সিন্ধুবালা দেবী ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিকন্যা। বিপ্লবী কাজের জন্য কারাদণ্ড হয়েছিলো।

সিন্ধুবালা দেবী
জন্ম
বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস গ্রাম,  ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)
 পাকিস্তান (১৯৬৪ সাল পর্যন্ত)
 ভারত
নাগরিকত্ব ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)
 পাকিস্তান (১৯৬৪ সাল পর্যন্ত)
 ভারত
পেশারাজনীতিবিদ
পরিচিতির কারণব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্নিকন্যা
রাজনৈতিক দলযুগান্তর দল
আন্দোলনব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন
দাম্পত্য সঙ্গীদেবেন ঘোষ

রাজনৈতিক জীবন সম্পাদনা

১৯১৭ সালে ভারত-জার্মান ষড়যন্ত্রের সময় তিলজলা রেলওয়ে কেবিনের দেবেন ঘোষ ও তাঁর স্ত্রী সিন্ধুবালা দেবী নিজেদের রেলওয়ে কোয়ার্টার্সের বাড়িতে আশ্রয় দিয়ে রেখেছিলেন যুগান্তর দলের পলাতক বিপ্লবী অমর চট্টোপাধ্যায়, কুন্তল চক্রবর্তী এবং ভূপেন্দ্রকুমার দত্তকে। বিপ্লবীরা পরে অন্য জায়গায় চলে যায়। তবে পুলিশ জানতে পারে বিষয়টা এবং দেবেন ঘোষকে রেলওয়ে কোয়ার্টার্সের সেই বাড়িতে গ্রেপ্তার করে। তাঁর স্ত্রী সিন্ধুবালা দেবী সেসময়ে নিজেদের বাড়ি বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস গ্রামে চলে গিয়েছিলেন। পুলিস-সুপারিনটেন্ডেন্ট ভোলানাথ চট্টোপাধ্যায় নিজে ইন্দাস চলে যান সিন্ধুবালা দেবীকে গ্রেপ্তার করতে। সিন্ধুবালা সেসময় সন্তানসম্ভবা ছিলেন এবং সন্তান ভূমিষ্ঠ হবার খুব বেশী দেরী ছিল না। সেই অবস্থায় তাঁকে হাঁটিয়ে স্টেশন পর্যন্ত নিয়ে যায় এবং তাঁকে বাঁকুড়া জেলে আটক রাখে। এই বর্বরতার জন্য ১৯১৭ বা ১৯১৮ সালের হুগলিতে অনুষ্ঠিত প্রাদেশিক কংগ্রেস অধিবেশনে তার সভাপতি অখিলচন্দ্র দত্ত এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেন।[১]

কারাবরণ সম্পাদনা

সেই সময় আন্দোলনের ফলে এবং আসন্নপ্রসবা ছিলেন বলে সিন্ধুবালা দেবীকে মাসখানেক বাঁকুড়া জেলে আটক রাখার পর মুক্তি দেওয়া হয় ১৯১৭ অথবা ১৯১৮ সালে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. কমলা দাশগুপ্ত (জানুয়ারি ২০১৫)। স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার নারী, অগ্নিযুগ গ্রন্থমালা ৯কলকাতা: র‍্যাডিক্যাল ইম্প্রেশন। পৃষ্ঠা ২৩১-২৩২। আইএসবিএন 978-81-85459-82-0