সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজ

বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ

সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজ রংপুর এর পূর্ব শালবনে অবস্থিত বাংলাদেশের একটি সরকারি কলেজ। এই কলেজটি "বেগম রোকেয়া মহিলা কলেজ" নামেও পরিচিত। আধুনিক সুযোগ ও সুবিধা সহ শ্রেণীকক্ষ, গবেষণাগার, গ্রন্থাগার এবং সাধারণ কক্ষ রয়েছে। কলেজটি রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে মুক্ত ফলে কলেজটি উপজেলার কলেজগুলোর মধ্যে অন্যতম কলেজ হওয়ার স্বীকৃতি পেয়েছে।

সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজ, রংপুর
ধরনসরকারি কলেজ
স্থাপিত১৯৬৩ [১]
অধ্যক্ষপ্রফেসর ড. মো: আব্দুল লতিফ মিয়া [২]
ঠিকানা
পূর্ব শালবন
, ,
শিক্ষাঙ্গনশহর
সংক্ষিপ্ত নামস.বে.র.ক
অধিভুক্তিজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, দিনাজপুর
ওয়েবসাইটwww.gbrcr.gov.bd

ইতিহাস সম্পাদনা

এ অঞ্চলের নারী শিক্ষা বিস্তারের উদ্দেশ্যে ১৯৬৩ সালের ১৯ মারই ই সজজটি "িত হয় রংপুর মহললা িলা ""েজ না্রতিষ।। ির। পরবর্ী ে তদানীন্তন নারী কলকক্ষব গবেষণাগার,ং জনতার দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে রয়েছে। কলেজটি জুন কলেজ পরিচালনা কমিটির সভায় কলেজটির নাম বে রোকেয়া কলেজ কর কলেজ ব পাশ হয়। প্রথমে বে-সরকারি ভাবে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ডিগ্রী (পাস) কোর্সের বিজ্ঞান এবং মানবিক শাখা নিয়ে কলেজটির যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে ১৯৭৯ ইং সালে কলেজটি সরকারিকরণের পর ১৯৮৫ ইং সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ০৬ টি মানবিক বিষয়ে (বাংলা, ইংরেজি, অর্থনীতি, দর্শন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং ইসলামের ইতিহাস এবং সংস্কৃতি)অনার্স পাঠদানের মঞ্জুরী প্রাপ্ত হয় এবং ১৯৯৫ ইং সালে উক্ত ০৬ টি বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক মাস্টার্স শেষ পর্ব কোর্স চালুর অনুমতি পায়। কলেজটি ৩.৬৬ একর জমির উপর স্থাপিত। এই জমিটি বরদা সুন্দরী নামক জমিদারের পরিত্যাক্ত সম্পত্তি ছিল। কলেজের প্রথম প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ সেসময়ের রংপুরের জেলা প্রশাসকের সহধর্মিনী মিসেস এলেন এ সাত্তার।

অনুষদ সুমহ সম্পাদনা

  • বাংলা
  • ইংরেজি
  • গণিত
  • রাষ্ট্রবিজ্ঞান
  • দর্শন
  • পদার্থবিদ্যা
  • রসায়ন
  • উদ্ভিদবিজ্ঞান
  • প্রাণিবিদ্যা
  • হিসাববিজ্ঞান
  • গার্হস্থ অর্থনীতি
  • ব্যবস্থাপনা
  • মার্কেটিং

অর্জন সমূহ সম্পাদনা

একাডেমিক পর্যায়ে শিক্ষা প্রসারে বিশেষ অবদানের জন্য কলেজটি ১৯৮৮ এবং ২০০২ সালে রংপুর জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খ্যাতি অর্জন করে। ২০০৮ সালে মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষায় ইসলামের ইতিহাস এবং সংস্কৃতি বিষয়ে ১৭ জন, দর্শন বিষয়ে ০৪ জন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে ০১ জন; ২০০৭ সালে ইসলামের ইতিহাস এবং সংস্কৃতি বিষয়ে ০৭ জন, ২০০৬ রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে ০২ জন শিক্ষার্থী প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়।

সাহিত্য এবং সংস্কৃতি পর্যায়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সাহিত্য এবং সংস্কৃতি প্রতিযোগিতা ২০০৭, ২০০৮, ২০০৯ এ দেশাত্নবোধক, নজরুল গীতিতে অঞ্চল পর্যায়ে প্রথম, বিভাগীয় পর্যায়ে ১ম স্থান অর্জন করে। ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশন বাংলাদেশ আয়োজিত ৫ম বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ২০১১ এ বারোয়ারি বিতর্ক প্রতিযোগিতায় এ কলেজ চ্যাম্পিয়ন। জাতিসংঘ নারী বিষয়ক সংস্থা ইউএন উইমেন এবং বিডিএফ আয়োজিত নারীর প্রতি সহিংসতা আর নয় শীর্ষক সংসদীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০১১ এর এ কলেজ রংপুর বিভাগে চ্যাম্পিযন হয়। FPAB আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০০৯, ২০১০ এ জেলা পর্যায়ে ১ম, ২য় এবং বিভাগীয় পর্যায়ে ২য় স্থান অর্জন করে। ২০১১ সালে রোকেয়া দিবস উপলক্ষে রোকেয়া ফোরাম, রংপুর আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় এ কলেজ চ্যাম্পিয়ন হয়। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী আয়োজিত নজরুল গীতি ২০১১ প্রতিযোগিতায় জেলা পর্যায় এ কলেজ ১ম, বিভাগীয় পর্যায়ে ১ম এবং জাতীয় পর্যায়ে ২য় স্থান অর্জন করে।

ক্রীড়া পর্যায়ে ১৯৯৫ সালে কমনওয়েলথ গেমসে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা হ্যান্ডবল টীমে এ কলেজের ০৩ জন কৃতি ছাত্রী অংশগ্রহণ করেছিল। [৩]

ভবিষৎ পরিকল্পনা সম্পাদনা

উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ব্যবসায় শিক্ষা ও বিজ্ঞান পর্যায়ে অনার্স এবং মাস্টার্স কোর্স চালুর বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন আছে। এই দুই স্তরে পাঠদানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ অব্যাহত আছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক কলেজ মাঠের পূর্ব প্রান্তে ছয় তলা বিশিষ্ট একটি বহুতল ভবন নির্মাণের প্রক্রিয়া চলমান।

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা