হার্হি দেবালয় আসাম-এর লখিমপুর জেলা-এর অন্তর্গত ঢকুয়াখানা শহর থেকে প্রায় চার কি.মি. উত্তর-পূর্বে হার্হি নদীর পারে অবস্থিত এক দেবালয়। ঢকুয়াটিতে প্রচলিত জনশ্রুতি অনুসারে হার্হি শব্দটি পূর্বে সার্হি ছিল। এই অঞ্চলের লোকেরা ‘‘সার্হি’’ শব্দটি জাগ্রত অর্থে ব্যবহার করেন। পরে পীঠটির মূল অর্থটি হয়- "জাগ্রত দেবালয়"।

হার্হি দেবালয়
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিহিন্দুধর্ম
জেলালখিমপুর জেলা
অবস্থান
দেশভারত

ইতিহাস সম্পাদনা

জনশ্রুতি মতে এই দেবালয় টির অধিস্থাত্রী দেবী হচ্ছেন পূর্বের চুতীয়াদের আরাধ্য দেবী সদেয়া (শদিয়া)র বিখ্যাত তাম্রেশ্বরী মন্দিরের কেঁচাইখাটি গোসাঁনী বা দেবী দিক্করবাসিনী। আহোম-চুতীয়ার শেষ যুদ্ধে চুতীয়ারা পরাস্ত হওয়ায় দেবালয়ের নিরাপত্তা তথা দেবী বিগ্রহের সাথে দেবালয়ত থাকা শিব, দূর্গা, গঙ্গা, মনসা, গণেশ ইত্যাদির শিলামূর্তি এবং বালিকাটা দা, পূজার বিভিন্ন সামগ্রীর সাথে দেবালয়ের সাথে জড়িত বিভিন্ন বৃত্তিধারী মানুষকে সাথে নিয়ে লুইতেদি ভটিয়া হাবুং (বর্তমানের ঢকুয়াখানা) অঞ্চল পায় এবং সেখানে বিগ্রহাদি স্থাপন করে নিয়মিত পূজা করতে থাকে। অবশ্য পরের পর্যায়ে দেবালয়টি আহোম স্বর্গদেউদের পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেছিলেন বলে জানা যায়। রুদ্রসিংহ, শিবসিংহ এবং লক্ষ্মীসিংহ স্বর্গদেব এই দেবালয়টিতে জমি, অনেক পরিমাণের সম্পত্তি এবং দেব-দেবীর মূর্তি প্রদান করেছিলেন বলে জানা যায়৷ সেগুলি এখনও দেবালয়টিতে বিরাজমান।

এই দেবালয়ে থাকা উল্লেখযোগ্য সামগ্রীগুলির মধ্যে ১০ থেকে ১২ কিলোগ্রাম পর্যন্ত ওজনের তেরটি বালিকাটা দা, সাঁচিপাতার একটি কীর্তনপুথি, শালগ্রাম মন্ত্রপুথি, কেঁকোরা দোলা, বিভিন্ন বাদ্য-যন্ত্র ইত্যাদি প্রধান। এই দেবালয়টিতে পূর্বে নরবলি দেয়ার প্রথা ছিল বলে জানা যায়৷