জাতীয় কারিকুলাম ও সিলেবাস প্রণয়ন কমিটি, ১৯৭৬

জাতীয় কারিকুলাম ও সিলেবাস প্রণয়ন কমিটি, ১৯৭৬ বা শামসুল হক শিক্ষা কমিটি, ১৯৭৬ বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর গঠিত একটি অন্যতম উল্লেখযোগ্য শিক্ষা কমিশন[১] এই শিক্ষা কমিশন ১৯৭২ সালের কুদরত-ই-খুদা কমিশনের সুপারিশ মোতাবেক ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ সরকার জাতীয় কারিকুলাম ও সিলেবাস প্রণয়ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করে।[২] এই উদ্যোগের অংশ হিসাবে এই কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির প্রধান ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ তম উপাচার্য মুহাম্মাদ শামসুল হক, তার নামেও এই কমিটি পরিচিতি লাভ করেছিলো।

মুহাম্মাদ শামসুল হক ৫১ জন সদস্য নিয়ে একটি টিম গঠন করেন, এই জাতীয় কমিটি ১৯৭৬ সালের মার্চ মাসে কার্যক্রম শুরু করেন। তারা সিলেবাস ও কারিকুলাম প্রস্তুতের জন্য বিশেষ ধরনের কর্মকৌশল গ্রহণ করে। তারা এই কাজের জন্য ১০টি উপ-কমিটি এবং ২৭টি বিষয় ভিত্তিক কমিটিতে ভাগ হয়ে কাজ শুরু করেন। কমিটি প্রায় তিন বছর ধরে তাদের কাজ চালিয়ে যায়, এবং প্রতিবছর নতুন নতুন শিক্ষা সুপারিশ প্রদান করে। তাদের সকল সুপারিশসমূহ ১৯৭৬-৭৮ সাল পর্যন্ত মোট সাত খণ্ডে সরকারের নিকট জমা দেওয়া হয়। এই কমিটি দেশে সুনিদিষ্টভাবে একমুখী ও কর্মমুখী শিক্ষার প্রস্তাব দেয়।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "শিক্ষা কমিশন - বাংলাপিডিয়া"bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-২৭ 
  2. রতন, রাজেকুজ্জামান (২০২২-০২-১৪)। আর ঘামে ভেজা আন্দোলন/17498 "রক্ত আর ঘামে ভেজা আন্দোলন"songbadprokash.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-২৭