শাহ নেয়ামত উল্লাহ ওয়ালীর সমাধি

শাহ নেয়ামত উল্লাহ ওয়ালীর সমাধি মুঘল যুগের সর্বপ্রথম সমাধি স্থাপত্য নিদর্শন বলে বিবেচনা করা হয়। এটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এর তালিকাভুক্ত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা।[১]

শাহ নেয়ামত উল্লাহ ওয়ালীর সমাধি
Tomb of Shah Niamatullah Wali 07.jpg
শাহ নেয়ামত উল্লাহ ওয়ালীর সমাধি ভবন
সাধারণ তথ্য
অবস্থানসোনামসজিদ
ঠিকানাশিবগঞ্জ উপজেলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা
শহররাজশাহী
দেশবাংলাদেশ
স্বত্বাধিকারীবাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তর
কারিগরী বিবরণ
তলার সংখ্যা
যে কারণে পরিচিতশাহ নেয়ামত উল্লাহ ওয়ালীর সমাধী ভবন
অন্যান্য তথ্য
কক্ষ সংখ্যা

ইতিহাসসম্পাদনা

শাহ নেয়ামত উল্লাহ ওয়ালী দীর্ঘদিন তৎকালীন গৌড়ে সুনামের সঙ্গে ইসলাম প্রচার করে ফিরোজপুরেই ১০৭৫ হিজরী (১৬৬৪ খ্রিষ্টাব্দে) মতান্তরে ১০৮০ হিজরীতে (১৬৬৯ খ্রিষ্টাব্দে) সমাধিস্থ হন।[২]

অবকাঠামোসম্পাদনা

শাহ নেয়ামত উল্লাহ ওয়ালীর সমাধি উঁচু ভিটের ‍উপর দন্ডায়মান এ সমাধিটি বর্গাকৃতির এক গম্বুজ বিশিষ্ট ইমারত। সমাধী ভবন এর প্রত্যেক দিকে ৪৯ ফুট দৈর্ঘ্য প্রস্থ এবং মধ্য প্রকোষ্ঠটি সারে ২১ ফুট বর্গ। প্রত্যেক দেয়ালে তিনটি করে প্রবেশ পথ সন্নিবেশিত হওয়াতে এ মাজার শরীফকে বারদুয়ারী বলা হয়।[৩] মূল কক্ষের চারদিকে গিরে রয়েছে টানা ভর্টেড বারান্দা। মূল মাজার কক্ষের চর্তুদিকে একটি দরজা বিদ্যমান। সমস্ত দরজা গুলি খিলানযুক্ত মূল কক্ষের ওয়াল ভোল্ট গম্বুজ এর ভার বহন করে।[৪]

অবস্থানসম্পাদনা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে প্রায় ৩৫ কি.মি. দূরেুত্বে অবস্থিত শিবগঞ্জ উপজেলার শাহাবাজপুর ইউনিয়নে ঐতিহ্যবাহী তোহাখানা কমপ্লেক্স এর অভ্যান্তরে শাহ নেয়ামতউল্লাহ এর তিন গম্বুজ মসজিদের উত্তরে শাহ নেয়ামতউল্লাহ এর মাজার অবস্থিত।

ব্যবহারসম্পাদনা

মূলত এটি এক গম্বুজ বিশিষ্ট সমাধি ভবন। সমাধি ভবনটি মাজার হিসেবে এখনো সচল আছে।

চিত্রশালাসম্পাদনা

আরও দেখুনসম্পাদনা

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. "রাজশাহী বিভাগের পুরাকীতি - Department of Archaeology-Government of the People's Republic of Bangladesh - প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর-গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার"। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  2. সালাউদ্দিন, মোহাম্মদ (২৬ মার্চ ২০১০ইং)। "শাহ নিয়ামতুল্লাহ এর মাজার"। গৌড়বঙ্গ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর প্রাচীন নিদর্শন (2 সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: জাতীয় সাহিত্য পরিষদ। পৃষ্ঠা 101।  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  3. "সোনামসজিদ তোহাখানা মাজার শরিফ"। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি ও বেসিস। [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. চক্রবর্তী, রজনীকান্ত (জানুয়ারি ১৯৯৯)। গৌড়ের ইতিহাস (PDF) (1 & 2 সংস্করণ)। Bankim Chatterjee Street, Calcutta 700 073: Dev's Publishing। [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]