হেন্ড্রিক আন্টোন লোরেন্‌ৎস

ওলন্দাজ পদার্থবিজ্ঞানী

হেন্ড্রিক আন্টোন লোরেন্‌ৎস (ওলন্দাজ: Hendrik Antoon Lorentz) একজন ওলন্দাজ পদার্থবিজ্ঞানী যিনি ১৯০২ সালে পিটার জেমানের সাথে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তারা জেমান ক্রিয়া আবিষ্কার এবং এর বিস্তর ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য এই পুরস্কার পেয়েছিলেন।

হেন্ড্রিক আন্টোন লোরেন্‌ৎস
হেন্ড্রিক আন্টোন লোরেন্‌ৎস
জন্মজুলাই ১৮, ১৮৫৩
মৃত্যুফেব্রুয়ারি ৪, ১৯২৮
জাতীয়তা ডাচ
মাতৃশিক্ষায়তনলিডেন বিশ্ববিদ্যালয়
পরিচিতির কারণইএম বিকিরণের তত্ত্ব
পুরস্কার পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার (১৯০২)

ForMemRS(১৯০৫)
রামফোর্ড পদক(১৯০৮)
ফ্রাঙ্কলিন পদক(১৯১৭)

কপলি পদক(১৯১৮)
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রপদার্থবিজ্ঞানী
প্রতিষ্ঠানসমূহলিডেন বিশ্ববিদ্যালয়
ডক্টরাল উপদেষ্টাপেট্রাস লিওনার্ডাস রাইক
ডক্টরেট শিক্ষার্থীগিরট্রুইডা দ্য হ্যাস-লরেঞ্জ
অ্যাড্রিয়ান ফকার
Leonard Ornstein
Hendrika Johanna van Leeuwen
অ্যালবার্ট আইনস্টাইন এবং হেন্ড্রিক অ্যান্টুন লরেন্টজ, ১৯২১ সাল

প্রাথমিক জীবন

সম্পাদনা

লোরেন্‌ৎস নেদারল্যান্ডের গেল্ডারল্যান্ডের আর্নহেমে ১৮৬৩ সালের ১৮ই জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম গেরিট ফ্রেডেরিক লোরেন্‌ৎস (১৮২২ - ১৮৯৩) (Gerrit Frederik Lorentz) যিনি একজন দোকানদার ছিলেন। মা'র নাম গিরটুইডা ভ্যান গিনকেল (Geertruida van Ginkel)। ১৮৬২ সালে মা মারা যাওয়ার পর তার বাবা লুবারটা হাপকিসকে বিয়ে করেন। ১৮৬৬ - ১৮৬৯ সাল পর্যন্ত তিনি আর্নহেমের নব্য প্রতিষ্ঠিত একটপ উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। ১৮৭০ সালে তিনি চিরায়ত ভাষা বিষয়ের পরীক্ষাগুলোতে উত্তীর্ণ হন। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য এই পরীক্ষায় পাশ করতে হতো। লোরেন্‌ৎস লিডেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞান এবং গণিত বিষয়ে পড়াশোনা করেন। সে সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানের অধ্যাপক ফ্রেডেরিক কাইসার কর্তৃক ব্যাপক প্রভাবিত হন। তার উৎসাহেই তিনি একজন পদার্থবিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। স্নাতক ডিগ্রী অর্জনের পর ১৮৭২ সালে আর্নহামে ফিরে গিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গণিত পড়ানো শুরু করেন। এর পাশাপাশি তিনি লিডেনে তার পড়াশোনাও চালিয়ে যেতে থাকেন। ১৮৭৫ সালে লোরেন্‌ৎস অধ্যাপক পিটার রাইকের অধীনে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। তার পিএইচডি থিসিসের বিষয় ছিলো "Over de theorie der terugkaatsing en breking van het licht" (আলোর প্রতিফলন এবং প্রতিসরণের উপর গবেষণা)। এই গবেষণাপত্রেই তিনি জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েলের তড়িৎ-চৌম্বক তত্ত্ব সংশোধন করে তাকে নতুন রূপ দান করেন।

১৮৮১ সালে আলেটা ক্যাথারিনা কাইসারকে বিয়ে করার মাধ্যমে তার পারিবারিক জীবনের সূচনা হয়। ক্যাথারিনা ফ্রেডেরিক কাইসারের ভাতিজি ছিলো। তার বাবার নাম ইয়োহান ভিলহেল্‌ম কাইসার যিনি আমস্টারডামের এনগ্রেভিং স্কুলের পরিচালক, চারু কলার অধ্যাপক এবং ১৮৫২ সালে নেদারল্যান্ডে প্রচলিত ডাচ ডাক স্ট্যাম্পের নকশাকার। এরপর কাইসার আমস্টারডামের ন্যাশনাল গ্যালারি হিসেবে পরিচিত রাইক্‌স জাদুঘরের পরিচালকও ছিলেন। হেনড্রিক এবং আলেটার বড় মেয়েও একজন পদার্থবিজ্ঞানী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিলো। তার নাম গিরট্রুইডা দ্য হ্যাস-লরেঞ্জ (Geertruida de Haas-Lorentz)।

লিডেনের অধ্যাপক

সম্পাদনা

১৮৭৮ সালে লোরেন্‌ৎস লিডেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে প্রতিষ্ঠিত নতুন পদে একজন অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ পান। ১৮৭৮ সালের ২৫ জানুয়ারিতে লোরেন্‌ৎস বিশ্ববিদ্যালয়ে তার প্রথম লেকচার দেন যার বিষয় ছিলো "De moleculaire theoriën in de natuurkunde" (পদার্থবিজ্ঞানের আণবিক তত্ত্বসমূহ)।

লিডেনে অধ্যাপনার প্রথম বিশ বছর লোরেন্‌ৎস তাড়িতচৌম্বক তত্ত্ব এবং তড়িৎ, চুম্বক ও আলোর সম্পর্ক নিয়ে গবেষণায় উৎসাহী ছিলেন। এরপর তার কর্মক্ষেত্র আরও অনেক প্রসারিত করেন যদিও সেসব ক্ষেত্রও তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের সাথেই সম্পর্কিত ছিল। তার প্রকাশিত নিবন্ধ ও অন্যান্য রচনা থেকে জানা যায় যে তিনি বলবিজ্ঞান, তাপগতিবিজ্ঞান, গতিবিজ্ঞান, কঠিন অবস্থা তত্ত্ব, আলো এবং প্রোপাগেশন বিষয়ে অবদান রেখেছেন। তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিলো তড়িৎচুম্বকত্ব, ইলেক্ট্রন তত্ত্ব এবং আপেক্ষিকতা বিষয়ে।

পুরস্কার ও সম্মাননা

সম্পাদনা

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র ও আনুষঙ্গিক অধ্যয়ন

সম্পাদনা
  • টেমপ্লেট:হার্ভার্ড তথ্যসূত্র [Translation by Joh. C. Fagginger Auer].
  • van Delft, Dirk (২০০৪)। "The case of the stolen rooms"। European Review12 (1): 95–109। ডিওআই:10.1017/S1062798704000080  অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  • Brown, Harvey R. (২০০১)। "The origins of length contraction: I. The FitzGerald–Lorentz deformation hypothesis"। American Journal of Physics69 (10): 1044–1054। ডিওআই:10.1119/1.1379733  অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  • Kox, AJ (১৯৯৭)। "The discovery of the electron: II. The Zeeman effect"। Eur. J. Phys.18 (3): 139–144। ডিওআই:10.1088/0143-0807/18/3/003  অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  • Kox, AJ (১৯৯৬)। "H.A. Lorentz: Sketches of his work on slow viscous flow and some other areas in fluid mechanics and the background against which it arose"। Journal of Engineering Mathematics30 (1-2): ii+1–18। ডিওআই:10.1007/BF00118820  অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  • Kox, AJ (১৯৯৩)। "Einstein, Lorentz, Leiden and general relativity"। Classical and Quantum Gravity10: S187–S191। ডিওআই:10.1088/0264-9381/10/S/020  অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  • Kox, AJ (১৯৯০)। "H. A. Lorentz's contributions to kinetic gas theory"Annals of Science47 (6): 591 – 606। ডিওআই:10.1080/00033799000200411  অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  • Kox, AJ (১৯৮৮)। "H.A. Lorentz: Hendrik Antoon Lorentz, the ether, and the general theory of relativity"। Archive for History of Exact Sciences38 (1): 67–78। ডিওআই:10.1007/BF00329981  অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  • Klein, M. J. (1967) "Letters of wave mechanics: Schrödinger, Planck, Einstein, Lorentz" (ed. K. Przibram), Philosophical Library, New York.
  • Langevin, P. (1911) "L'évolution de l'éspace et du temps", Scientia, X, 31-54
  • Larmor, J. (1897) "On a dynamical theory of the electric and luminiferous medium", Phil. Trans. Roy. Soc. 190, 205-300 (third and last in a series of papers with the same name).
  • Lorentz, H. A. Versuch Einer Theorie der Elektrischen und Optischen Erscheinungen in Bewegten Körpern, Leiden (book). ("Towards a theory of electrical and optical phenomena of moving bodies")
  • Lorentz, H. A. (1899) "Simplified theory of electrical and optical phnomena in moving systems", Proc. Acad. Science Amsterdam, I, 427-43.
  • Lorentz, H. A. (1904) "Electromagnetic phenomena in a system moving with any velocity less than that of light", Proc. Acad. Science Amsterdam, IV, 669-78.
  • Lorentz, H. A. (1931) Lectures on Theoretical Physics (vol.I-III), authorized translation, Macmillan and co, London.
  • Macrossan, M. N. (1986) "A note on relativity before Einstein", Brit. J. Phil. Sci., 37, 232-234
  • Poincaré, H. (1900) "La théorie de Lorentz et le principe de réaction", Archives Neerlandaises, V, 253-78.
  • Poincaré, H. (1902) La Science et l'Hypothèse. Quote from the English translation Science and Hypothesis, Walter Scott (1905) as republished unabrodged by Dover 1952, p. 175.
  • Poincaré, H. (1905) "Sur la dynamique de l'électron", Comptes Rendues, 140, 1504-8.
  • Poincaré, H. (1913) Dernières Pensées Ernest Flammarion 1913. Quote from English translation: Mathematics and Science: Last Essays, Dover 1963.

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা