ডাঃ সনৎ মুখার্জি,ছিলেন প্রখ্যাত বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী, রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবী। তিনি ১৮৯৮ সালের অক্টোবর মাসে জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ডাঃ বনওয়ারিলাল মুখোপাধ্যায় কৃষ্ণনগরের রাজপরিবারের পারিবারিক চিকিৎসক হিসাবে কাজ করেছিলেন, যখন তাঁর মা সান্তাকুমারী দেবী তাঁর মধ্যে শৃঙ্খলার মূল্যবোধ সঞ্চারিত করেছিলেন। তিনি কৃষ্ণনগরে প্রাথমিক শিক্ষা শুরু করেন, যেখানে তিনি তার পিতামাতার সাথে থাকতেন। ১৯১৫ সালে তিনি কৃষ্ণনগর এ ভি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন এবং ১৯১৭ সালে বঙ্গবাসী কলেজ থেকে সফলভাবে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ডাঃ বিধানচন্দ্র রায় তাকে কলকাতা মেডিকেল কলেজে ভর্তির পরামর্শ দিয়েছিলেন, যেখানে তিনি ১৯২৩ সালে এমবি ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন।[১]

প্রখ্যাত বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী, রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবী

ডাঃ সনৎ মুখার্জি
জন্ম১৮৯৮ সালের অক্টোবর
মৃত্যু১৯৭৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি
প্রতিষ্ঠানভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস
আন্দোলনভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন
পিতা-মাতা
  • ডাঃ বনওয়ারিলাল (পিতা)
  • সান্তাকুমারী দেবী (মাতা)

গান্ধীজির কাছ থেকে অনুপ্রেরণা সম্পাদনা

গান্ধীবাদী দর্শনে অনুপ্রাণিত হয়ে ডঃ সনৎ মুখার্জি ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে প্রচারে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন, ভারতের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছিলেন। ১৯৩০ সালে তিনি সর্বান্তকরণে গান্ধীজির আইন অমান্য আন্দোলনে যোগ দেন এবং দেড় বছর কারাভোগ করেন। প্রথমে তাঁকে হুগলি জেলে পাঠানো হয়, পরে তাঁকে আলিপুর জেলে এবং পরে দমদম জেলে স্থানান্তরিত করা হয়। ১৯৪২ সালে তিনি আবার "ভারত ছাড়ো" আন্দোলনে যোগ দেন এবং এক বছরের জন্য কারারুদ্ধ হন, কিন্তু ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ তাদের দমন করার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাঁর ও তাঁর সহযোদ্ধাদের মনোবল অটুট ছিল।[২]

পরবর্তী জীবন সম্পাদনা

সনৎ স্থানীয় বোর্ড এবং পরে জেলা বোর্ডের সদস্য হন। ১৯৭২ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাঁকে তাম্রপত্র প্রদান করলে তাঁর অবদানের স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

ডঃ সনৎ মুখার্জি ১৯৭৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি মারা যান।[৩]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. https://amritmahotsav.nic.in/district-reopsitory-detail.htm?21261
  2. সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৪৭৭-৪৭৮, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
  3. ফজলুর রহমান, "শতাব্দীর দর্পণ", ২০০০, পৃষ্ঠা ১২৮।