সত্যানন্দ স্টোকস

ভারতীয় রাজনীতিবিদ

সত্যানন্দ স্টোকস (জন্ম: স্যামুয়েল ইভান্স স্টোকস, জুনিয়র, ১৬ আগস্ট ১৮৮২ — ১৪ মে ১৯৪৬) এক আমেরিকান যিনি ভারতে স্থায়ী হয়েছিলেন। তিনি ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি ভারতের হিমাচল প্রদেশে আপেল চাষ শুরু করেন। তার জন্যই আজ হিমাচল প্রদেশ আপেলের জন্য বিখ্যাত। আপেল আজ হিমাচল প্রদেশের প্রধান উদ্যানজাত রফতানি ফসল। এছাড়াও তিনি হিন্দু ধর্মের প্রচারের জন্য স্মরণীয়।

সত্যানন্দ স্টোকস
বাচ্চাদের সাথে সত্যানন্দ
জন্ম
স্যামুয়েল ইভান্স স্টোকস, জুনিয়র

(১৮৮২-০৮-১৬)১৬ আগস্ট ১৮৮২
মৃত্যু১৪ মে ১৯৪৬(1946-05-14) (বয়স ৬৩)
অন্যান্য নামস্বামী সত্যানন্দ
পেশাধর্মপ্রচারক, বিপ্লবী, ফলচাষী ও রপ্তানীকারক
রাজনৈতিক দলভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস
দাম্পত্য সঙ্গীপ্রিয়দেবী স্টোকস (জন্ম অ্যাগনেস বেনজামিন)
সন্তান৭(৩ ছেলে এবং ৪ কন্যা)
পিতা-মাতাস্যামুয়েল ইভান্স স্টোকস সিনিয়র,
ফ্লোরেন্স স্পেন্সার

জীবনী সম্পাদনা

সত্যানন্দের জন্ম এক আমেরিকান সম্ভ্রান্ত ধর্মীয় পরিবারে স্যামুয়েল ইভান্স স্টোকস জুনিয়র হিসেবে। তার বাবা একজন অত্যন্ত সফল ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি স্টোকস এবং প্যারিশ মেশিন কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে লিফট প্রস্তুতকারক ছিল। তিনি ছিলেন এক মাত্র উত্তরাধিকারী। উচ্চবিত্ত পরিবারের ছেলে স্যামুয়েলের পড়াশোনা শুরু হয় নামী দামী স্কুলে। কিন্তু ছোট বেলা থেকেই স্যামুয়েল একটু আধ্যাত্মিক প্রকৃতির ছিলেন। তাই তার বাবা মা তাকে কনভেন্ট স্কুলে এক পাদ্রীর কাছে পড়তে পাঠান। আধ্যাত্মিক স্যামুয়েল চার্চের পাদ্রীর কাছে বাইবেল আর খ্রিস্টান মিশনারীদের ক্রিয়াকলাপের বিষয়ে পড়তে শুরু করেন। তরুণ বয়সে তিনি ব্যবসার প্রতি আগ্রহী না হওয়ায় কোনও পেশাদার দক্ষতা অর্জন করতে পারেনি। তবুও তার বাবা তাকে ব্যবসার সাথে জড়িত করার জন্য অনেক প্রচেষ্টা করেছিলেন। তবে তিনি এতে আগ্রহী ছিলেন না। তিনি জীবনে আরও ভাল কাজ করায় বিশ্বাসী ছিলেন। তার পরিবার ধনী হওয়ায় তারা তার প্রয়োজন পূরণ করেছিল।

স্যামুয়েলের বয়স যখন ২০/২১ তখন কনভেন্টের পাদ্রীদের আদেশে স্যামুয়েল ভারতে আসেন। তাকে দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ভারতের খ্রিস্টান মিশনারীর প্রচার প্রসার করার। ২১ বছরের স্যামুয়েল ১৯০৩ সালে চার্চের আদেশে ভারতে খ্রিস্টান মিশনারীর প্রচার প্রসার করতে ভারতের বম্বে শহরে এসে পৌঁছান। তার বাবা-মা এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছিল। তবু তিনি এটি করেছিলেন। ভারত তার বাবা-মা এবং অন্যান্য লোকদের থেকে অনেক দূরে ছিল। পরিবারের ব্যবসার হাল না ধরায় সবাই তাকে তুচ্ছ করে দেখছিল। সেই সময় ভারতে মিস্টার এন্ড মিসেস কার্লটন কুষ্ঠ রোগ নিয়ে গবেষণা ও কুষ্ঠ রোগীদের সেবা করার কাজ করছিলেন। যুবক স্যামুয়েলও ওনাদের সাথে মিলে কুষ্ঠ রোগীদের সেবা কাজে লেগে পড়লেন। তার বাবা-মা তাকে যথেষ্ট অর্থ সরবরাহ করেছিল। যা তিনি কুষ্ঠরোগী এবং স্থানীয় গ্রামবাসীদের সহায়তা করার জন্য ব্যবহার করেন। তিনি চিকিৎসার আড়ালে ধর্মান্তকরণের কাজ করতে থাকেন। এই কাজ চলার বেশ কিছুদিন পর বম্বের গরম আবহাওয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে তিনি হিমাচলের যান। হিমাচল প্রদেশের কোটগড়ে ১৮৪৩ এ ইংরেজদের নির্মিত একটা চার্চ ছিল। সেই চার্চে এসে স্যামুয়েল থাকতে শুরু করেন এবং ধর্মান্তকরণের কাজ শুরু করে দেন।

কয়েক বছর পরে ক্যানটারবেরির আর্চবিশপ শিমলাতে (ব্রিটিশ রাজের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী) ভাইসরয়ের সাথে দেখা করতে আসেন। তিনি তার কাজের কথা শুনে মুগ্ধ হন। তিনি স্যামুয়েলকে ফ্রান্সিসকান ফ্রিয়ার্সের একটি দল গঠনের জন্য উৎসাহিত করেন। যার কাজ হবে দরিদ্র ও রোগাক্রান্ত মানুষকে সাহায্য করার আড়ালে খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত করা। তবে এই দলে তার সদস্যপদ মাত্র দুই বছর স্থায়ী ছিল।

১৯১২ সালে ৩০ বছর বয়সে তিনি এক ভারতীয় নারী অ্যাগনেস বেঞ্জামিনকে বিয়ে করেন। যার পূর্বপুরুষ খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেছিল। তিনি হিমাচলেই থেকে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন।[১] প্রথমে এই বিয়ে তার পরিবার মেনে নেয় নি। কিন্তু স্যামুয়েলের জেদের সামনে তার পরিবার নতি স্বীকার করে। ১৯১২ সালে সিমলার বারোবাগে ৩০,০০০ টাকা দিয়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানি থেকে ২০০ একরের একটা চা বাগান কিনে সেই জমি স্যামুয়েলকে বিয়ের উপহার হিসাবে দেন তার মা। তিনি দারিদ্র্যের জীবন ছেড়ে দেন ও স্ত্রীর সাথে থাকতে শুরু করেন। তার বাবার তার উপর যথেষ্ট প্রত্যাশা ছিল এবং তাদের সম্পত্তির মূল্য বহুগুণে বেড়ে গিয়েছিল। ভারতের প্রত্যন্ত, সুন্দর অংশে এসে তিনি ভারমুক্ত হয়েছিলেন। তিনি এতদিনে ব্যর্থ‌তার সাথে লড়তে শিখে গিয়েছিলেন। যা তার বেড়ে ওঠার সময় তাকে দেখতে হয়েছিল। একটি গ্রামীণ সমাজে একজন সাদা পুরুষ হিসেবে একজন ভারতীয় স্ত্রীর সাথে তিনি থাকতে শুরু করেন। যিনি ছিলেন খুব সাধারণ এবং নিজের স্বামীর কাছে তার কোনো দাবি ছিল না। তিনি আগের চেয়ে সুখী ছিলেন। সাত সন্তানের জন্মের সাথে তার পরিবারটি বেড়ে ওঠে।

তিনি ছিলেন খ্রিস্ট পুরাণ তত্ত্বের সমালোচক।[২] তিনি খ্রিস্টান লিটারেচার সোসাইটি ফর ইন্ডিয়া, মাদ্রাজ দ্বারা প্রকাশিত দ্য হিস্টোরিয়াল ক্যারেক্টার অফ গসপেল বইটি রচনা করেছিলেন। যা দ্য গস্পেল একরডিং টু জিউস অ্যান্ড প্যাগান্‌স (১৯১৩) নামে লন্ডনে পুনঃপ্রকাশিত হয়েছিল। এতে তিনি যিশুর ঐতিহাসিকতা এবং তার ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার পক্ষে যুক্তি দিয়েছিলেন।[৩]

নিজের কেনা চা বাগানকে আপেলের ক্ষেত বানিয়ে ফেলেন তিনি। অন্য গ্রামবাসীদেরও তিনি এর সাথে যুক্ত করেন। ১৯১৬ সালে তিনি আমেরিকার লুইসিয়ানা যান। তিনি আমেরিকার লুইসিয়ানার স্টার্ক ভাইদের দ্বারা সিমলা পাহাড়ের উপযোগী হিসাবে গড়ে তোলা একটি নতুন আপেলের জাত চিহ্নিত করেছিলেন এবং তার খামারে তার চাষ শুরু করেছিলেন। এটি ছিল ১৯১৬ সাল। ফলের বাম্পার ফলন হয়। তিনি শ্বেত লোকদের সাহায্যে দিল্লিতে রফতানির ব্যবসা চালান এবং অন্যান্য কৃষকদের আপেল চাষে উৎসাহ দেন। তিনি তাদের সাহায্য করেছিলেন। তিনি আরও জমি ক্রয় করেন আপেল চাষের জন্য। যা গ্রামবাসী তাদের নিজস্ব খামার বীজ করতে ব্যবহার করবে। স্থানীয় অর্থনীতি এতে ব্যাপকভাবে পুনরায় প্রাণবন্ত হয়েছিল।

সেই সময় দেশে প্লেগের মহামারী চলছিল। প্লেগ মহামারী এতটাই ভয়ঙ্কর ছিল যে এই রোগে আক্রান্ত হলে নিজের পরিবারও ছেড়ে চলে যেত। কিছু কিছু গ্রামে তো অবস্থা এমন শোচনীয় ছিল যে সেই গ্রামে রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেলে সুস্থ গ্রামবাসীরা রোগী সমেত গোটা গ্রামে আগুন লাগিয়ে অন্যত্র চলে যেত। সেই সময় এই প্লেগ রোগীদের সেবা শুশ্রুসার কাজে সর্বতোভাবে লিপ্ত ছিল আর্য সমাজ। আর্য সমাজের একজন সন্যাসী পণ্ডিত রুলিয়া রাম প্লেগ রোগীদের সেবা করতেন। সারিয়ে তুলতেন। আর্য সমাজ ও পণ্ডিত রুলিয়া রামের এই সেবাকর্ম মিশনারীদের ভীত নড়িয়ে দিয়েছিল। আপেল চাষী পাদ্রী স্যামুয়েল ইভান স্টোকস এই পণ্ডিত রুলিয়া রামের সংস্পর্শে আসেন সেই সময়। পণ্ডিত রুলিয়া রামের সেবানিষ্ঠা দেখে তার সত্যের উপলব্ধি হয়। তিনি সেবার আসল রূপ দেখে মানব কল্যান আর ধর্মের স্বরূপ উপলব্ধি করতে পারেন। সেবা মানে যে কুসংস্কার আর স্বার্থের কারণে সিধেসাধা মানুষের ধর্ম পরিবর্তন করা কখনই নয়, সেটা তিনি বুঝতে পারেন। তিনি পণ্ডিত রুলিয়া রামের কাছে যাতায়াত শুরু করেন। তার সাথে সেবার কাজ করা শুরু করেন। পণ্ডিত রুলিয়া রামের থেকে তিনি সত্য সনাতন হিন্দু ধর্মের বিষয়ে জানেন, ত্যাগ আর সেবার মর্ম বোঝেন, সনাতন ধর্মের বিষয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। আর্য সমাজের মন্দিরে নিয়মিত যাতায়াত করতে করতে কখন যে তিনি তৎকালীন ভারতের বিপ্লবীদের সাথে নিজেকে এক করে ফেলেন তা তিনি নিজেও বুঝতে পারেন নি।

তার সর্বদা সামাজিক ন্যায়বিচারের দৃঢ় ধারণা ছিল। তিনি পরবর্তীতে গ্রেট ব্রিটেনের কাছ থেকে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে সক্রিয় হয়ে ওঠেন।[৪] তিনি একমাত্র আমেরিকান হিসাবে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির (এআইসিসি) সদস্য হওয়ার বিরল সম্মান পান। লালা লাজপত রায়ের পাশাপাশি তিনিও পাঞ্জাবের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। তিনিই একমাত্র অ-ভারতীয় যিনি ১৯১২ সালে কংগ্রেস ইশতেহারে স্বাক্ষর করে ভারতীয়দের সরকারী চাকরি ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানান। ১৯১২ সালে ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও বিদ্বেষ প্রচারের অভিযোগ করে তাকে কারাগারে বন্দী করা হয়েছিল। তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামে গ্রেট ব্রিটেনের রাজনৈতিক বন্দী হিসেবে একমাত্র আমেরিকান ছিলেন। তার গ্রেপ্তারের বিষয়ে মহাত্মা গান্ধী লিখেছিলেন: "তিনি (স্টোকস) ভারতীয়ের সাথে সহাবস্থানকারী এবং তাদের মতো অনুভব করেন। তিনি তাদের দুঃখ নিজের সাথে ভাগ করেন এবং নিজেকে সংগ্রামের সাথে জড়িত করেন। যা সরকারের জন্য ভালো ছিল না। সরকারের সমালোচনা করায় তাকে ছেড়ে দেওয়া অসহনীয় ছিল। তাই তার সাদা ত্বক তাকে কোনও সুরক্ষা দেয় না…"

জেলে গিয়ে তার পরিচয় হয় সেই সময়ে ওই জেলেরই আর এক বন্দী লালা লাজপত রায়ের সাথে। লালা লাজপত রায় তাকে "সত্যার্থ প্রকাশ" পড়তে দেন। "সত্যার্থ প্রকাশ" পড়তে পড়তে আর লালা লাজপত রায়ের মধ্যে দেশকে স্বাধীন করার অদম্য ইচ্ছা দেখতে দেখতে তার মধ্যে এক অদ্ভুত পরিবর্তন আসে। জেল থেকে বেরিয়ে তিনি পুরোপুরিভাবে স্বাধীনতা আন্দোলনে লেগে পড়েন। বেদ, উপনিষদ আর মনুস্মৃতির অধ্যয়ন করেন। শ্রীমদ্ভগবত গীতার ইংরেজি অনুবাদ পড়ে তার সঠিক মর্ম না বুঝতে পেরে সংস্কৃত শেখেন। তারপর সংস্কৃত শ্রীমদ্ভগবত গীতার অধ্যয়ন করেন। ১৯৩২ সালে তিনি চার্চ, খ্রিস্টধর্ম, মিশনারী থেকে নিজেকে মুক্ত করে নিজের নাম রাখেন সত্যানন্দ স্টোকস। তার স্ত্রী অ্যাগনেসের নাম হয় প্রিয়া দেবী স্টোকস।[৫][৬] হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার সিদ্ধান্তটি তার জন্য কঠিন ছিল কারণ এতে তিনি তার প্রিয়জনদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তেন। কিন্তু তিনি তার জন্য প্রস্তুত ছিলেন।[৭] তাদের সন্তানদের নাম প্রীতম স্টোকস, লালচন্দ স্টোকস, প্রেম স্টোকস, সত্যবতী স্টোকস, তারা স্টোকস ও সাবিত্রী স্টোকস প্রভৃতি। সনাতন ধর্মে দীক্ষিত হয়ে তিনি স্বামী সত্যানন্দ নামে পরিচিত হন। নিজের বাড়িতেই আর্য সমাজের মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেন। সেই মন্দিরের কাঠের স্তম্ভের ওপর বেদ, উপনিষদ আর শ্রীমদ্ভগবত গীতার বহু শ্লোক খোদাই করেন। আজও সেই খোদাই করা শ্লোক দেখতে পাওয়া যায় হিমাচলের ঐ মন্দিরে। সেই সময়ে ওই মন্দির নির্মাণ আর তার কাজের সুবিধার্থে তৎকালীন ভারতের প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ী যুগলপ্রকাশ বিড়লা ২৫,০০০ টাকা দান করেন। আজ সেই মন্দির পরমজ্যোতি মন্দির বা অনন্তপ্রকাশ মন্দির নামে পরিচিত। তার ছেলে তারা স্টোকস পেটের ক্ষয়রোগে মারা যায়। এতে তিনি ভেঙে পড়েন।

১৯৪৬ সালের ১৪ ই মে ভারতের স্বাধীনতা লাভের অল্প সময় আগে এক দীর্ঘ অসুস্থতার পরে তিনি প্রয়াত হন। স্বামী সত্যানন্দ স্বাধীনতার সূর্য দেখে যেতে পারেন নি।

সম্প্রতি অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত তার নামে হিমাচলের কোনো একটা স্মৃতিসৌধ বা কোনো রাস্তার নামকরণ করার জন্য হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরকে অনুরোধ করেছেন।[৮]

কাজ সম্পাদনা

  • অর্জুন: এক ভারতীয় ছেলের জীবনকাহিনী। (স্যামুয়েল ইভান্স স্টোক হিসেবে)। ওয়েস্টমিনস্টার, ১৯১০।
  • ইহুদি এবং পৌত্তলিকদের মতে সুসমাচার: খ্রিস্টান অ-খ্রিস্টান উৎস থেকে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহাসিক চরিত্র। (স্যামুয়েল ইভান্স স্টোক হিসেবে)। লংম্যানস, গ্রিন, ১৯১৩।
  • বিশ্ব সংস্কৃতি হিসেবে ইউরোপীয় সভ্যতার ব্যর্থতা। (স্যামুয়েল ইভান্স স্টোক হিসেবে)। মদের দোকান. এস গণেশান এন্ড কোং,১৯২১
  • জাতীয় আত্ম-উপলব্ধি এবং অন্যান্য প্রবন্ধগুলি। (স্যামুয়েল ইভান্স স্টোক হিসেবে) রুবিকন পাব। গৃহ. ১৯৭৭
  • সত্যকাম: সত্যিকারের মানুষ। ইন্ডিয়ান পাবলিশার্স ডিস্ট্রিবিউটর, ১৯৯৮ আইএসবিএন ৮১-৭৩৪১-০৭০-৪

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Sharma, Asha (১৯৯৯)। An American in Khadi: The Definitive Biography of Satyanand Stokes। Penguin Books India। পৃষ্ঠা 97। আইএসবিএন 0-14-028509-1 
  2. Van Voorst, Robert E. (2000). Jesus Outside the New Testament: An Introduction to the Ancient Evidence. Grand Rapids, MI: Eerdmans. Footnote 28. p. 13. আইএসবিএন ০-৮০২৮-৪৩৬৮-৯
  3. Sharma, Asha. (2008). An American in Gandhi's India: The Biography of Satyanand Stokes. Indiana University Press. p. 57. আইএসবিএন ৯৭৮-০-২৫৩-২১৯৯০-৯
  4. Fit to Post:Satyananda Stokes http://in.yfittopostblog.com/tag/satyananda-stokes/ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৯ আগস্ট ২০১০ তারিখে
  5. Sharma, Asha (১৯৯৯)। An American in Khadi: The Definitive Biography of Satyanand Stokes। Penguin Books India। পৃষ্ঠা 293। আইএসবিএন 0-14-028509-1 
  6. The Pacific Historical review https://www.jstor.org/stable/3640095?seq=20
  7. Sharma, Asha (১৯৯৯)। An American in Khadi: The Definitive Biography of Satyanand Stokes। Penguin Books India। পৃষ্ঠা 279, 287। আইএসবিএন 0-14-028509-1 
  8. "Kangana seeks memorial for Himachal's apple pioneer Stokes"Hindustan Times (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৭-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২৫ 

আরও পড়া সম্পাদনা

বহিঃ সংযোগ সম্পাদনা