সেদিন দেখা হয়েছিল

২০১০-এর সুজিত মন্ডল পরিচালিত চলচ্চিত্র

সেদিন দেখা হয়েছিল সুজিত মন্ডল পরিচালিত ২০১০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি ভারতীয় বাংলা রোমান্টিক চলচ্চিত্র[১] শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস প্রযোজিত এই চলচ্চিত্রের মুখ্য ভূমিকায় আছে দেব, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, তাপস পাল, লাবণী সরকার সহ আরো অনেকে। তেলুগু চলচ্চিত্র পারুগুর পুননির্মান[২] এই চলচ্চিত্রটি বক্স অফিসে একটি ব্লকবাস্টার হয়।[৩]

সেদিন দেখা হয়েছিল
সেদিন দেখা হয়েছিল চলচ্চিত্রের পোস্টার
পরিচালকসুজিত মন্ডল
প্রযোজকশ্রীকান্ত মোহতা
শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস
রচয়িতাশায়াক গঙ্গোপাধ্যায়
চিত্রনাট্যকারএন.কে. সলিল
শ্রেষ্ঠাংশেদেব
শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়
তাপস পাল
প্রেমজিৎ
সুরকারজিৎ গাঙ্গুলী
চিত্রগ্রাহকমোহন ডি. বর্মা
সম্পাদকরবিরঞ্জন মৈত্র
পরিবেশকশ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস
মুক্তি
  • ২৪ ডিসেম্বর ২০১০ (2010-12-24)
স্থিতিকাল১৬০ মিনিট
দেশভারত
ভাষাবাংলা

কাহিনি সম্পাদনা

নন্দিনীর (শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়) বড় বোন কবিতা এবং বোনের বন্ধু অজয় বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। তাদের বাবা নীলকণ্ঠ রায় (তাপস পাল) অত্যন্ত কঠোর মানুষ। সে তার মেয়েকে খুঁজতে অজয়র সকল বন্ধুকে ধরে নিয়ে আসে। এদের মধ্যেই একজন আবির (দেব)। তাদেরকে জিজ্ঞেস করা হয়, কোথায় তার মেয়ে আছে। কিন্তু তারা বলে তারা কিছুই জানে না। কেউই তাদের বিশ্বাস করে না।

একদিন আবির তার অন্য বন্ধুদের নিয়ে পালিয়ে যায়। এ উদ্দেশ্যে তারা যখন প্রায় স্টেশনে পৌছে গেছে, আবির জঙ্গলের মধ্যে একটি মেয়ের চোখ দেখতে পায়। তাই তার পালানো হয় না। আবার তারা ধরা পড়ে যায়। সেই মেয়েটি হল নন্দিনী

এক পর্যায়ে নন্দিনী জানতে পারে, আবির তাকে ভালবেসে ফেলেছে। এরইমধ্যে একদিন নীলকন্ঠ তার মেয়েকে খুঁজতে শহরে যায়। সাথে সে আবিরনন্দিনীকেও নিয়ে যায়। সেখানে সুযোগ পেয়ে আবির, কবিতা আর অজয়কে পালাতে সহায়তা করে। নন্দিনীর আঙ্কেল জানতে পারে, আবির ওদের পালাতে সহায়তা করেছে। আবির-এর পুরো বন্ধুদের দলকেই পেটানো হয়।

আবার একদিন তারা সবাই মিলে কলকাতা যায়। সবাই আবির-এর বাসায় রাত কাটায়। সেই রাতেই নন্দিনী আবিরকে তার ভালবাসার কথা জানায়। একদিন তারা কবিতাকে খুঁজে পায়। কবিতা তার বাবার সাথে কথা বলে এবং নীলকণ্ঠ তাকে অজয়র সাথে যেতে দেয়। পুরো দলকে ছেড়ে দেয়া হয়। এর মধ্যে নন্দিনীর বিয়ে ঠিক হয়ে যায়। তার বাবা মেয়ের ভালবাসার কথা জানতে পারে। এবার যেন আবির তার মেয়েকে নিয়ে পালাতে না পারে সেজন্য সে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে। আবিরের বন্ধুরা ঠিক করে আবারও তারা আবিরনন্দিনীকে পালাতে সহায়তা করবে। ইচ্ছা করলেই তারা পালাতে পারত। নন্দিনী রাজিও হয়। কিন্তু আবির শেষে ঠিক করে আর সে নীলকণ্ঠকে ঠকাবে না। সে নন্দিনীকে ফিরিয়ে দেয়।

নীলকণ্ঠ সব জানতে পারে। সে এসে নন্দিনীকে আবির-এর হাতে তুলে দেয় এই বলে, "আমার পর নন্দিনীকে যদি কেউ ভালবেসে থাকে, তবে তা তুমি"।

অভিনয়ে সম্পাদনা

সংগীত সম্পাদনা

এই চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনা করেন জিৎ গাঙ্গুলী। সুর করেন জিৎ গাঙ্গুলী, ঋষি চন্দসমিধ মুখোপাধ্যায়। গান লেখেন চন্দ্রানী গঙ্গোপাধ্যায়, সমিধ মুখোপাধ্যায়, প্রসেনপ্রিয় চট্টোপাধ্যায়

সেদিন দেখা হয়েছিল
জিৎ গাঙ্গুলী, ঋষি-সমিধ (খোকাবাবু গানের জন্য)
কর্তৃক সাউন্ডট্র্যাক
মুক্তির তারিখ২০১০
ঘরানাচলচ্চিত্রের গান
প্রযোজকশ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস
জিৎ গাঙ্গুলী, ঋষি-সমিধ (খোকাবাবু গানের জন্য) কালক্রম
বলো না তুমি আমার
(২০১০)
সেদিন দেখা হয়েছিল
(২০১০)
পাগলু
(২০১১)
গান
নং.শিরোনামকণ্ঠশিল্পী(রা)দৈর্ঘ্য
১."সেদিন দেখা হয়েছিল"কুণাল গাঞ্জাওয়ালা০৪:২০
২."খোকাবাবু[৫]"ঋষি চন্দ-সমিধ মুখোপাধ্যায়০৪:৪৯
৩."মন হারিয়ে বেঘোরে"মোহিত চৌহান০৪:২৩
৪."হেঁটেছি স্বপ্নের হাত ধরে"জাভেদ আলী, দীপায়ন দাশগুপ্ত, জুন ব্যানার্জী০৪:৩৭
৫."এ জীবনে প্রেম সেই প্রশ্ন"জিৎ গাঙ্গুলী০৩:৪৯

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Published: bindaskolkata.com Sedin Dekha Hoyechilo – 2010 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৯ জুন ২০১১ তারিখে accessed: 29 June 2011
  2. "Bengali Film's Are Remaking from South Indian Films"। ১৮ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০১৪ 
  3. "Film Preview: Shree Venkatesh Films' SEDIN DEKHA HOYECHILO"Washington Bangla Post। ১০ নভেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০১০ 
  4. /"Sedin Dekha Hoyechilo (2010 - Bengali)"। ৩০ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০১৪ 
  5. "Sujit and 60 phirang dancers"The Times Of India। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১০ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা