সেন্ট লুসিয়ার ইতিহাস

ইতিহাসের বিভিন্ন দিক

সেন্ট লুসিয়ার ইতিহাস বলতে এই ক্যারিবিয় দ্বীপ-রাজ্যের ইতিহাসকে বোঝায়।

অষ্টাদশ শতাব্দীতে সেন্ট লুসিয়ায় নিয়মিত ব্রিটিশ এবং ফরাসিদের মধ্যে লড়াই হয়, এই চিত্রকর্মটিতে সেন্ট লুসিয়া যুদ্ধ চিত্রিত হয়েছে, যেখানে ১৭৭৮ সালের ১৫ ডিসেম্বর অ্যাডমিরাল ডিইস্টাইং (বামে) এর নেতৃত্বে ১২ টি ফরাসি জাহাজ অ্যাডমিরাল ব্যারিংটনের নেতৃত্ত্বাধীন সাতটি ব্রিটিশ জাহাজকে (ডানদিকে) আক্রমণ করে।

প্রাক-ঔপনিবেশিক সময়কাল সম্পাদনা

কারো কারো মতে সেন্ট লুসিয়ায় প্রথম খ্রিস্টপূর্ব ১০০০ থেকে ৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যে সিবোনিবাসীরা বসবাস শুরু করেছিল, তবে দ্বীপে তাদের উপস্থিতির খুব বেশি প্রমাণ নেই। প্রথম প্রমাণিত বাসিন্দারা হলো শান্তপ্রকৃতির আরাওয়াকরা, মনে করা হয় যে তারা ২০০ থেকে ৪০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে দক্ষিণ আমেরিকার উত্তরাংশ থেকে এসেছিল কারণ এই দ্বীপে অসংখ্য প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান রয়েছে যেখানে আরাওয়াকদের সু-উন্নত মৃৎশিল্পের নমুনাসমূহ পাওয়া গেছে। প্রমাণ হিসাবে বলা হয় যে দ্বীপটির এই প্রথম বাসিন্দারা আয়ুয়ানালাও নামে অভিহিত, যার অর্থ 'ইগুয়ানার দেশ', দ্বীপে অনেক ইগুয়ানা থাকার কারণে এই নামে অভিহিত করা হয়।[১]

অত্যধিক আক্রমণাত্মক ক্যারিবরা ৮০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে এখানে পৌঁছেছিল এবং আরাওয়াক পুরুষদের হত্যা করে এবং নারীদেরকে তাদের সমাজে অন্তর্ভুক্ত করে আরাওয়াকদের কাছ থেকে এর নিয়ন্ত্রণ দখল করে।[১] তারা দ্বীপটিকে হওয়ানারাউ এবং পরবর্তীকালে হেওয়ানোরা (আয়ুয়ানালাও বা "সেখানে ইগুয়ানা পাওয়া যায়") নামে ডাকে।[২] এটি ভিউক্স দুর্গে হেওয়ানোরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নামের উৎস। বংশানুক্রমিক রাজা এবং শামান সহ ক্যারিবদের মিশ্র সমাজ ছিল। তাদের যুদ্ধ ক্যানো ১০০ জনেরও বেশি পুরুষ বহন করতে পারতো এবং পালতোলা জাহাজ ধরার জন্য যথেষ্ট দ্রুতগতি সম্পন্ন ছিল। যুদ্ধে তাদের হিংস্রতার জন্য আক্রমণকারী ইউরোপীয়রা পরে তাদের ভয় পেত।

ষোড়শ শতাব্দী সম্পাদনা

ক্রিস্টোফার কলম্বাস তার চতুর্থ অভিযাত্রার সময় ১৫০২ সালে দ্বীপটি প্রত্যক্ষ করেন, যেহেতু তিনি মার্টিনিকে অভ্যাগমন করেছিলেন অথচ তিনি তাঁর লগে দ্বীপটির উল্লেখ করেননি। জুয়ান দে লা কোসা ১৫০০ সালের মানচিত্রে দ্বীপটি চিহ্নিত করেছিলেন, একে এল ফ্যালকন এবং দক্ষিণে লাস আগুজাস-এর অন্য একটি দ্বীপ বলে উল্লেখ করেন। ১৫১১ সালের একটি স্পেনীয় সেডুলা স্পেনীয় রাজ্যর মধ্যে দ্বীপটির কথা উল্লেখ করেছে এবং ১৫২০ সালে নির্মিত ভ্যাটিকানের একটি ভূগোলকে দ্বীপটিকে সাঙ্কটা লুসিয়া হিসাবে দেখানো হয়। ১৫২৯ সালের স্পেনীয় মানচিত্রে এস. লুজিয়া নামে দেখানো হয়।[১][২]:১৩–১৪

১৫৫০ এর দশকের শেষের দিকে ফরাসি জলদস্যু ফ্র্যাঞ্চোস লে ক্লার্ক (তার কাঠের পায়ের কারণে জাম্বে দে বোইস নামে পরিচিত) পিজিয়ন দ্বীপে একটি শিবির স্থাপন করেছিল, সেখান থেকে সে স্প্যানিশ জাহাজগুলিকে পাশ কাটিয়ে আক্রমণ করে।[১][২]:২১

সপ্তদশ শতাব্দী সম্পাদনা

 
সপ্তদশ শতকের গোড়ার দিকে সেন্ট লুসিয়ায় স্পেনীয় জাহাজ এবং ক্যারিব নৌকা।

১৬০৫ সালে ওলিফ ব্লোসোম নামক একটি ইংরেজ জাহাজ গায়ানা যাওয়ার পথে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং প্রথম দিকে ক্যারিব প্রধান অ্যান্টনি স্বাগত জানানোর পর ৬৭ জন উপনিবেশবাদী সেন্ট লুসিয়ায় একটি উপনিবেশ শুরু করেছিল। ১৬০৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ক্যারিব প্রধান অগ্রাউমার্টের ক্রমাগত আক্রমণে মাত্র ১৯ জন জীবিত ছিল, ফলে তারা দ্বীপ থেকে পালিয়ে যায়।[২]:১৬–২১

ইংরেজ নথিপত্র দাবি করে যে বারমুডা থেকে ঔপনিবেশিকরা এই দ্বীপটিতে ১৬৩৫ সালে বসতি স্থাপন করেছিল এবং ফরাসী পেটেন্টের একটি চিঠি দাবি করে যে ১৬৩৫ সালের ৮ মার্চ একজন মনসিয়র পিয়েরে বেলাইন দ’এস্নাম্বুক তাঁর ভাইপো মনসিউর দু পারকুইট এর উত্তরসূরি হয়েছিলেন। টমাস ওয়ার্নার ৩০০ থেকে ৪০০ জন ইংরেজসহ ক্যাপ্টেন জুডলিকে প্রাস্লিন উপসাগরে একটি বসতি স্থাপনের জন্য প্রেরণ করেছিলেন কিন্তু ক্যারিবরা তাদের তিন সপ্তাহের মধ্যে আক্রমণ করেছিল ফলে অবশিষ্ট কিছু ইংরেজ ১৬৪০ সালের ১২ অক্টোবর পালিয়ে যায়। ফ্রান্সের রাজা ত্রয়োদশ লুই ১৬৪২ সালে এই দ্বীপটি ফরাসি ওয়েস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে দিয়ে দেন। ১৬৫০ সালে ক্যাপ্টেন দু পারকুইট এবং মনসিয়র হাউয়েল দ্বীপটি কিনে নিয়ে দে রুসেলান এবং ৪০ জন ফরাসীকে লা তোক বা তাপিয়নের অন্তরীপে একটি দুর্গ স্থাপনের জন্য প্রেরণ করে। ১৬৫৯ সালে ফরাসীরা ইংরেজদের আক্রমণ চালানোর চেষ্টা চালায়, তবে ১৬৫৪ সালে ডাচদের ভিউক্স ফোর্ট উপসাগরের নিকটে একটি দুর্গ র্নির্মাণের অনুমতি দেয়। ১৬৬৩ সালের ৬ এপ্রিল ক্যারিবরা ক্যারিবীয়তে ইংরেজ গভর্নর পারহমের উইলাফবির পঞ্চম ব্যারন ফ্রান্সিস উইলাফবির কাছে সেন্ট লুসিয়াকে বিক্রি করে দেয়। তিনি ৫ টি যুদ্ধ জাহাজ এবং ১৭ টি পিরোগ এর মাধ্যমে ১১০০ ইংরেজ ও ৬০০ আমেরিন্ডিয়ান নিয়ে এই দ্বীপে আক্রমণ করে ১৪ ফরাসি ডিফেন্ডারকে পালাতে বাধ্য করেন। তবে ইংরেজ উপনিবেশটি রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। ফরাসিরা এটি আবার দখল করে নেয় কিন্তু ইংরেজরা ১৬৬৪ সালের জুনে ফিরে আসে এবং ১৬৬৫ সালের ১৬ অক্টোবর কূটনীতিক সমঝোতার মাধ্যমে দ্বীপটিকে ফরাসিদের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার আগ পর্যন্ত দখল ধরে রাখে। ১৬৬৫ সালে ইংরেজরা আবার আক্রমণ করে কিন্তু রোগ, দুর্ভিক্ষ এবং ক্যারিবরা ১৬৬৬ সালের জানুয়ারিতে তাদের পালাতে বাধ্য করে। ব্রেদা চুক্তি (১৬৬৭) ফরাসিদের দ্বীপটির নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে দেয়। ইংরেজরা ১৬৮৬ সালে এই দ্বীপে অভিযান চালায় তবে ১৬৮৭ সালের চুক্তি এবং ১৬৯৭ সালের রিসউইক চুক্তিতে সকল দাবি পরিত্যাগ করে।[২]:২২–২৭[৩]

১৬৭৪ থেকে ১৮১৪ পর্যন্ত রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ[৩]
সময় দেশ
১৬৭৪ ফরাসি রাজকীয় উপনিবেশ
১৭২৩ নিরপেক্ষ অঞ্চল (ব্রিটেন এবং ফ্রান্স এর অনুমোদন ক্রমে)
১৭৪৩ ফরাসি উপনিবেশ (সান্তে লুসিয়ে)
১৭৪৮ নিরপেক্ষ অঞ্চল (ডি জুর ব্রিটেন এবং ফ্রান্স দ্বারা বিধিসম্মত ভাবে অনুমোদিত)
১৭৫৬ ফরাসি উপনিবেশ (সান্তে লুসিয়ে)
১৭৬২ ব্রিটিশদের দখল
১৭৬৩ ফ্রান্স পুনরুদ্ধার করে
১৭৭৮ ব্রিটিশদের দখল
১৭৮৩ ফ্রান্স পুনরুদ্ধার করে
১৭৯৬ ব্রিটিশদের দখল
১৮০২ ফ্রান্স পুনরুদ্ধার করে
১৮০৩ ব্রিটিশদের দখল
১৮১৪ ব্রিটিশদের দখল নিশ্চিত হয়

অষ্টাদশ শতাব্দী সম্পাদনা

বার্বাডোসে সদর দফতরের সাথে ব্রিটিশ এবং মার্তিনিককে কেন্দ্র করে ফরাসীরা উভয়ই কাছে ১৭৬৩ সালে দাস-ভিত্তিক চিনি শিল্প বিকশিত হওয়ার পর সেন্ট লুসিয়ার আকর্ষণীয় হয়ে উঠে এবং ১৮ শতকে এই দ্বীপটির মালিকানা বদলা-বদলী হতে থাকে বা এক ডজন বার নিরপেক্ষ অঞ্চল হিসাবে ঘোষিত হয় যদিও ফরাসি জনবসতিগুলি রয়ে যায় এবং দ্বীপটি অষ্টাদশ শতাব্দীতে কার্যত একটি ফরাসি উপনিবেশ ছিল।

১৭২২ সালে গ্রেট ব্রিটেনের প্রথম জর্জ সেন্ট লুসিয়া এবং সেন্ট ভিনসেন্ট উভয়কে মন্টাগুর দ্বিতীয় ডিউক জন মন্টাগুকে প্রদান করে। তিনি বাণিজ্যিক সামুদ্রিক পোতচালক এবং অভিযাত্রী নাথানিয়েল উড়িংকে ডেপুটি গভর্নর হিসাবে নিযুক্ত করেন। উড়িং সাতটি জাহাজের একটি দল নিয়ে দ্বীপগুলিতে যায় এবং পেটিট কেরেঞ্জে বসতি স্থাপন করে। ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজের যথেষ্ট সমর্থন পেতে না পেরে উড়ি এবং নতুন ঔপনিবেশিকরা ফরাসিদের আক্রমেণে দ্রুত পালিয়ে যায়।[৪]

১৭৩০ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী দ্বীপে ৪৬৩ জন বাসিন্দা ছিল, যার মধ্যে মাত্র ১২৫ শ্বেতাঙ্গ, ৩৭ জন ক্যারিব, ১৭৫ জন দাস এবং বাকীরা মুক্ত কৃষ্ণাঙ্গ বা মিশ্র জাতির ছিল। ফরাসিরা ১৭৪৪ সালে এই দ্বীপটির নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং ১৭৪৫ সালে দ্বীপটির জনসংখ্যা ছিল ৩৪৫৫ জন, যার মধ্যে ২৫৭৩ জন দাস ছিল।[২]:৩১,৩৬

সপ্ত বর্ষব্যাপী যুদ্ধের সময় ১৭৬২ সালে ব্রিটেন সেন্ট লুসিয়া দখল করে, তবে প্যারিস চুক্তির ফলে ১৭৬৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি দ্বীপটিকে ফিরিয়ে দেয়। মার্কিন স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কুল দে স্যাকের বৃহৎ যুদ্ধের পর ১৭৭৮ সালে ব্রিটেন আবার এই দ্বীপটি দখল করে। ব্রিটিশ অ্যাডমিরাল জর্জ রডনি ১৭৭৯ থেকে ১৭৮২ পর্যন্ত রডনি দুর্গ নির্মান করে।[২]:৩৬,৪৭–৫০

১৭৭৯ সালের মধ্যে দ্বীপের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ১৯,২৩০ জনে দাড়ায়, যার মধ্যে ৪৪ টি চিনি খামারে কাজ করা ১৬,০০৩ জন দাস ছিল। তবে ১৭৮০ সালের প্রচন্ড হ্যারিকেনে প্রায় ৮০০ জন নিহত হয়। প্যারিস চুক্তির (১৭৮৩) ফলে ১৭৮৪ সালে দ্বীপটিতে ফরাসি শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ৩০০ টি খামার পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে এবং কয়েক হাজার পলাতক ক্রীতদাস দ্বীপের অভ্যন্তরে বসবাস করত।[২]:৪০,৪৯–৫০

 
সেন্ট লুসিয়ার ১৭৫৮ সালের একটি মানচিত্র

উনবিংশ শতাব্দী সম্পাদনা

১৮০২ সালের এমিয়েনস চুক্তি দ্বীপটিতে ফরাসী নিয়ন্ত্রণ এবং নেপোলিয়ন বোনাপাার্টের দাসত্ব পুনঃ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮০৩ সালের জুনে কমোডোর স্যামুয়েল হুড ফরাসী গভর্নর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এন্টোইন নোগুসকে পরাজিত করলে ব্রিটিশরা দ্বীপটিতে পুনরায় ফিরে আসে। ১৮১৪ সালে দ্বীপটি আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিটেনের নিকট হস্তান্তর করা হয়।[২]:১১৩

এছাড়াও ১৮৩৮ সালে সেন্ট লুসিয়াকে ব্রিটিশ উইন্ডওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জ প্রশাসনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, এর সদর দফতর ছিল বার্বাডোসে। এটি ১৮৮৫ সাল পর্যন্ত স্থায়ী হয়, এরপর রাজধানী গ্রেনাডায় স্থানান্তরিত হয়।

বিংশ শতাব্দী থেকে একবিংশ শতাব্দী সম্পাদনা

 
১৯৫৩ সালে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতিকৃতি সহ ডাক টিকিট

ক্যারিবীয় যুদ্ধের সময় ১৯৪৮ সালের ৯ মার্চ একটি জার্মান ইউ-বোট ক্যাসট্রিজ বন্দরে আক্রমণ করে এবং দুটি ব্রিটিশ জাহাজ ডুবে যায়।[২]:২৭৫[৫]

সেন্ট লুসিয়ার বিংশ শতাব্দীর ইতিহাসে ক্রমবর্ধমান স্বায়ত্তশাসন চিহ্নিত হয়ে আছে। ১৯২৪ সালের সংবিধান দ্বীপটিকে আগের সকল মনোনীত আইনসভা পরিষদে নির্বাচিত সদস্যদের সংখ্যালঘু সহ প্রতিনিধিত্বমূলক সরকারের প্রথম রূপ দেয়। ১৯৫১ সালে সর্বজনীন প্রাপ্ত বয়স্ক ভোটাধিকার চালু হয় এবং নির্বাচিত সদস্যরা পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ হন। ১৯৫৬ সালে মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার প্রবর্তন করা হয় এবং ১৯৫৮ সালে সেন্ট লুসিয়া যুক্তরাজ্যের একটি আধা-স্বায়ত্তশাসিত উপনিবেশ স্বল্পকালীন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ফেডারেশনে যোগ দেয়। ১৯৬২ সালে জ্যামাইকা নিজেকে প্রত্যাহার করার পর ফেডারেশন ভেঙে যায় এবং একটি ছোট ফেডারেশন সংক্ষিপ্তভাবে চেষ্টা করা হয়েছিল। দ্বিতীয়বার ব্যর্থতার পর যুক্তরাজ্য এবং ছয়টি উইন্ডওয়ার্ড এবং লিওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জ — গ্রেনাডা, সেন্ট ভিনসেন্ট, ডোমিনিকা, অ্যান্টিগুয়া, সেন্ট কিটস ও নেভিস এবং অ্যাঙ্গুইলা এবং সেন্ট লুসিয়া - সহযোগিতায় একটি অভিনব রূপের বিকাশ ঘটে যার নাম সংযুক্ত রাষ্ট্র।

১৯৫৭ সালের মধ্যে প্রধান রফতানি ফসল হিসাবে কলা চিনিকে অতিক্রম করে।[২]:৩০৩

১৯৬৭ থেকে ১৯৭৯ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের একটি সহযোগী রাষ্ট্র হিসাবে সেন্ট লুসিয়ার অভ্যন্তরীণ স্বাযত্তশাসন পরিচালনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব ছিল কিন্তু তার বৈদেশিক বিষয়াবলি এবং প্রতিরক্ষা দায়িত্ব যুক্তরাজ্যের উপর ছেড়ে দেয়। এই অন্তর্বর্তী বিন্যাস ১৯৭৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়, এরপর সেন্ট লুসিয়া সম্পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জন করে। সেন্ট লুসিয়া রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথকে রাষ্ট্রের প্রধান হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান করে চলেছে এবং কমনওয়েলথ অফ নেশনসের সক্রিয় সদস্য। এই দ্বীপটি ক্যারিবীয় সম্প্রদায় এবং কমন মার্কেট (ক্যারিকম), পূর্ব ক্যারিবীয় কমন মার্কেট (ইসিসিএম) এবং পূর্ব ক্যারিবীয় রাষ্ট্রসমূহের সংগঠন (ওইসিএস) এর মাধ্যমে প্রতিবেশীদের সাথে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে।

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "All about St Lucia: History"। ২৭ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০২০ 
  2. Harmsen, Jolien; Ellis, Guy; Devaux, Robert (২০১৪)। A History of St Lucia। Vieux Fort: Lighthouse Road। পৃষ্ঠা 10। আইএসবিএন 9789769534001 
  3. ওয়ার্ল্ড স্টেটম্যান: সেন্ট লুসিয়া কালপঞ্জি সংযুক্তি ২০-০১-২০১৪
  4.   This article incorporates text from a publication now in the public domain"Montagu, John (1688?-1749)"। Dictionary of National Biography। London: Smith, Elder & Co। ১৮৮৫–১৯০০। 
  5. Hubbard, Vincent (২০০২)। A History of St. Kitts । Macmillan Caribbean। পৃষ্ঠা 117আইএসবিএন 9780333747605 
  • Philpott, Don (১৯৯৯)। St Lucia। Derbyshire: Landmark Publishing Ltd। আইএসবিএন 1-901522-28-8 
  • Higgins, Chris (২০০১)। St. Lucia। Montreal: Ulysses Travel Guides। আইএসবিএন 2-89464-396-9 
  • "History of Saint Lucia"। আগস্ট ২, ২০০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২৩, ২০০৫ 

আরও পড়ুন সম্পাদনা