সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান

বাংলাদেশী আওয়ামীলীগ রাজনীতিবিদ

সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান (সুখন) বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য ও শিল্প উদ্যোক্তা।[১]

সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান (সুখন)
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
০৭ জানুয়ারি ২০২৪
পূর্বসূরীবি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম
সংসদীয় দলস্বতন্ত্র
সংসদীয় এলাকানাসিরনগর উপজেলা
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মসৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান (সুখন)
(1957-01-01) ১ জানুয়ারি ১৯৫৭ (বয়স ৬৭)
চাপরতলা, নাসিরনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বাংলাদেশ
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
ডাকনামসুখন

প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা

সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান নাসিরনগর উপজেলার চাপরতলা গ্রামে ১লা জানুয়ারি ১৯৫৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম সৈয়দ কিউ জামান এবং মাতার নাম সৈয়দা জামান। একরামুজ্জামান একজন ব্যবসায়ী। এক তথ্যে জানা যায় যায় যে সৈয়দ কে একরামুজ্জামান দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন জমাদান করা ব্যক্তিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত ব্যক্তি। একরামুজ্জামান আর এ কে সিরামিক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এছাড়াও তিনি স্টার সিরামিক লিমিটেড, স্টার পোর্সেলিন ও এসএকে কনজ্যুমার এর চেয়ারম্যান।

রাজনৈতিক জীবন সম্পাদনা

সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান (সুখন) বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি এই ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে এর আগেও বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ছিল। তিনি নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এর প্রার্থী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক এর সাথে নির্বাচনে পরাজিত হন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এর প্রার্থী বদরুদ্দোজা ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের সাথে পরাজিত হয়। উল্লেখ্য, সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান সুখনকে বিএনপির সকল পদ থেকে ২৮ নভেম্বর ২০২৩ সালে বহিষ্কার করা হয়। তিনি এখন নিরদলীয়। তিনি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৮৯,৪২৪ ভোট পেয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বদরুদ্দোজা ফরহাদ হোসেন সংগ্রামকে ৪৩,২২৫ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

আলোচনা সমালোচনা সম্পাদনা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ঋণ ও দায় থাকা প্রার্থীদের তালিকায় শীর্ষে ছিলেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা ও খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান। তাঁর মোট ঋণ বা দায়ের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা। নির্বাচন কমিশনে প্রার্থীদের জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ সালে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে টিআইবি। প্রতিবেদনের উপস্থাপনায় একরামুজ্জামানের মোট ঋণ বা দায়ের এ তথ্য তুলে ধরা হয়।

তবে মোট সম্পদমূল্যের হিসাবে দ্বিতীয় অবস্থানেও ছিলেন একরামুজ্জামান। হলফনামা অনুযায়ী, তাঁর সম্পদমূল্য ৪২১ কোটি ১৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ, তাঁর সম্পদমূল্য মোট ঋণ ও দায়ের এক-তৃতীয়াংশ।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২৪-০১-০৭)। "নৌকাকে হারিয়ে জয়ী বিএনপির বহিষ্কৃত একরামুজ্জামান"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০১-০৭ 

https://www.tbsnews.net/bangla/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6/news-details-188666

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা