শামসুল হক শিক্ষা কমিশন, ১৯৯৭
শামসুল হক শিক্ষা কমিশন, ১৯৯৭ হলো বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশে ১৯৯৭ সালে গঠিত একটি শিক্ষা কমিশন।[১] এই কমিশনের প্রধান ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ তম উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মাদ শামসুল হক। এই কমিশনের সর্বমোট সদস্য ছিলো ৫৬ জন, কমিশনের উদ্দেশ্য ছিলো একটি বাস্তবধর্মী, গণমুখী, কর্মমুখী ও গতিশীল শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা। কয়েক মাসের মধ্যেই কমিশন তাদের কর্ম সম্পাদন করে কমিশনের রিপোর্ট জমা দেয়। তবে কমিশনের পরামর্শের অনেক কিছুই পরবর্তীতে বাস্তবায়ন হয়নি।[২] এই শিক্ষা কমিশন নানামুখী মানবিক গুনাবলির পরিস্ফুটনের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষানীতি প্রস্তাব করেছিলো।[৩]
প্রস্তাবসমূহ
সম্পাদনা১৯৯৭ সালের ১৪ জানুয়ারি সরকারি আদেশে এই কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশন নানামুখী গবেষণা ও পর্যবেক্ষণ করে কিছু পরামর্শ প্রদান করে। পরামর্শগুলোর অন্যতম:
- শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত ও জাতীয় জীবনে নৈতিক, মানবিক, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক মূল্যবোধ সৃষ্টি করা। এই মানবিক গুণগুলোর সৃষ্টির জন্য শিক্ষার্থীদের পরিচার্য করা।[৪]
- মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ছাত্রদের অনুপ্রাণিত করা
- শিক্ষার্থীদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী চেতনা, দেশপ্রেম ও সুনাগরিকের গুণাবলীর বিকাশ ঘটানো।
- তাদের মধ্যে বিশ্বভ্রাতৃত্ববোধ, অসাম্প্রদায়িক মনোভাব, পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সহমর্মিতার মনোভাব সৃষ্টি করা।
- দেশে আর্থ-সামাজিক পরিবর্তন সাধনের লক্ষ্যে শিক্ষাকে বাস্তবমুখী, উৎপাদনশীল ও সৃজনশীল করা।
- গণতান্ত্রিক চেতনার বিকাশের লক্ষ্যে তাদের মধ্যে পরস্পরের মতামতের প্রতি সহনশীলতার মনোভাব সৃষ্টি করা
- ছাত্রদের দায়িত্বশীল ও কর্তব্যপরায়ণ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলা।
- তাদের মধ্যে জীবন সম্পর্কে বাস্তবমুখী ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী গড়ে তোলা।
- মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল করে গড়ে তোলা
কমিশনের লক্ষ্য
সম্পাদনাবৈষম্যহীন সমাজ গঠনের লক্ষ্যে মেধা ও প্রবণতার ভিত্তিতে শিক্ষাক্ষেত্রে সমঅধিকার নিশ্চিত করার প্রতি কমিশন বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে। কমিশনের রিপোর্টে শিক্ষার তিনটি পর্যায়ের সুপারিশ করা হয়েছে, প্রাথমিক স্তর, মাধ্যমিক স্তর ও উচ্চশিক্ষা। প্রাথমিক শিক্ষার পরিধি পাঁচ বছরের পরিবর্তে আট বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে।
আরো দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "শামসুল হক শিক্ষা কমিশন, ১৯৯৭ -- মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ-শিক্ষা মন্ত্রণালয়"। www.shed.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-২৬।
- ↑ জনকণ্ঠ, দৈনিক। "বদলায় না আমলাতন্ত্র ॥ সংস্কারের সব উদ্যোগই থমকে যায়"। দৈনিক জনকণ্ঠ || Daily Janakantha (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-২৬।
- ↑ "বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাশিত শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন করতে হবে"। www.jugantor.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-২৬।
- ↑ Hasan, Rakib (২০২২-০৬-২৪)। "একনজরে বাংলাদেশের শিক্ষা কমিশনসমূহ"। Fateh24 (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-২৬।