সেন্টথম দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের চেন্নাই জেলার একটি অঞ্চল৷ এটি শহরে অন্যতম পুরাতন আবাসিক লোকালয় বৃহত্তর ময়িলাপুরের অন্তর্গত।

সেন্টথম
চেন্নাইয়ের অঞ্চল
সেন্ট থম বেসিলিকা
সেন্ট থম বেসিলিকা
সেন্টথম চেন্নাই-এ অবস্থিত
সেন্টথম
সেন্টথম
সেন্টথম তামিলনাড়ু-এ অবস্থিত
সেন্টথম
সেন্টথম
স্থানাঙ্ক: ১৩°০১′৪৯″ উত্তর ৮০°১৬′৪৩″ পূর্ব / ১৩.০৩০২° উত্তর ৮০.২৭৮৭° পূর্ব / 13.0302; 80.2787
রাষ্ট্র ভারত
রাজ্যতামিলনাড়ু
জেলাচেন্নাই
মহানগরচেন্নাই
সরকার
 • শাসকসিএমডিএ
ভাষা
 • দাপ্তরিকতামিল
সময় অঞ্চলভারতের প্রমাণ সময় (ইউটিসি+৫:৩০)
পিন৬০০০০৪
নগর পরিকল্পনাসিএমডিএ
ওয়েবসাইটwww.chennai.tn.nic.in

ইতিহাস সম্পাদনা

সেন্টথম বা সান্থম শব্দটি এসেছে থমাস দ্য অ্যাপোস্টল-এর নাম থেকে। তিনি ছিলেন খ্রিস্ট ধর্মের প্রচারক,[১] জনশ্রুতি অনুসারে ৭২ খ্রিস্টাব্দে তিনি সেন্ট থমাস মাউন্ট অঞ্চলে দেহত্যাগ করেন এবং ময়িলাপুরে তার মৃতদেহ সমাধিস্থ করা হয়।[২] পর্তুগীজদের দলিলপত্র খতিয়ে ময়িলাপুরের নিকট একটি ধর্মীয় উপাসনালয় ভাঙার ইতিহাস রয়েছে। পরবর্তীকালে তার সম্ভাব্য মৃতদেহের উপর একটি চার্চ নির্মাণ করা হয় যা বর্তমানে সেন্ট থম বেসিলিকা নামে পরিচিত।[৩][৪]

সেন্ট থমের যুদ্ধ সম্পাদনা

প্রথম কর্ণাটের যুদ্ধের সময় ফরাসি সৈন্যবাহিনী ব্রিটিশ বাহিনীর থেকে ফোর্ট সেন্ট জর্জ দখল করলে কর্ণাটের নবাব আনোয়ারউদ্দিন খান, ভেবেছিলেন যে যুদ্ধজয় হলে তিনি তার জমিদারির অংশ ব্রিটিশদের থেকে ফেরত পাবেন তাই তিনি এই যুদ্ধে তার পুত্র মেহফুজ খানের সেনাপতিত্বে ব্রিটিশদের সাহায্য করার জন্য‌ ও জোসেফ ফ্রান্সিস ডুপ্লেক্সের থেকে দুর্গ ছিনিয়ে আনার জন্য দশ হাজার পদাতিক সৈন্য প্রেরণ করেন।

যুদ্ধচলাকালীন ফরাসি গভর্নর জেনারেল দুপ্লেক্স একদল প্রশস্তি সৈন্য পন্ডিচেরির দিকে প্রেরণ করেন, এই সৈন্যদলই আদিয়ার নদীর তীরে মেহফুজ খানের সৈন্যের সম্মুখীন হয়। মাত্র তিনশ সুসজ্জিত সৈন্য নিয়ে ফরাসিরা আদিয়ারের যুদ্ধে নবাবের সৈন্যকে পরাজিত করে তাদের পুনরায় শহরে অভিমুখী করতে বাধ্য করে।[৫][৬]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Medlycott 1905, Ch. IV।
  2. Farmer 2011, পৃ. 418।
  3. Neill 2004, পৃ. 29।
  4. Hunter 1886, পৃ. 31।
  5. Naravane, M.S. (২০১৪)। Battles of the Honorourable East India Company। A.P.H. Publishing Corporation। পৃষ্ঠা 153। আইএসবিএন 9788131300343 
  6. Dalrymple, William (২০১৯)। The Anarchy :The Relentless Rise of The East India Company। Great Britain: Bloomsbury। পৃষ্ঠা 52