সারিকা কালে মহারাষ্ট্রের একজন ভারতীয় খো খো খেলোয়াড়। তিনি ২০১০ সালে মহারাষ্ট্র মহিলা রাজ্য খো খো দলের অধিনায়ক হয়েছিলেন, দলকে তিনটি জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি ২০১৫ সালে ভারতের মহিলা জাতীয় খো খো দলের জন্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৬ সালের দক্ষিণ এশীয় গেমসের আগে তিনি দলের অধিনায়ক মনোনীত হন। তিনি দক্ষিণ এশীয় গেমস এবং তৃতীয় এশিয়ান খো-খো চ্যাম্পিয়নশিপে দলকে জয় এনে দেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশের বিপক্ষে ফাইনালে ম্যাচ বিজয়ীর পুরস্কার লাভ করেন।

ওসমানাবাদ জেলার একটি দরিদ্র পরিবার থেকে আসা কালে বেকারত্বের কারণে বছরের পর বছর ধরে আর্থিকভাবে লড়াই করেছিলেন। খো খোতে তার কৃতিত্ব মহারাষ্ট্র সরকার এবং ভারত সরকার দ্বারা স্বীকৃত হয়েছে। তিনি ২০১৬ সালে তার রাজ্যের শিব ছত্রপতি পুরস্কার এবং ২০২০ সালে অর্জুন পুরস্কারের প্রাপক ছিলেন।[১]

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

কালের জন্ম মহারাষ্ট্রের ওসমানাবাদ জেলার উমব্রে কোটা গ্রামে।[২] তার পরিবার খুব দরিদ্র ছিল এবং তার বাবা, মা এবং ঠাকুমা তার ক্রীড়া-কর্মজীবন সমর্থন করার জন্য প্রচেষ্টা করেছিলেন।[২] তিনি প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ওসমানাবাদের শ্রীপতরাও ভোসলে উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছিলেন এবং তার স্নাতক প্রোগ্রামের জন্য শহরের তেরনা মহাবিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছিলেন।[২] তিনি নলদূর্গের কলা বিজ্ঞান ও বাণিজ্য কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।[২]

২০১৬ সালে, জাতীয় দলের অধিনায়ক হওয়া সত্ত্বেও তিনি আর্থিকভাবে সংগ্রাম করছিলেন এবং চাকরির জন্য ভারতের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন।[৩] ২০১৪ সালেও তিনি ভারতীয় রেলওয়েতে চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু এতে সফল হননি।[৩]

পুরস্কার এবং সম্মান সম্পাদনা

কালে মহারাষ্ট্র সরকারের কাছ থেকে শিব ছত্রপতি পুরস্কার সহ অসংখ্য পুরস্কার এবং স্বীকৃতি পেয়েছেন।[২][৪] ২০১৬ সালে সাউথ এশিয়ান গেমসে তার সাফল্যের পর[২] তুলজাপুর তহসিলের ক্রীড়া কর্মকর্তা নিযুক্ত হন। ২০২০ সালে, তিনি তার কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ ভারত সরকারের যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রকের কাছ থেকে অর্জুন পুরস্কার পেয়েছিলেন। তিনি মহারাষ্ট্রের মারাঠওয়াড়া অঞ্চলের প্রথম মহিলা ক্রীড়াবিদ যিনি অর্জুন পুরস্কার জিতেছেন।[২] এছাড়াও তিনি ২২ বছরে এই পুরস্কার জেতা প্রথম খো খো খেলোয়াড়;। ১৯৯৮ সালে শোভা নারায়ণ ছিলেন সর্বশেষ এই পুরস্কার প্রাপ্ত খো খো খেলোয়াড়।[৫] ভারতের খো-খো ফেডারেশনের সভাপতি সুধাংশু মিত্তল টুইট করেছেন এবং এটিকে "[ভারতে] আদিবাসী গেমগুলির জন্য সবচেয়ে বড় উৎসাহ" বলে অভিহিত করেছেন।[৬]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "The sports star who could afford just one meal a day"BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-২৩ 
  2. Jadhvar, Tanaji (১৯ আগস্ট ২০২০)। "मराठवाड्यासाठी गौरवास्पद : उस्मानाबादच्या सारिका काळेला अर्जुन पुरस्कार जाहीर"Sakal (Marathi ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৯ আগস্ট ২০২০  উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "Sakal2020" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে
  3. Mayure, Subodh (৪ মার্চ ২০১৬)। "India's Kho-Kho Team Captain Sarika Is Jobless"Mid-Day। সংগ্রহের তারিখ ১৯ আগস্ট ২০২০ 
  4. "मराठमोळ्या सारिका काळेला अर्जुन पुरस्कार जाहीर"Loksatta (Marathi ভাষায়)। ১৯ আগস্ট ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২০ আগস্ট ২০২০ 
  5. "Arjun Award Winners for "Kho Kho""Yas.nic.inMinistry of Youth Affairs and Sports। সংগ্রহের তারিখ ২০ আগস্ট ২০২০ 
  6. Mittal, Sudhanshu [@] (১৯ আগস্ট ২০২০)। "Golden day for Kho Kho. After 22 years, Arjuna Award for Kho Kho player. Captain Sarika Kale awarded. Greatest boost to indigenous games as government focus on developing indigenous games" (টুইট)। সংগ্রহের তারিখ ২০ আগস্ট ২০২০টুইটার-এর মাধ্যমে।