স্ত্রী (১৯৭২-এর চলচ্চিত্র)
স্ত্রী হলো একটি জনপ্রিয় বাংলা চলচ্চিত্র যা পরিচালনা করেন সলিল দত্ত।[১] এই চলচ্চিত্রটি বিখ্যাত লেখক বিমল মিত্র এর গল্প থেকে নির্মিত।[২] এই চলচ্চিত্রটি ১৯৭২ সালে বেবীজুন প্রোডাকশন ব্যানারে মুক্তি পেয়েছিল এবং এই চলচ্চিত্রটি সংগীত পরিচালনা করেছিলেন নচিকেতা ঘোষ।[৩] এই চলচ্চিত্রটির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন উত্তম কুমার,[৪] আরতি ভট্টাচার্য , সৌমিত্র চ্যাটার্জী, সুলতা চৌধুরী।[৫]
স্ত্রী | |
---|---|
পরিচালক | সলিল দত্ত |
চিত্রনাট্যকার | সলিল দত্ত |
কাহিনিকার | বিমল মিত্র |
শ্রেষ্ঠাংশে | উত্তম কুমার আরতি ভট্টাচার্য সৌমিত্র চ্যাটার্জী সুলতা চৌধুরী |
সুরকার | নচিকেতা ঘোষ |
প্রযোজনা কোম্পানি | বেবীজুন প্রোডাকশন |
মুক্তি | ১৯৭২ |
দেশ | ভারত |
ভাষা | বাংলা |
কাহিনী
সম্পাদনাসীতাপতি (সৌমিত্র চ্যাটার্জী), একজন গৃহহীন যুবক, মাধব দত্তের (উত্তম কুমার) বাড়িতে এসে আশ্রয় নেয় এবং তার ক্যামেরাম্যানের চাকরি পায়। সীতাপতিকে আবিষ্কার করেন তার প্রাক্তন বান্ধবী মৃন্ময়ী (আরতি ভট্টাচার্য) বর্তমানে মাধব দত্তের স্ত্রী। মাধবের বহুবিবাহ, বাইজী নাচ এবং মৃন্ময়ী একাকীত্ব কাটানোর জন্য সীতাপতির সঙ্গে তার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ককে প্ররোচিত হয়। বাইজী নাচ এবং মদ্যপান, প্রেম, বিশ্বাসঘাতকতা - সীতাপতির লেন্সে সবই ধরা পড়ে। অবশেষে, সীতাপতি বাড়ি ছেড়ে চলে যান এবং কিছু দিন পর মৃন্ময়ী মারা যান এবং ধীরে ধীরে মাধব তাদের সম্পর্কের কথা জানতে পারেন। মাধব এই কথা সহ্য করতে পারে না যে তার স্ত্রী ব্যভিচার করেছে। সে প্রতিশোধ নিতে যায় এবং সীতাপতিকে গুলি করার আগেই তিনি মারা গেছেন, তারপর উন্মাদ হয়ে নিজেকে গুলি করেন।
শ্রেষ্ঠাংশে
সম্পাদনা- উত্তম কুমার - মাধব দত্ত (জমিদার)[৬]
- সৌমিত্র চ্যাটার্জী - সীতাপতি
- আরতি ভট্টাচার্য - মাধব দত্তের স্ত্রী
- ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়
- জহর রায় - গোবর্ধন চৌধুরী
- তরুণ কুমার - সীতাপতির শ্যালক
- সুব্রতা চট্টোপাধ্যায় - সীতাপতির বোন
- সুলতা চৌধুরী - পরিচারিকা
- মনি শ্রীমণি
- অমরনাথ মুখোপাধ্যায় - আইনজীবী
- অশোক মিত্র
- রসরাজ চক্রবর্তী
- পারিজাত বোস
- অজয় বন্দ্যোপাধ্যায়
- কল্যাণী ঘোষ
- অরিন্দম গাঙ্গুলী
- ঝুমা মুখোপাধ্যায়
সাউন্ডট্রাক
সম্পাদনাসকল গানের সুরকার নচিকেতা ঘোষ।
গান | |||
---|---|---|---|
নং. | শিরোনাম | শিল্পী | দৈর্ঘ্য |
১. | "যেমন সাপিনীকে পোষ মানায় ওঝা" | মান্না দে | ৩:১১ |
২. | "সাক্ষী থাকুক ঝরা পাতা" | হেমন্ত মুখোপাধ্যায় | ৩:১৭ |
৩. | "হাজার টাকার ঝাড়বাতিটা" | হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, মান্না দে | ৪:১৪ |
৪. | "খিড়কি থেকে সিন্ধু দোয়ার" | হেমন্ত মুখোপাধ্যায় | ৩:৩০ |
৫. | "সখী কালো আমার ভালো লাগে না" | হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, মান্না দে | ৩:০২ |
অভ্যর্থনা
সম্পাদনাএই ছবিতে উত্তম কুমার তাঁর ক্যারিয়ারের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অভিনয় করেছেন এবং এটিকে তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ছবিও ধরা হয়। লম্পট অথচ সরল জমিদারের চরিত্রে তাঁর এই অভিনয়কে অন্যতম শ্রেষ্ঠ অভিনয়ও বলা হয়। কিন্তু উত্তম কুমার বলেছিলেন যে তিনি আগাগোড়া কিংবদন্তি অভিনেতা ছবি বিশ্বাসকে নকল করে গেছেন।
ছবিটি সমালোচক মহল থেকে বহুল প্রশংসিত হয় এবং বক্স অফিসেও ব্লকবাষ্টার হয়। ছবিটি টানা ২৪ সপ্তাহ প্রেক্ষাগৃহে চলে।
পুরস্কার
সম্পাদনাবি এফ জে এ পুরস্কার মঞ্চে এটি রীতিমতো আধিপত্য গড়ে এবং প্রায় ছটি পুরস্কার জিতে নেয়।
- বাংলা চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি পুরস্কার (১৯৭৩)
- সেরা অভিনেতা - উত্তম কুমার
- সেরা সহ-অভিনেতা - সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়
- সেরা সংলাপ - সলিল দত্ত
- সেরা গানের কথা - পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়
- সেরা সঙ্গীত - নচিকেতা ঘোষ
- সেরা প্লেব্যাক গায়ক (পুরুষ) - মান্না দে
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Bollywood Movie Stree 1972"। stree-1972.bollyviews.com। ২০২১-০৯-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-২৪।
- ↑ Says, Vivian। "Stree-Bengali Movie – Calcutta Tube" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-২৪।
- ↑ "Stree on Moviebuff.com"। Moviebuff.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-২৪।
- ↑ Chaudhuri, Shantanu Ray (২০১৮-০৭-২৪)। "10 Best Performances Of 'Mahanayak' Uttam Kumar"। Film Companion (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-২৪।
- ↑ "Stree (1972) - Review, Star Cast, News, Photos"। Cinestaan। ২০২১-০৯-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-২৪।
- ↑ "Bengali films that proved Uttam Kumar was not just a romantic matinee idol"। The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-২৪।
- ↑ https://www.hungama.com/album/stree-bengali/1874750/
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে স্ত্রী (ইংরেজি)