সুনীল সাহিত্য পুরস্কার ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে প্রবর্তিত একটি বাৎসরিক সাহিত্য পুরস্কার। বাংলা সাহিত্যের সৃজনশীল গল্পের ওপর স্বীকৃতি প্রদানের উদ্দেশ্যে ২০০৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে প্রতিবছরের সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্মদিবস ৭ সেপ্টেম্বরে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় প্রখ্যাত কবি ও কথাসাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের (১৯৩৪-২০১২) স্মরণে সুনীল সাহিত্য ট্রাস্টের পক্ষে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মাদারিপুর কর্তৃক এ পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে।
সুনীল সাহিত্য পুরস্কার |
---|
|
ধরন | সাহিত্য পুরস্কার |
---|
প্রদানের কারণ | সৃজনশীল গল্প |
---|
বিবরণ | সৃজনশীল গল্পের ওপর স্বীকৃতি স্বরূপ পুরস্কার প্রদান করা হয়। |
---|
ভেন্যু | এমএম হাফিজ মেমোরিয়াল পাবলিক লাইব্রেরি |
---|
দেশ | বাংলাদেশ |
---|
পুরস্কারদাতা | সুনীল সাহিত্য ট্রাস্ট |
---|
উপস্থাপক | বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মাদারিপুর |
---|
প্রতিষ্ঠিত | ১৭ এপ্রিল, ২০০৪ |
---|
প্রথম পুরস্কৃত | ২০০৫ |
---|
সর্বশেষ পুরস্কৃত | ২০১১ |
---|
প্রত্যেক পদকপ্রাপ্তকে একটি মানসন্মত পদক, সুনীল সাক্ষরীত একটি সম্মাননা স্মারক ও পুরস্কারের অর্থমূল্য প্রদান করা হয়ে থাকে।
সুনীল সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্তদের আশীর্বাদ বাক্যে কবি লিখেছিলেন,
‘আমি তোমাদের মাঝে বেঁচে রই, চিরদিন, চিরকাল।’
[১]
উভয় বাংলায় সমান জনপ্রিয় প্রখ্যাত কবি ও কথাসাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের পৈতৃক নিবাস মাদারিপুরের কালকিনি উপজেলার মাইজপাড়া গ্রামে। দেশ বিভাগের সময় মাত্র এগারো বছর বয়সে তিনি পরিবারের সাথে কলকাতায় চলে যান এবং পরবর্তীকালে সেখানেই সাহিত্যচর্চা করে বিখ্যাত হন। তবে তার বিভিন্ন লেখায় ঘুরে ফিরে মাদারিপুর প্রসঙ্গ এসেছে। ২০০৩ এবং ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি মাদারিপুরে আসেন। সে সময়ের অনুভুতি নিয়ে দেশ পত্রিকায় ধারাহিকভাবে ‘মাটি নয়, মানুষের টানে’ শিরোনামে একটি লেখাও প্রকাশ করেন।[২]
সুনীলের পৈতৃক ভিটা যখন বেদখলে ছিল, ডা. বারীর চেষ্টা আর লেখক আ. রাজ্জাক হাওলাদারের সহযোগিতায় জন্মভিটা উদ্ধার করা হয় এবং তাকে জন্মভিটায় নিয়ে আসতে উদ্যোগ নেন।[১] দেশান্তরিত হওয়ার পরে ২০০৩ খ্রিস্টাব্দে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় প্রথম মাদারিপুরে আসেন।[৩] পরের বছর ২০০৪ খ্রিস্টাব্দের ১৭ এপ্রিল হেমায়েত হোসেন হাওলাদারের পৃষ্ঠপোষকতায় ‘সুনীল সাহিত্য ট্রাস্ট’ গঠিত হয়। ট্রাস্টের চেয়ারম্যান হন এটিএম কামালুজ্জামান। এই ট্রাস্টের পক্ষে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মাদারিপুর শাখা ২০০৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে প্রতিবছর সৃজনশীল গল্পের ওপর স্বীকৃতি স্বরূপ ‘সুনীল সাহিত্য পুরস্কার’ নামে তিনটি ও কয়েকটি বিশেষ পুরস্কার প্রদান করে।[২]
বৈরী পরিস্থিতির জন্য ২০১২ থেকে ২০২২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত দশ বছর এই পুরস্কার প্রদান বন্ধ রয়েছে।[১]
বছর অনুযায়ী পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকা
সম্পাদনা
নাম
|
ক্ষেত্র
|
কাজ
|
সূত্র
|
পরিতোষ বাড়ৈ
|
গল্প
|
একটি ছোট গল্প
|
[৪][৫]
|
আহমেদ আবদুল্লাহ
|
গল্প
|
খন্ডিত মানচিত্র
|
|
ফারুক ইরাদ
|
গল্প
|
বানডুলি
|
|
নাম
|
ক্ষেত্র
|
কাজ
|
সূত্র
|
ডব্লিউ আলী বাদশা
|
গল্প
|
একজন কমলার গল্প
|
|
জ্ঞানেশ মন্ডল
|
গল্প
|
শ্রাবণ সন্ধ্যায়
|
|
মো. ইসমাইল খান
|
গল্প
|
দেবী ঘরে কয়েকটি কুকুর ঢুকেছিল
|
|
সালাহ উদ্দিন মাহমুদ
|
গল্প
|
ধর্ষিতা বালিকা
|
[৬]
|
আয়শা আকাশী
|
গল্প
|
নিলাম হচ্ছিল মা
|
|
মাসুদ সুমন
|
গল্প
|
উড়ে যায় সাদা মেঘ
|
|
ইমরান সাগর
|
গল্প
|
টানা পোড়েন
|
|
নাম
|
ক্ষেত্র
|
কাজ
|
সূত্র
|
রিপন চন্দ্র মল্লিক
|
গল্প
|
পাথর পৃথিবী
|
|
মো. ইসমাইল খান
|
গল্প
|
একজন বিশুদ্ধ বাঙ্গালী
|
|
বাদল আহমেদ
|
গল্প
|
হঠাৎ বৃষ্টি
|
|
নাম
|
ক্ষেত্র
|
কাজ
|
সূত্র
|
ড. তপন বাগচী
|
গল্প
|
মঞ্চের বাইরে
|
[৭][৮]
|
মো. ইসমাইল খান
|
গল্প
|
সুনীল সুউচ্চে আনন্দিত আবাবিল
|
|
নুরুল হক ঢালী
|
গল্প
|
একটি চিঠির আর্তনাদ
|
|
ছায়া রানী
|
গল্প
|
নিরবে নিভৃতে
|
|
জ্ঞানেশ মন্ডল
|
গল্প
|
নিশি জোৎস্নায়
|
|
মফিজুল ইসলাম
|
গল্প
|
দেউটি
|
|
নাম
|
ক্ষেত্র
|
কাজ
|
সূত্র
|
ড. সন্তোষ ঢালী
|
গল্প
|
ভাতার মারা পাথর
|
[৯]
|
রাজু আলীম
|
গল্প
|
পতেঙ্গার ঘোড়া
|
[১০]
|
নুরুন নাহার খান
|
গল্প
|
একটি জীবনের গল্প
|
|
আয়শা আকাশী
|
গল্প
|
একদিন আলো আসবে
|
|
নাম
|
ক্ষেত্র
|
কাজ
|
সূত্র
|
নুরুন নাহার খান
|
গল্প
|
জীবন যুদ্ধে দুইনারী
|
|
আয়শা আকাশী
|
গল্প
|
মঙ্গলা বন্দরে অজ্ঞাত যুবতীর লাশ
|
|
সালাহ উদ্দিন মাহমুদ
|
গল্প
|
পথহীন পথিক
|
[৬]
|
জ্ঞানেশ মন্ডল
|
গল্প
|
যুদ্ধের ফল
|
|
দুলাল মন্ডল
|
গল্প
|
স্বাধীনতার শ্বেত পদ্ম
|
|
মেহেদী শামীম
|
গল্প
|
অথচ একজন ডায়রি
|
|
বাদল আহমেদ
|
গল্প
|
হঠাৎ একদিন
|
|
নাম
|
ক্ষেত্র
|
কাজ
|
সূত্র
|
রিপন চন্দ্র মল্লিক
|
গল্প
|
কাঠ পরানের দ্রোহ
|
|
বাশার মাহমুদ
|
গল্প
|
একজন অন্ধ হকার ও রেল ইস্টিশন
|
|
সালাহ উদ্দিন মাহমুদ
|
গল্প
|
চৈতীর রোজনামচা
|
[৬]
|
মিলন সব্যসাচী
|
গল্প
|
শোকার্ত সকালের গল্প
|
|