সিসিমপুর

সিসিমপুর
সিসিমপুর
অন্য নাম	১২৩ সিসিমপুর
ধরন	শিক্ষামূলক টেলিভিশন ধারাবাহিক
নির্মাতা	সিসামে স্ট্রিট ওয়ার্কশপ, বাংলাদেশ টেলিভিশন
অনুপ্রেরণা	সিসামে স্ট্রিট
অভিনয়ে	মুন্না ঘোষ; কাব্যকথা; লিটন দাশ; টুইংকল চৌধুরী;
উদ্বোধনী সঙ্গীত	"চলছে গাড়ি সিসিমপুরে"
সমাপনী সঙ্গীত	পৃথিবীটা দেখছি, প্রতিদিন শিখছি
মূল দেশ	বাংলাদেশ
মূল ভাষা	বাংলা
মৌসুমের সংখ্যা	১৫
নির্মাণ
প্রযোজক	ইউএসএইড
ব্যাপ্তিকাল	২৪ মিনিট
মুক্তি
মূল নেটওয়ার্ক	বাংলাদেশ টেলিভিশন (২০০৫-বর্তমান); দুরন্ত টিভি (২০১৯-বর্তমান);
মূল মুক্তির তারিখ	২১ এপ্রিল ২০০৫
বহিঃসংযোগ
	ওয়েবসাইট

সিসিমপুর হচ্ছে শিশুদের জন্য টেলিভিশন অনুষ্ঠান সেসামি স্ট্রিট-এর বাংলাদেশি সংস্করণ। এটির নতুন পর্ব প্রতি শুক্রবার বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত হয়ে থাকে। এছাড়াও, অনুষ্ঠানটি আরটিভি এবং দুরন্ত টিভিতে সম্প্রচার করা হয়ে থাকে।^[২] ১৪ এপ্রিল ২০০৪, পহেলা বৈশাখে অনুষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করে৷

প্রথম মৌসুমে এটির মোট ২৬টি পর্ব নির্মিত হয়, এবং ফেব্রুয়ারি ২০০৬ পর্যন্ত এটির দ্বিতীয় মৌসুমে ৩৬টি পর্ব নির্মিত হয়।^[৩] ইউএসএইড এই অনুষ্ঠানটি নির্মাণে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে থাকে। অনুষ্ঠানটি ১২ টি মৌসুমে ৭০০ এরও অধিক পর্ব প্রচারিত হয়েছে।^[২] ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে এর ১৫ তম্ম মৌসুম শুরু হয়।

মাপেট চরিত্রসমূহ

হালুম — একটি বেঙ্গল টাইগার। মাছ খেতে খুবই ভালোবাসে।
ইকরি মিকরি — একটি ছোট দানব আকৃতির মেয়ে পুতুল। যথেষ্ট ভাবুক একটি চরিত্র। সে নিজেকে নাম ধরে উপস্থাপন করতে ভালোবাসে।
শিকু — একটি ছোট শিয়াল। বিজ্ঞানমনষ্ক, যুক্তিবাদী, গোয়েন্দা। শিকুর বলতে পারো অনুষ্ঠানের উপস্থাপক।
টুকটুকি — একটি মেয়ে পুতুল। বই পড়তে ভালোবাসে। সে দুই বেণী করতে ভালবাসে। হাতে চুড়ি পরে থাকে। টুকটুকি খুবই মিশুক প্রকৃতির মেয়ে। দ্য নিউ টুকটুকি অপেরার উপস্থাপক।
মানিক-রতন — দুইটি ভেড়া জুটি। তাদের একসঙ্গে মানিক-রতন হিসাবে সম্মোধন করা হয়।
"আর্নিও বার্ট"
বিস্কুট পাগলা
মিঃ গ্রোভার

মানব চরিত্র

লাল মিয়া — ডাকপিয়ন। সিসিমপুরের যাত্রা শুরুর দিকে সে অভিনয় শুরু করেছিল। এরপর, সে মৃত্যুবরণ করে। সিসিমপুরে তার নামে একটি পাঠাগার আছে।
মুকুল — বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাসকৃত একটি যুবক ও উদ্যোক্তা। তার একটি নার্সারি রয়েছে। (চঞ্চল চৌধুরী)
সুমনা — সিসিমপুরের স্কুলের শিক্ষক। (রুনা খান)
গুণী ময়রা — মিষ্টির দোকানদার। (সৈয়দ দুলাল)
আশা — গুণীর স্ত্রী, এবং সিসিমপুরের একমাত্র গ্রন্থাগারটির গ্রন্থাগারিক।
শান্ত — গুণী ও আশার ছেলে।
বাহাদুর — সিসিমপুরের ফেরিওয়ালা। (শাহাদাৎ হোসেন)

সাফল্য

২০০৭ সালে এসিপিআর পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা যায়, যেসব শিশু সিসিমপুর অনুষ্ঠানটি নিয়মিত দেখে, তারা তাদের চেয়ে এক বছরের বড় শিশু, যারা সিসিমপুর দেখে না, তাদের চেয়ে ভাষা, বর্ণ, গণিত ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক বিষয়ে বেশি দক্ষতা প্রদর্শন করে থাকে।^[২] এছাড়া, বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস ট্রাস্ট পরিচালিত একটি জরিপে সিসিমপুর শিশুতোষ অনুষ্ঠান হিসেবে শীর্ষস্থানীয় এবং সামগ্রিকভাবে তৃতীয় জনপ্রিয় অনুষ্ঠান হিসেবে নির্বাচিত হয়।^[২]

পুরস্কার

শ্রেষ্ঠ মিক্সড মিডিয়া সিরিজ বিভাগে ১৪তম আন্তর্জাতিক কিডস্ক্রিন পুরস্কার^[৪]
ইন্টারন্যাশনাল টেলি অ্যাওয়ার্ড।^[৫]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

↑ শিশু প্রহরে চলছে গাড়ি সিসিমপুরে। BanglaNews24। ২০২৩-১২-২৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৬-১০।
↑ ^ক ^খ ^গ ^ঘ "দুরন্তর পর্দায় প্রতিদিন 'সিসিমপুর'"। প্রথম আলো। ১০ জুলাই ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১৯।
↑ "USAID Bangladesh in Focus: USAID Introduces Sesame Street Television Program in Bangladesh"। ১৯ জুন ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০১০।
↑ "'Sisimpur' wins International Kidscreen Awards"। ঢাকা ট্রিবিউন (ইংরেজি ভাষায়)। ২০ জুলাই ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০২২।
↑ Pratidin, Bangladesh (২০২৪-০৫-২৮)। "ইন্টারন্যাশনাল টেলি অ্যাওয়ার্ড জিতল সিসিমপুর"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৫-২৮।

বহিঃসংযোগ

[1] শিশু প্রহরে চলছে গাড়ি সিসিমপুরে। BanglaNews24। ২০২৩-১২-২৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৬-১০।

[halum-2] ক ^খ ^গ ^ঘ "দুরন্তর পর্দায় প্রতিদিন 'সিসিমপুর'"। প্রথম আলো। ১০ জুলাই ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১৯।

[3] "USAID Bangladesh in Focus: USAID Introduces Sesame Street Television Program in Bangladesh"। ১৯ জুন ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০১০।

[4] "'Sisimpur' wins International Kidscreen Awards"। ঢাকা ট্রিবিউন (ইংরেজি ভাষায়)। ২০ জুলাই ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০২২।

[5] Pratidin, Bangladesh (২০২৪-০৫-২৮)। "ইন্টারন্যাশনাল টেলি অ্যাওয়ার্ড জিতল সিসিমপুর"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৫-২৮।

[২]

[১]

[৩]

[৪]

[৫]