রান
- ৪র্থ ইনিংসে ব্যাটিংরত - ৮
- ১ম ইনিংসে এগিয়ে থেকে ৪র্থ ইনিংসে ফিল্ডিংরত - ৬
- ১ম ইনিংসে রান সমান হলে - ৪
- ১ম ইনিংসে পিছিয়ে থাকলে - ৩
পরিত্যক্ত খেলা
কোন কারণে খেলা না হলে বা ১ম ইনিংসের মাধ্যমে ফলাফল না হলে উভয় দল ৩ পয়েন্ট করে পাবে।[৮]
প্রতিযোগিতায় অবস্থান সম্পাদনা
দল অনুযায়ী শিরোপা সম্পাদনা
দল | শিরোপা লাভ |
---|---|
বার্বাডোস | ২২ (এছাড়াও ১বার যৌথভাবে) |
জ্যামাইকা | ১২ |
গায়ানা | ১০ (এছাড়াও ১বার যৌথভাবে) |
ত্রিনিদাদ ও টোবাগো | ৪ (এছাড়াও ১বার যৌথভাবে) |
লিওয়ার্ড আইল্যান্ডস | ৩ (এছাড়াও ১বার যৌথভাবে) |
কম্বাইন্ড আইল্যান্ডস | ১ |
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ "Regional Four Day Competition 2008/09"। ১০ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;WICB 4 day media release
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "2017-18 Digicel Regional 4-Day schedule"। ১৫ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ Digicel 4-Day Championship - Jaguars win again[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Combined Campuses and Colleges excluded from WI first-class
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ Jamaica Franchise at home against Leeward Islands Hurricanes ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৭ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে
- ↑ Myers, Sanjay (২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "Jamaica Scorpions is said to be name of cricket franchise"। Jamaica Observer। ৩১ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২০।
- ↑ "Regional Four Day Competition, 2011/12 / Points table"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০১২।