হিন্দ নওফাল

সিরীয় লেখিকা

হিন্দ নওফাল (আরবি: هند نوفل, ১৮৬০–১৯২০) ছিলেন একজন লেবাননের অ্যান্টিওক গ্রিক সনাতনপন্থী সাংবাদিক এবং নারীবাদী লেখক।[১][২] তিনি ছিলেন আরব বিশ্বের ও বিস্তৃত মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলের প্রথম নারী যিনি একটি মহিলা পত্রিকা প্রকাশ করেন এবং নারীবাদের প্রাথমিক প্রবর্তক।

হিন্দ নওফাল
জন্মহিন্দ নওফাল
১৮৬০
ত্রিপোলি, উসমানীয় সিরিয়া
মৃত্যু১৯২০ (বয়স ৫৯–৬০)
উল্লেখযোগ্য রচনাআল ফাতাত ম্যাগাজিন
দাম্পত্যসঙ্গীহাবিব ডাব্বানা
আত্মীয়মরিয়ম নওফাল (née al-Nahhas) (মা), নাসিম নওফাল (বাবা), সারাহ (বোন)

প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা

হিন্দ নওফালের জন্ম আধুনিক লেবাননের ত্রিপোলিতে[৩]তার মা, মরিয়ম আল-নাহাস বৈরুত এ জন্মগ্রহণ করেছিলেন। নাহাস বিয়ের আগে বৈরুতে সেসময়ের নাগরিক অস্থিরতা এবং অর্থনৈতিক হতাশার মাঝে বড় হয়েছিলেন। তিনি মাত্র ১৬ বছর বয়সে তার থেকে ১০ বছরের বড় নওফালের বাবা নাসিমকে বিয়ে করেছিলেন। নাসিম নওফাল ত্রিপোলির গ্রিক সনাতনপন্থী পরিবারের একজন ছিলেন এবং নওফালকে খ্রিষ্টান হিসেবে গড়ে তোলেন।[৪]

নাওয়াল বৈরুত এর মিশন স্কুলে পড়াশোনা করেন। হিন্দের পরিবার উসমানীয় সিরিয়ায় উসমানীয় প্রহরতা থেকে পালিয়ে ১৮৭০ এর দশকে আলেকজান্দ্রিয়ায় বসতি স্থাপন করে, যেখানে হিন্দ একটি কনভেনেন্ট স্কুলে পড়াশোনা করেন।[৩][৫][৬] খেদিভ ইসমাইল পাশা এর শাসনামলে, মিশর প্রকাশনায় তার একচেটিয়া নীতি পরিত্যাগ করেছিল এবং ১৮৮২ সালে মিশরের ব্রিটিশ দখল এর সময় থেকে প্রেসে তার সেন্সরশিপও সীমিত করে দিয়েছিল। উচ্চশ্রেণীর সাহিত্যে নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্তরা বিনিয়োগ করতে শুরু করলে, ছাপাখানার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং একইভাবে সাহিত্য সামগ্রীর প্রচলনও বৃদ্ধি পেয়েছিল।

হিন্দ নওফাল সেই সময় অনন্যা ছিলেন যে তিনি এমন একটি পরিবার থেকে এসেছিল যেখানে তার মা এবং বাবা উভয়ই লেখক ছিলেন। হিন্দির মা মরিয়ম পূর্ব ও পশ্চিমা মহিলাদের জীবনীভিত্তিক অভিধান, ম'রিদ আল-হাসনা ফি তারাজিম মাশারহির আল-নিসা (মহিলা সেলিব্রিটিদের জীবনীর জন্য সুন্দর মহিলার প্রদর্শন) লিখেছিলেন। তিনি এটি ইসমাইলের তৃতীয় স্ত্রী রাজকুমারী চেশমত হানিমকে উৎসর্গ করেছিলেন, যিনি এর পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।[৭] হিন্দির বাবা এবং চাচা মিশর সরকারের সাংবাদিক এবং অনুবাদক হিসাবে কাজ করেছিলেন।[৮] পরে তার বাবা হিন্দের ম্যাগাজিনের অফিস পরিচালনা করেন যেখানে তার বোন সারাও সাহায্য করে।[৯]

আল ফাতাত সম্পাদনা

নওফাল ১৮৯২ সালের ২০ নভেম্বর তার পত্রিকা আল ফাতাত (দ্য ইয়ং ওম্যান) শুরু করেছিলেন, এমন সময়ে যখন সংবাদপত্র এবং বৈজ্ঞানিক জার্নালের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান ছিল এবং মহিলা পাঠক সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছিল।[১০]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Zeidan, Joseph (১৯৯৫)। Arab Women Novelists: The Formative Years and Beyond। পৃষ্ঠা 46। আইএসবিএন 9780791421710 
  2. Ende, Werner (২০১০)। Islam in the World Today: A Handbook of Politics, Religion, Culture, and Society। Cornell University Press। পৃষ্ঠা 639। আইএসবিএন 978-0801464898 
  3. Khairallah, Shereen (১৯৯৬)। "The Sisters of Men: Lebanese Women in History"। পৃষ্ঠা 178–179। 
  4. Baron, Beth (১৯৯৭)। The Women's Awakening in Egypt: Culture, Society, and the Press। Yale University Press। পৃষ্ঠা 14। 
  5. Elsadda, Hoda (২০১২)। Gender, Nation, and the Arabic Novel: Egypt, 1892-2008। Edinburgh University Press। পৃষ্ঠা 9। 
  6. Baron, Beth (১৯৯৭)। The Women's Awakening in Egypt: Culture, Society, and the Press। Yale University Press। পৃষ্ঠা 16। 
  7. Baron, Beth (১৯৯৭)। The Women's Awakening in Egypt: Culture, Society, and the Press। Yale University Press। পৃষ্ঠা 14। 
  8. Zeidan, Joseph (১৯৯৫)। Arab Women Novelists: The Formative Years and Beyond। SUNY Press। পৃষ্ঠা 46। 
  9. Baron, Beth (১৯৯৭)। The Women's Awakening in Egypt: Culture, Society, and the Press। Yale University Press। পৃষ্ঠা 16। 
  10. Elsadda, Hoda (২০০৬)। "Gendered Citizenship: Discourses on Domesticity in the Second Half of the Nineteenth Century"। Hawwa4 (1): 1–28। ডিওআই:10.1163/156920806777504562