শাহনারা হোসেন
শাহনারা হোসেন (১ এপ্রিল ১৯৩৭ - ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯) ছিলেন একজন বাংলাদেশি ইতিহাসবিদ। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। ২০১০ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে। এছাড়াও তিনি এশিয়াটিক সোসাইটির আজীবন সদস্য ছিলেন।[১] এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন তাকে বিশেষ মর্যাদার অধ্যাপক হিসেবে ঘোষণা করে।
শাহনারা হোসেন | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | (বয়স ৮২)
জাতীয়তা | বাংলাদেশি |
দাম্পত্য সঙ্গী | এবিএম হোসেন |
পুরস্কার | বাংলা একাডেমি ফেলো (২০১০) |
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনাশাহনারা ১৯৩৭ সালের ১ এপ্রিল তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। শাহনারার পিতা আবদুল হাফিজ তৎকালীন ব্রিটিশ পুলিশের একজন কর্মকর্তা ছিলেন। পিতার কর্মস্থল কলকাতাতে তিনি শৈশব অতিবাহিত করেন।[২] ১৯৪৭ সালের ভারত বিভাগের সময় তার পরিবার ঢাকায় চলে আসে।[২] ঢাকায় এসে তিনি প্রথমে মুসলিম গার্লস হাইস্কুল এবং পরে কামরুন্নেসা হাইস্কুলে শিক্ষা লাভ করেন।[২]
শাহনারা ইডেন মহিলা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন।[২] তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করার পর লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের সোয়াস থেকে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন।[৩] তিনি ১৯৬৫ সালে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।[৩]
কর্মজীবন
সম্পাদনাশাহনারা ১৯৬০ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।[৩] শিক্ষক থাকাবস্থায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মন্নুজান হলের প্রথম প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন ছাড়াও বিভাগীয় সভাপতি, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।[৩] ২০০০ সালের ৩০ মে তিনি অধ্যাপনা থেকে অবসর গ্রহণ করেন। এছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনিই প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক বিশেষ অধ্যাপক হিসেবে সম্মান লাভ করেন।[৩]
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাশাহনারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করার পর এবিএম হোসেনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।[২] লন্ডনে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।[২] এই দম্পতির দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।[৪] শাহনারা ২০১৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।[৩]
গ্রন্থ
সম্পাদনাশাহনারা বেশ কিছু গ্রন্থ রচনা করেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "আজীবন সদস্য" (পিডিএফ)। এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশ। ১২ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০২০।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ "শাহানারা হোসেনের বেলাশেষের পাঁচালি"। কালি ও কলম। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০২০।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ "বাড়লেও হাজারের নিচে নতুন ডেঙ্গু রোগী"। দেশ রূপান্তর। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০২০।
- ↑ "শোক"। কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০২০।
- ↑ "University of Rajshahi"। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০২০।