শান্ত কুমার
শান্ত কুমার (জন্ম ১২ সেপ্টেম্বর ১৯৩৪) একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ। যিনি হিমাচল প্রদেশের ৩য় মুখ্যমন্ত্রী এবং ভারত সরকারের একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন । তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্য । তিনি ১৯৮৯ সালে কাংড়া নির্বাচনী এলাকা থেকে ৯ম লোকসভায় নির্বাচিত হন। তিনি একই কেন্দ্র থেকে ১৯৯৮, ১৯৯৯ এবং ২০১৪ সালে লোকসভায় পুনঃনির্বাচিত হন। তিনি বেশ কিছু বই লিখেছেন।
শান্ত কুমার | |
---|---|
হিমাচল প্রদেশের ৩য় মুখ্যমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ২২ জুন ১৯৭৭ – ১৪ ফেব্রুয়ারী ১৯৮০ | |
পূর্বসূরী | ঠাকুর রাম লাল |
উত্তরসূরী | ঠাকুর রাম লাল |
কাজের মেয়াদ ৫ মার্চ ১৯৯০ – ১৫ ডিসেম্বর ১৯৯২ | |
পূর্বসূরী | বীরভদ্র সিং |
উত্তরসূরী | বীরভদ্র সিং |
কাংড়া আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৬ মে ২০১৪ – ২৩ মে ২০১৯ | |
পূর্বসূরী | রাজন সুশান্ত |
উত্তরসূরী | কিশান কাপুর |
ভোক্তা বিষয়ক, খাদ্য ও গণবন্টন মন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১৩ অক্টোবর ১৯৯৯ – ৩০ জুন ২০০২ | |
প্রধানমন্ত্রী | অটল বিহারী বাজপেয়ী |
উত্তরসূরী | শরদ যাদব |
নির্বাচনী এলাকা | কাংড়া |
গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১ জুলাই ২০০২ – ৬ এপ্রিল ২০০৩ | |
প্রধানমন্ত্রী | অটল বিহারী বাজপেয়ী |
পূর্বসূরী | ভেঙ্কাইয়া নাইডু |
উত্তরসূরী | কাশীরাম রানা |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | কাংড়া, পাঞ্জাব প্রদেশ (ব্রিটিশ ভারত) (এখন হিমাচল প্রদেশ , ভারত) | ১২ সেপ্টেম্বর ১৯৩৪
জাতীয়তা | ভারতীয় |
রাজনৈতিক দল | ভারতীয় জনতা পার্টি |
দাম্পত্য সঙ্গী | সন্তোষ শৈলজা |
বাসস্থান | ইয়ামিনী পারিসার, পালামপুর, কাংড়া জেলা, হিমাচল প্রদেশ, ভারত |
জীবনের প্রথমার্ধ
সম্পাদনাশান্তা কুমার জগন্নাথ শর্মা এবং কৌশল্যা দেবীর ঘরে ১২ সেপ্টেম্বর ১৯৩৪ সালে হিমাচল প্রদেশের কাংড়া জেলার গড়জামুলায় জন্মগ্রহণ করেন।[১]
রাজনৈতিক পেশা
সম্পাদনাতাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ১৯৬৩ সালে যখন তিনি গড়জামুলার গ্রাম পঞ্চায়েতে পঞ্চায়েত নির্বাচিত হন । পরবর্তীকালে তিনি ভাওয়ার্নাতে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নির্বাচিত হন এবং তারপর ১৯৬৫ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত কাংড়া জেলা পরিষদের সভাপতি ছিলেন।[২]
তিনি ১৯৭২ সালে হিমাচল প্রদেশ বিধানসভায় নির্বাচিত হন। সেখানে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত সদস্য ছিলেন। আবার ১৯৯০ সালে পুনরায় সংসদে নির্বাচিত হন এবং ১৯৯২ সাল পর্যন্ত অব্যাহত ছিলেন। তিনি ১৯৭৭ সালে হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হন ।[৩] তিনি ১৯৮০ সাল পর্যন্ত এই পদে অধিষ্ঠিত হন এবং ১৯৯০ সালে পুনরায় সরকার প্রধান হয়ে ফিরে আসেন এবং ১৯৯২ সাল পর্যন্ত বহাল থাকেন।[৪] ধর্মঘটকারী সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করার জন্য দ্বিতীয় মেয়াদে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি "কোন কাজ নেই, বেতন নেই" নীতি প্রয়োগ করেছিলেন।[৩] ১৯৮০ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত হিমাচল প্রদেশ বিধানসভায় বিরোধী দলের নেতা ছিলেন।[৫]
তিনি কাংড়া থেকে ১৯৮৯ সালে ৯ম লোকসভায় নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯৮ এবং ১৯৯৯ সালে দুবার পুনর্নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকারের সিনিয়র মন্ত্রী ছিলেন।[৩] তিনি ১৯৯৯ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ভোক্তা বিষয়ক এবং পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন মন্ত্রী এবং ২০০২ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রী ছিলেন।[৩][৫]
তিনি ২০০৮ সালে হিমাচল প্রদেশ থেকে রাজ্যসভায় নির্বাচিত হন।[৬] ২০১৪ সালে, তিনি কাংড়া থেকে ১৬তম লোকসভায় নির্বাচিত হন।[৭] ২০১৪-১৫ সালে তিনি ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (এফসিআই) -এর পুনর্গঠন সংক্রান্ত একটি কমিটির সভাপতিত্ব করেন ।[৮]
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাতিনি ১৯৬৪ সালে সন্তোষ শৈলজার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।[৯][১০] তার তিন কন্যা ইন্দু শর্মা, রেনু মুজুমদার, শালিনী সত্যান এবং একটি পুত্র বিক্রম শর্মা রয়েছে।[১১] তার স্ত্রী ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ সরকারি মেডিকেল কলেজ , তান্ডায় করোনাভাইরাসের কারণে মারা যান।[১০] তিনি প্রাথমিক বছরগুলিতে শিক্ষক হিসাবে কাজ করেছিলেন কিন্তু পরে চাকরি ছেড়ে দেন এবং নারী ও সুবিধাবঞ্চিত অংশগুলির মধ্যে লেখালেখি এবং সামাজিক কাজের দিকে চলে যান এবং কিছু বইও লেখেন।[৯]
নির্বাচনের ফলাফল
সম্পাদনাদল | প্রার্থী | ভোট | % | ±% | |
---|---|---|---|---|---|
বিজেপি | শান্ত কুমার | ৪,৫৬,১৬৩ | ৫৭.০৫ | +৮.৩৭ | |
কংগ্রেস | চন্দর কুমার | ২,৮৬,০৯১ | ৩৫.৭৯ | -৯.৭৬ | |
আপ | ডাঃ রাজন সুশান্ত | ২৪,৪৩০ | ৩.০৬ | +৩.০৬ | |
উপরের কোনটিই নয় | উপরের কোনটিই নয় | ৮,৭০৪ | ১.০৯ | +১.০৯ | |
সংখ্যাগরিষ্ঠতা | ১,৭০,০৭২ | ২১.২৭ | +১৮.১৩ | ||
ভোটার উপস্থিতি | ৭,৯৯,৪৪৫ | ৬৪.৪৬ | +৯.৩১ | ||
বিজেপি নির্বাচনী এলাকা ধরে রাখে | সুইং | +৮.৩৭ |
লেখা
সম্পাদনাকুমারের বইগুলির মধ্যে রয়েছে:[১২]
- Dharti Balidan Ki, 1962
- Himalaya Par Lal Chhaya, 1964
- Vishwa Vijeta Vivekanand, 1968
- Lajo, 1976
- Man Ke Meet, 1976
- Kaidi, 1976
- Jyotirmayi, 1977
- O Pravasi Meet Mere, 1977
- Mrigtrishna, 1980
- Kranti Abhi Adhoori Hai, 1985
- Deewar Ke Us Paar, 1995
- Rajneeti Ki Shatranj, 1997
- Tumhare Pyar Ki Pati, 1999
- Vrinda, 2007
- A Patriot monk Swami Vivekananda, 2012
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Biographical Sketch: Member of Parliament: 13th Lok Sabha"। parliamentofindia.nic.in। ২০১৩-০২-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০২-০৫।
- ↑ "National Portal of India"। india.gov.in। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০২-০৫।
- ↑ ক খ গ ঘ Bipin, Bhardwaj (২৪ মার্চ ২০১৯)। "After Advani, roads closed for veteran BJP leader Shanta Kumar too, party hunts for new face in Himachal" (ইংরেজি ভাষায়)। National Herald। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১।
- ↑ "Shanta Kumar : Niti Central"। www.niticentral.com। ২০১৩-০৪-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০২-০৫।
- ↑ ক খ "13th Lok Sabha Member Profile"। Government of India। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৬-২২।
- ↑ Members Page
- ↑ "Kangra(Himachal Pradesh) Lok Sabha Election Results 2014 with ..."।
- ↑ "Recommendations of High Level Committee on restructuring of FCI"। Press Information Bureau, Government of India। Ministry of Consumer Affairs, Food & Public Distribution। ২২ জানুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-২৫।
- ↑ ক খ "Former Himachal Pradesh CM Shanta Kumar's Wife Dies Of Covid"। Outlook। ২৯ ডিসেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১।
- ↑ ক খ "Former Union minister Shanta Kumar to undergo Covid treatment at Mohali hospital" (ইংরেজি ভাষায়)। Hindustan Times। ৩০ ডিসেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১।
- ↑ "Senior BJP leader Shanta Kumar, son admitted to Mohali hospital for Covid-19 treatment"। ANI News (ইংরেজি ভাষায়)। ANI। ৩০ ডিসেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১।
- ↑ "Kumar Shanta"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৬-২২।