২০০৮ বাংলাদেশ-মিয়ানমার সমুদ্র বিরোধ

২০০৮ বাংলাদেশ-মিয়ানমার সমুদ্র বিরোধ হলো বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং মিয়ানমার নৌবাহিনীর মধ্যে সমুদ্র বিরোধ। কূটনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে এই বিরোধ মীমাংসিত হয়েছিল। ২০১২ সালে এই দুই দেশ আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের সাহায্যে তাদের সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করেছিল।

২০০৮ বাংলাদেশ মায়ানমার সমুদ্র বিরোধ
তারিখ২-৭ নভেম্বর ২০০৮
অবস্থান
উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর
ফলাফল

বিরোধ মীমাংসিত হয়েছিল কূটনৈতিক সমঝোতার পরে।

  • মিয়ানমার কর্তৃক তুলে নেয়া হয়েছিল
অধিকৃত
এলাকার
পরিবর্তন
অপরিবর্তিত; বিরোধ মীমাংসা হয়েছিল আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন বিচার পরিষদ
বিবাদমান পক্ষ
বাংলাদেশ নৌ বাহিনী মায়ানমার নৌ বাহিনী
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী
ফখরুদ্দিন আহমেদ
সারওয়ার জাহান নিজাম
থান সুই
নান তুন

পটভূমি সম্পাদনা

বঙ্গোপসাগরে রয়েছে বিস্তৃত এবং বিশাল তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস সম্পদ।[১] ২০০৮ সালের নভেম্বরে মিয়ানমার দক্ষিণ কোরীয় কোম্পানি ডাউইকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম ৫০ নটিক্যাল মাইল অঞ্চলে অনুসন্ধানের জন্য পাঠায়।[২] সীমানা টি বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের নিজ নিজ অনন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল দ্বারা বেষ্টিত ছিল।

বিরোধ সম্পাদনা

আন্তর্জাতিক আইনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে,সমুদ্র বিরোধ এর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ-মিয়ানমার কে ওই অঞ্চলে অনুসন্ধান চালাতে নিষেধ করেছিল। বাংলাদেশের অনুরোধ না রাখার পর বাংলাদেশ নৌ বাহিনী ওই অঞ্চলে তিনটি সমুদ্র বহর বিএনএস আবু বকর, বিএনএস মধুমতি এবং বিএনএস নির্ভয় প্রেরণ করে।[৩] মিয়ানমার অন্তত দুইটি রণতরী মোতায়েন করে।[৪]

সমঝোতা সম্পাদনা

বাংলাদেশ সরকারের বক্তব্য ঐ তথাকথিত অঞ্চলে ভালোভাবেই পালন করা হচ্ছিল। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেন এবং কূটনীতিক প্রতিনিধিদল নিয়ে ইয়াঙ্গুন যান। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও সীমানা যেকোনো মূল্যে রক্ষা করার প্রতিজ্ঞা করেন।[৫][৬] তবে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।[২]

প্রত্যাহার সম্পাদনা

২০০৮ সালের ৭ নভেম্বর বলা হয়েছিল যে মিয়ানমার তার সমুদ্র জাহাজ এবং ডাউই কে উক্ত অঞ্চল থেকে সরিয়ে ফেলেছে।[৭]

রায় সম্পাদনা

২০০৯ সালে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সমুদ্র বিরোধ আইনের মাধ্যমে ওই অঞ্চলকে নিজেদের বলে দাবি করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে উভয় দেশই ২০১২ সালে উক্ত বিচারে উপস্থিত হয়েছিল।[৮]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Randeep Ramesh। "বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার বঙ্গোপসাগরে নৌবহর পাঠায়Bangladesh and Burma send warships into Bay of Bengal | World news"। দ্য গার্ডিয়ান। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-২৭ 
  2. Johnston, Alan (২০০৮-১১-০৩)। "South Asia|Bangladesh and Burma in oil row"। BBC News। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-২৭ 
  3. Sea border issue fails to grab govt focus। "Myanmar brings warships to explore Bangladesh waters"। The Daily Star। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-২৭ 
  4. "Bangladesh-Myanmar in standoff"। Al Jazeera English। ২০০৮-১১-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-২৭ 
  5. "Bangladesh-Burma (Myanmar) maritime boundary dispute escalates"CSMonitor.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-২৭ 
  6. "Dhaka puts border guards on high alert: Villagers told to be ready for evacuation"। Dawn.Com। ২০০৮-১১-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-২৭ 
  7. "Dhaka refuses to retreat, Myanmar withdraws two navy ships"। Outlookindia.com। ২০০৮-১১-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-২৭ 
  8. "Judgment in Bangladesh-Myanmar Maritime Boundary Dispute | International Law Observer | A blog dedicated to reports, commentary and the discussion of topical issues of international law"। Internationallawobserver.eu। ২০১৭-১০-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-২৭