স্বামী ঘানানন্দ সরস্বতী

স্বামী ঘনানন্দ সরস্বতী (জন্ম- কিউসি এসেল; ১২ সেপ্টেম্বর ১৯৩৭ - ১৮ জানুয়ারী ২০১৬), সাধারণত স্বামী ঘনানন্দ নামে পরিচিত ছিলেন। ঘানার আদিবাসী হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন বিশিষ্ট স্বামী (সন্ন্যাসী), এবং আফ্রিকান বংশের প্রথম হিন্দু স্বামী।[১] তিনি ১৯৭৫ সালে ভারতের প্রয়াত স্বামী কৃষ্ণানন্দের দ্বারা একজন স্বামী হিসাবে দীক্ষিত হন এবং ঘানার আক্রাতে আফ্রিকার হিন্দু মঠের প্রধান ছিলেন।[২]

স্বামী ঘানানন্দ সরস্বতী
জন্ম(১৯৩৭-০৯-১২)১২ সেপ্টেম্বর ১৯৩৭
মৃত্যু১৮ জানুয়ারি ২০১৬(2016-01-18) (বয়স ৭৮)
পেশাSwami
Śishya of Swami Krishnananda

জীবণ চরিত সম্পাদনা

প্রাথমিক জীবণ সম্পাদনা

স্বামী ঘনানন্দ ১২ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৭ সালে ঘানার মধ্য অঞ্চলের একটি গ্রাম-সেনিয়া বেরাকুতে কুয়েসি এসেল হিসাবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।[৩] তার পরিবার স্থানীয় ঘানার ধর্ম পালন করত, কিন্তু তার বাবা-মা পরে খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত হন। অল্প বয়স থেকেই স্বামী ঘনানন্দ মহাবিশ্বের রহস্যের প্রতি আগ্রহী ছিলেন এবং বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থ পড়তেন।[৪]

ভারতে যাত্রা সম্পাদনা

হিন্দুধর্মের উপর কিছু বই পড়ার পর, ঘনানন্দ উত্তর ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের ঋষিকেশে যান। তিনি সেখানে একজন আধ্যাত্মিক গুরুর সাথে কিছু সময় কাটিয়েছিলেন যিনি তাকে আক্রাতে মঠ খোলার পরামর্শ দিয়েছিলেন।[৫]

স্বামী কৃষ্ণনন্দের সাথে প্রথম দেখা সম্পাদনা

১৯৬২ সালে, স্বামী ঘনানন্দ আক্রাতে চলে আসেন এবং ২৪ নভেম্বর তিনি ডিভাইন মিস্টিক পাথ সোসাইটি গঠন করেন। এরপর তিনি উত্তর ভারতের হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত ঋষিকেশের ডিভাইন লাইফ সোসাইটির সাথে হিন্দু জীবনধারার(সনাতন ধর্ম) চিঠিপত্রের পাঠক্রম শুরু করেন, যেখানে তিনি ভারতের স্বামী কৃষ্ণানন্দের সাথে প্রথম দেখা করেন এবং তার শিষ্য হন। তারপর ১৯৭৫ সালে স্বামী কৃষ্ণানন্দ স্বামী ঘনানন্দকে একজন স্বামী হিসাবে দীক্ষা দেন।[৬]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Swami Ghanananda Saraswati"Wikipedia (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০১-২৯। 
  2. "Ghana's unique African-Hindu temple"BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১০-০৬-২৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৮ 
  3. "Swami Ghanananda Saraswati"Wikipedia (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০১-২৯। 
  4. "Ghana's unique African-Hindu temple"BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১০-০৬-২৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৮ 
  5. "Ghana's unique African-Hindu temple"BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১০-০৬-২৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৮ 
  6. "Ghana's unique African-Hindu temple"BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১০-০৬-২৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৮ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা