শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব
লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব লিমিটেড ঢাকা ধানমন্ডির একটি ক্রীড়া ক্লাব। ক্লাবটির প্রতিষ্ঠাতার নাম যোগ করার আগে এটি ধানমন্ডি ক্লাব হিসেবে পরিচিত ছিল। ২০১০ সাল ক্লাবটি শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব নামে আত্মপ্রকাশ করে। তারা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। ২০১৪ সালের ভারতের আইএফএ শীল্ডে তারা রানার-আপ হয়।
পূর্ণ নাম | শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব লি |
---|---|
ডাকনাম | হলুদ আতঙ্ক |
প্রতিষ্ঠিত | ২০১০ (ধানমন্ডি ক্লাব হিসেবে) |
মাঠ | শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব মাঠ।(ক্লাব সংলগ্ন) |
ধারণক্ষমতা | ৩৬,০০০ |
ম্যানেজার | টিপু সুলতান মাহমুদ |
লিগ | বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ |
২০১৯–২০২০ | ৩য় (১৩র মধ্যে) |
প্রতিষ্ঠার ইতিহাস
সম্পাদনা২০১০ সালে ধানমন্ডি ক্লাব শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব নাম নিয়ে বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে খেলা শুরু করে। ২০০৯-১০ মৌসুম থেকে প্রথম মাঠে নামে দলটি।[১]
বর্তমান খেলোয়াড়
সম্পাদনা- ২৯ নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত হালনাগাদকৃত।
২০২২-২৩ মৌসুমের জন্য শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের খেলোয়াড়।
টীকা: পতাকা জাতীয় দল নির্দেশ করে যা ফিফার যোগ্যতার নিয়মের অধীনে নির্ধারিত হয়েছে। খেলোয়াড়দের একাধিক জাতীয়তা থাকতে পারে যা ফিফা ভুক্ত নয়।
|
|
প্রতিযোগিতা
সম্পাদনা২০১৩ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আটবারের চ্যাম্পিয়ন আবাহনীকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফেডারেশন কাপ জয় করে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ২০১০ সাল থেকে পরপর চার বছর ফেডারেশন কাপের ফাইনাল খেলে শেখ জামাল। ২০১০-এ প্রথমবার আবাহনীর কাছে হেরে যায় ৫-৩ গোলে। ২০১১ সালে বিজেএমসিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতন চ্যাম্পিয়ন হয়।
বুদ্ধ সুব্বা গোল্ডকাপ
সম্পাদনা২০০০ সালে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব বুদ্ধ সুব্বা গোল্ডকাপ জয় করে। সেই প্রতিযোগিতাতে অবশ্য দলটি ধানমন্ডি ক্লাব নামেই খেলেছিল।
পোখারা গোল্ডকাপ
সম্পাদনা২০১১ সালে পোখারা স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের ফাইনালে শেখ জামাল ১-০ গোলে পরাজিত করে নেপাল আর্মিকে। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে গোলশূন্যভাবে শেষ হলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ১০৫ মিনিটে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ইয়োকো গোল করে শেখ জামালকে এনে দেন প্রথম পোখারা কাপের শিরোপা। চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় ২ লাখ ৫০ হাজার রুপি পুরস্কার পায় শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব। কাঠমান্ডুর বাইরে সবচেয়ে বেশি প্রাইজমানির টুর্নামেন্ট পোখারা কাপ।[২]
আইএফএ শিল্ড কাপ
সম্পাদনা২০১৪ সালে ভারতের আইএফএ শিল্ড কাপের ফাইনালে ওঠে শেখ জামাল। ফাইনালে ওঠার জন্য শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ইস্ট বেঙ্গল ও মোহনবাগান ফুটবল দলকে হারায় । ফাইনালে কলকাতা মোহামেডানের কাছে সনি নর্দের বিতর্কিত লাল কার্ডের সুবাদে টাইব্রেকারে গড়ানো ম্যাচে পরাজিত হয় ।
কিংস কাপ
সম্পাদনা২০১৪ সালে ভুটানে অনুষ্ঠিত কিংস কাপ জয় করে শেখ জামাল ক্লাব । তারা গ্রুপ পর্বে ভারতের মোহনবাগান,ভুটানের দ্রুক ইউনাইটেড এবং থাইল্যান্ডের নাখন রাতসাজিং মাজদা দলকে নিয় গড়া গ্রুপ থেকে ২ জয় এবং ১ ড্র নিয়ে সেমিফাইনালে ওঠে । সেমিতে নেপালের মানাং মারসিয়ানদি এবং ফাইনালে ভারতের পুনে এফসি কে হারিয়ে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব চ্যাম্পিয়ন হয় ।
নামী ক্রীড়াবিদ
সম্পাদনাবাংলাদেশের জাতীয় দলের ফুটবলাররা ছাড়াও হাইতিয়ান স্ট্রাইকার সনি নর্দে, ওয়েডসন এবং নাইজেরিয়ার ডালিংটনও নিয়মিত খেলেন শেখ জামালের হয়ে।
অর্জন
সম্পাদনাবিজয়ী
সম্পাদনা- কিংস কাপ (ভুটান) (২০১৪)
- বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (২০১০-১১, ২০১৩-১৪)
- ফেডারেশন কাপ (২০১১-১২, ২০১৩)
- বুদ্ধ সুব্বা গোল্ডকাপ (২০০০)
- সাফাল পোখারা গোল্ডকাপ (২০১১)[৩]
রানার্স আপ
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ মুক্তিযোদ্ধা না শেখ জামাল, দৈনিক যুগান্তর
- ↑ শেখ জামাল চ্যাম্পিয়ন: পোখারায় নেপাল আর্মিকে হারাল আমিনুলরা ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে, দৈনিক সমকাল
- ↑ "শেখ জামাল চ্যাম্পিয়ন পোখারায় নেপাল আর্মিকে হারাল আমিনুলরা"। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৩।
ফুটবল ক্লাব বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |