শিবরাম চক্রবর্তী
শিবরাম চক্রবর্তী (১৩ ডিসেম্বর ১৯০৩ – ২৮ আগস্ট ১৯৮০) ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি রম্যলেখক। কবিতা-রচনা দিয়ে তাঁর সাহিত্য-জীবনের শুরু।[২] প্রথম কবিতা বেরোয় ভারতী পত্রিকায়। প্রথম প্রকাশিত বই দুটিও — 'মানুষ' ও 'চুম্বন' — কবিতার। দুটিই প্রকাশিত হয় ১৯২৯ সালে। তারপর অজস্র লেখা লিখেছেন। প্রবন্ধ, নাটক এবং তুলনাহীন অজস্র হাসির গল্প। লিখেছেন ঈশ্বর পৃথিবী ভালবাসা ও ভালবাসা পৃথিবী ঈশ্বর নামের অনন্য স্মৃতিকথামূূলক দূটি বই। প্রবন্ধের বই: মস্কো বনাম পন্ডিচেরি ও ফানুস ফাটাই। নাটকের গ্রন্থ: যখন তারা কথা বলবে। বিচিত্র জীবন ছিল তার। তিনি রাজনীতি করেছেন, জেল খেটেছেন, রাস্তায় কাগজ ফেরি করেছেন, ফুটপাথে রাত্রিবাস করেছেন, সাংবাদিকতা করেছেন, আজীবন মেস-জীবন যাপন করেছেন।
শিবরাম চক্রবর্তী | |
---|---|
জন্ম | চাঁচল, মালদহ পশ্চিমবঙ্গ[১] | ১৩ ডিসেম্বর ১৯০৩
মৃত্যু | ২৮ আগস্ট ১৯৮০ কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ | (বয়স ৭৬)
পেশা | কৌতুক-কথাকার |
ভাষা | বাংলা |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
ধরন | কৌতুককথা বা রম্যরচনা, রাজনীতি |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি | বাড়ি থেকে পালিয়ে |
জন্ম ও বংশপরিচয়
সম্পাদনাশিবরাম চক্রবর্তীর জন্ম ১৯০৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর কলকাতার দর্জিপাড়ায়, নয়ানচাঁদ দত্ত লেনে, তাঁর দাদামশাইয়ের বাড়িতে।[১] তাঁর বাবা শিবপ্রসাদ চক্রবর্তী ছিলেন মালদহের চাঁচলের রাজ পরিবারের সন্তান৷ যদিও তাঁদের আদি নিবাস ছিল মুর্শিদাবাদের চোঁয়ায়৷[৩] শিবরামের মায়ের নাম ছিল শিবরানি। শিবরামের আরো দুই ভাই ছিল শিবসত্য ও শিবহরি নামে।
ব্যক্তিজীবন
সম্পাদনাশিবরাম চক্রবর্তীর জন্মগ্রহণ করেন ১৯০৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর (বাংলার ২৭ অগ্রহায়ণ ১৩১০) কলকাতায় মাতুলালয়ে। বিদ্যালয়ে পড়তে পড়তেই তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দেন এবং দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের সংস্পর্শে আসেন। এর জন্য তাকে কারাবাসও করতে হয়। এই সময় তিনি বিজলী ও ফরওয়ার্ড পত্রিকার সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন। ছিলেন যুগান্তর পত্রিকার প্রকাশক। তার জীবনের বেশির ভাগ সময়টাই কেটেছে উত্তর কলকাতার মুক্তারাম বাবু লেনের একটি মেসবাড়িতে। তিনি অনাড়ম্বর জীবন কাটাতেন। শেষ জীবনে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তার জন্য মাসোহারার ব্যবস্থা করেছিলেন।
সাহিত্য কর্ম
সম্পাদনাউপন্যাস
সম্পাদনাতার সর্বাধিক আলোচিত উপন্যাস বাড়ি থেকে পালিয়ে। লিখেছেন বাড়ি থেকে পালিয়ের পর, কলকাতার হালচাল, বর্মার মামা, মনের মত বৌ, মস্কো বনাম পন্ডিচেরী সহ আরও বেশ কিছু বই। তার অমর সৃষ্টি হর্ষবর্ধন গোবর্ধনের গল্প যা আজো পাঠকমহলে সমানভাবে সমাদৃত। প্রবন্ধ, গল্পের পাশাপাশি তিনি কিছু রম্য গোয়েন্দাকাহিনিও লিখেছিলেন। তার গোয়েন্দার নাম কল্কেকাশি।
গল্প
সম্পাদনা
|
|
|
কবিতা
সম্পাদনা
|
|
|
|
নাটক
সম্পাদনা
|
|
জীবনের শেষ পর্যায় এবং মৃত্যু
সম্পাদনাঅনেক অবহেলার কারণে তাঁর জীবনের বহু লেখা সযত্নে সংরক্ষণ করতে পারেন নি তিনি। তাঁর বহু মূল্যবান লেখা অবহেলায় খুঁইয়ে ফেলেছিলেন। তাঁর জীবনটাও কেটেছে চরম অবহেলায়। জীবনের শেষ পর্যায়ে তিনি গুরুতর আর্থিক সমস্যায় পড়েন। নিদারুণ অর্থকষ্টে তার জীবনটা ধীরে ধীরে স্থবির হয়ে পড়তে থাকে। অবশেষে তাঁর আর আপন বলে কিছুই ছিল না। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে মাসিক ভাতা প্রদান করে। তিনি ১৯৮০ সালে কলকাতায় মারা যান।
চলচ্চিত্রায়ণ
সম্পাদনা- বাড়ী থেকে পালিয়ে উপন্যাসটি ঋত্বিক ঘটকের পরিচালনায় ১৯৫৮ সালে চলচ্চিত্র আকারে মুক্তি পায়।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ শিবরাম চক্রবর্তী (১৩৬৭)। ঈশ্বর পৃথিবী ভালোবাসা। বিশ্বাস পাবলিশিং হাউস, কলিকাতা। পৃষ্ঠা ১৫।
- ↑ হ্যা (২০১৭-১২-১৩)। "বাঙালি রম্যলেখক শিবরাম চক্রবর্তী"। bdnews24। ২০২৩-০৭-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-১৪।
- ↑ শিবরাম চক্রবর্তী (১৩৬৭)। ঈশ্বর পৃথিবী ভালোবাসা। বিশ্বাস পাবলিশিং হাউস, কলিকাতা। পৃষ্ঠা ২৩।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |