শান্তিগিরি আশ্রম কেরলের তিরুবনন্তপুরম জেলার পথেনকোড়ে অবস্থিত।[১] এই আশ্রমটি নবজ্যোতিশ্রী করুণাকর গুরু প্রতিষ্ঠা করেছেন।[২] এই আশ্রমটি সামাজিক ও বিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভারত সরকার কর্তৃক স্বীকৃতি পেয়েছে। [৩]

লক্ষ্য সম্পাদনা

নবজ্যোতিশ্রী করুণাকর গুরুর স্বপ্ন আধ্যাত্মিকতা, সামাজিকতা, অর্থনৈতিক উন্নতি ও কৃষ্টির মিশেলে তৈরি নবজীবন। এই আদর্শ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শান্তিগিরি আশ্রম কাজ করে যাচ্ছে।[৪]

অবস্থান সম্পাদনা

পথেনকোড়ের মূল কেন্দ্র ছাড়াও আশ্রমেরও শাখা রয়েছে ইদুক্কি জেলা, ত্রিশূর, কণ্ণুর প্রভৃতি জায়গায়। এছাড়া নয়াদিল্লি ও ব্যাঙ্গালোরেও আশ্রমের শাখা প্রতিষ্ঠা হয়েছে।

কার্যক্রম সম্পাদনা

বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণ সম্পাদনা

গুরুর একটি লক্ষ্য ছিল দরিদ্রদের খাওয়ানো এবং এই ফলস্বরূপ আশ্রমটি তাদের বিভিন্ন কেন্দ্রে, সমস্ত দর্শনার্থী এবং বন্দীদের অন্নদান বা খাবার উপহার দেয়।[২][৫]

স্বাস্থ্যসেবা সম্পাদনা

অথুরাসেবানাম অথবা অসুস্থদের যত্ন নেয়া একটি সেবামূলক কার্যক্রম। আয়ুর্বেদ এবং সিদ্ধ রিচার্স সেন্টার, [২][৬] হাসপাতাল,[৭]অনসাইট-অফসাইট বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা[৮]এবং সামাজিক গবেষণার মাধ্যমে আশ্রমটি এই কার্যক্রম পরিচালনা করে। [৩]

আত্মাবোধনম সম্পাদনা

আশ্রমের জন্য গুরুর দৃষ্টিভঙ্গির একটি অংশ হ'ল আত্মাবোধনম বা আধ্যাত্মিক জাগরণ।[৯] জাগরণ দুটি স্তরে - যৌক্তিক এবং ট্রান্সসেন্ডেন্টাল; পূর্ববর্তীটি অজ্ঞতা দূরীকরণের দিকে মনোনিবেশ করে এবং পরবর্তীটি বাস্তবতার জ্ঞানকে কেন্দ্র করে ।[১০]

অর্থনৈতিক বিকাশ সম্পাদনা

একটি পুনরুজ্জীবিত জীবনের দৃষ্টিভঙ্গির অংশ হিসাবে, আশ্রম অর্থনৈতিক বিকাশের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, মহিলাদের জন্য বাণিজ্য দক্ষতা এবং সহায়তার উপর জোর দিয়ে থাকে[১১] এবং কুটির শিল্প কার্যক্রমও তারা চালিয়ে থাকে।[১২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Advani hails contributions of spiritual leaders"The Hindu। ২৮ এপ্রিল ২০০৮। ২ মে ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-১৪ 
  2. "Prime Minister to inaugurate ashram's research centre"The Hindu। ২৪ নভেম্বর ২০০৪। ১৭ জানুয়ারি ২০০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-১৪ 
  3. "Directory of Scientific and Industrial Research Organization"। Ministry of Science and Technology, Govt of India। নভেম্বর ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-১৪ 
  4. Tankha, Upendra (১১ মার্চ ২০০২)। "Between religion and spirituality"The Hindu। ৯ অক্টোবর ২০০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-১৪ 
  5. "Santhigiri Ashram"। India9.com। ১৪ জুলাই ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-১৫ 
  6. Devraj, Ranjit (২ জুলাই ২০০৫)। "Herbs and hysteria"। Asia Times। ৪ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-১৫ 
  7. "Bulgarian princess visits ashram"The Hindu। ৩ নভেম্বর ২০০৯। ২৪ মে ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-১৫ 
  8. "Santhigiri Ashram to organise free medical camp"The Hindu। ৫ এপ্রিল ২০০৬। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-১৫ 
  9. "International conference on health in Kottayam"The Hindu। ১৪ ডিসেম্বর ২০০৪। ২৬ ডিসেম্বর ২০০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-১৫ 
  10. "Blind man's buff - Interview with Rajeev Anchal"Rediff.com। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-১৫ 
  11. "Study materials, uniforms distributed"The Hindu। ৭ মে ২০০৯। ১২ মে ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-১৫ 
  12. "Santhigiri Ashram for an all-round health"The Tribune। ২৩ মার্চ ২০০২। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-১৫