শার্লট র্যাম্পলিং
টেসা শার্লট র্যাম্পলিং ওবিই (জন্ম ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৬) হলেন একজন ইংরেজ অভিনেত্রী, মডেল, ও গায়িকা। তিনি ইংরেজি, ফরাসি ও ইতালিয় ভাষার ইউরোপীয় আর্টহাউজ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সুপরিচিত। সুইঙ্গিং সিক্সটিজের আইকন র্যাম্পলিং মডেল হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন এবং পরবর্তী কালে ফ্যাশন আইকন হয়ে ওঠেন।
শার্লট র্যাম্পলিং | |
---|---|
Charlotte Rampling | |
জন্ম | টেসা শার্লট র্যাম্পলিং[১] ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৬ |
পেশা | অভিনেত্রী, মডেল, গায়িকা |
কর্মজীবন | ১৯৬৩-বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | ব্রায়ান সাউথকম্ব (বি. ১৯৭২; বিচ্ছেদ. ১৯৭৬) জঁ-মিশেল জার (বি. ১৯৭৮; বিচ্ছেদ. ১৯৯৮) |
সঙ্গী | জঁ-নোয়েল তাসেজ (১৯৯৮-২০১৫; তাসেজের মৃত্যু) |
সন্তান | ২ |
আত্মীয় | গডফ্রি র্যাম্পলিং (পিতা) |
১৯৬৬ সালে তিনি লিন রেডগ্রেভের সাথে জর্জি গার্ল চলচ্চিত্রে মেরেডিথ চরিত্রে কাজ করেন। অচিরেই তিনি ফরাসি ও ইতালিয় আর্টহাউজ চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল লুচিনো ভিসকন্তির দ্য ডেমড (১৯৬৯) ও লিলিয়ানা কাভানি'র দ্য নাইট পোর্টার (১৯৭৪)। তিনি এরপর জারদজ (১৯৭৪), ফেয়ারওয়েল, মাই লাভলি (১৯৭৫), উডি অ্যালেনের স্টারডাস্ট মেমোরিজ (১৯৮০), পল নিউম্যানের বিপরীতে দ্য ভারডিক্ট (১৯৮২), লং লিভ লাইফ (১৯৮৪), ম্যাক্স, মোন আমুর (১৯৮৬), অ্যাঞ্জেল হার্ট (১৯৮৭), ও দ্য উইংস অব দ্য ডাভ (১৯৯৭)। ২০০২ সালে তিনি ক্যাবারে ধারার অ্যাজ আ ওম্যান নামে একটি অ্যালবাম রেকর্ড করেন।
চারবার সেজার পুরস্কার মনোনীত র্যাম্পলিং ২০০১ সালে সম্মানসূচক সেজার লাভ করেন এবং ২০০২ সালে ফ্রান্স সরকার কর্তৃক লেজিওঁ দনরে ভূষিত হন। শিল্পকলায় তার অবদানের জন্য ২০০০ সালে তিনি অফিসার অব দি অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ারে ভূষিত হয়। ২০১৫ সালে তিনি ইউরোপিয়ান ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডস থেকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার লাভ করেন। একই বছর তিনি ফরাসি ভাষায় তার আত্মজীবনী কোয়া জ্য স্যুই (আমি কে) প্রকশ করেন। তিনি পরে এটি ইংরেজি ভাষার অনুবাদ করেন এবং ২০১৭ সালের মার্চ মাসে হু অ্যাম আই নামে প্রকাশ করেন।[২]
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনার্যাম্পলিং এসেক্সের স্টারমারে জন্মগ্রহণ করেন। তার মাতা ইসাবেল অ্যান (বিবাহপূর্ব গুরটিন; ১৯১৮-২০০১) ছিলেন একজন চিত্রকর, এবং পিতা গডফ্রি র্যাম্পলিং (১৯০৯-২০০৯) ছিলেন অলিম্পিক স্বর্ণপদক প্রাপক ও ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা।[৩] শার্লট তার শৈশবের অধিকাংশ সময় কাটান জিব্রাল্টর, ফ্রান্স ও স্পেনে। ১৯৬৪ সালে তারা সপরিবারে যুক্তরাজ্যে ফিরে আসেন।[৪]
তিনি ভার্সাইয়ের আকাদেমি জান দার্ক ও ইংল্যান্ডের হার্টফোর্ডশায়ারের বুশির বোর্ডিং স্কুল সেন্ট হিল্ডাস স্কুলে পড়াশোনা করেন। তার বড় বোন সারা ১৯৬৬ সালে ২৩ বছর বয়সে আত্মহত্যা করেন। তিনি ও সারা খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং কিশোর বয়সে তারা একত্রে ক্যাবারে নৃত্যে অংশগ্রহণ করতেন।[৫][৬][৭]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Charlotte Rampling"। অলমুভি। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০।
- ↑ "Charlotte Rampling autobiography" (ইংরেজি ভাষায়)। ভোগ। ১৯ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০।
- ↑ "Charlotte Rampling profile at" (ইংরেজি ভাষায়)। ফিল্ম রেফারেন্স। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০।
- ↑ হিসকক, জন (১৫ আগস্ট ২০০৩)। "Charlotte's web"। দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ ৫ জুলাই ২০২০ (ইংরেজি ভাষায়)।
- ↑ "Rampling on her Start in Films"। ভ্যারাইটি (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০।
- ↑ ম্যাকেঞ্জি, সুজি (১৬ আগস্ট ২০০৩)। "A time for happiness"। দ্য গার্ডিয়ান (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০।
- ↑ "Charlotte Rampling Biography" (ইংরেজি ভাষায়)। charlotterampling.net। ১৬ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০২০।