শান্তিগঞ্জ উপজেলা

সুনামগঞ্জ জেলার একটি উপজেলা

শান্তিগঞ্জ উপজেলা বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ২৭ জুলাই ২০০৬ তারিখে প্রকাশিত বাংলাদেশ গেজেটে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে “দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা” নামক উপজেলা ঘোষণা করা হয়, এর ফলে ১৮ মে ২০০৮ তারিখ থেকে এ উপজেলাটি নবসৃষ্ট উপজেলা হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। ২০২১ সালের ২৬ জুলাই এ উপজেলার নাম পরিবর্তন করে “শান্তিগঞ্জ উপজেলা” রাখা হয়।[]

শান্তিগঞ্জ
উপজেলা
মানচিত্রে শান্তিগঞ্জ উপজেলা
মানচিত্রে শান্তিগঞ্জ উপজেলা
স্থানাঙ্ক: ২৪°৫৬′২২.২৩৬″ উত্তর ৯১°২৪′৪৮.৯২৪″ পূর্ব / ২৪.৯৩৯৫১০০০° উত্তর ৯১.৪১৩৫৯০০০° পূর্ব / 24.93951000; 91.41359000 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগসিলেট বিভাগ
জেলাসুনামগঞ্জ জেলা
প্রতিষ্ঠা২০০৮
আয়তন
 • মোট২৮৬.২৫ বর্গকিমি (১১০.৫২ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[]
 • মোট১,৮৩,৮৮১
 • জনঘনত্ব৬৪০/বর্গকিমি (১,৭০০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৬০ ৯০ ২৭
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

অবস্থান ও আয়তন

সম্পাদনা

এই উপজেলার উত্তরে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা, দক্ষিণে জগন্নাথপুর উপজেলা, পূর্বে ছাতক উপজেলাজগন্নাথপুর উপজেলা, পশ্চিমে দিরাই উপজেলাজামালগঞ্জ উপজেলা

প্রশাসনিক এলাকা

সম্পাদনা

শান্তিগঞ্জ উপজেলায় বর্তমানে ৮টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম শান্তিগঞ্জ থানার আওতাধীন।[]

ইউনিয়নসমূহ:

দর্শনীয় স্থানসমূহ

সম্পাদনা
  • পাগলা জামে মসজিদ
  • পাগলা সড়ক
  • জনপথ বিভাগের ডাকবাংলো
  • হিজল-করচ বাগ
  • দেখার হাওর
  • শান্তিগঞ্জ হ্যাচারি
  • সংহাই হাওর
  • রাধামাধব জিওর আখড়া–পাথারিয়া
  • শাহ আয়ুব আলীর মাজার
  • বড় বিল মৎস প্রজনন কেন্দ্র

জনসংখ্যার উপাত্ত

সম্পাদনা

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০০১ সালে ছাতক উপজেলার জনসংখ্যা ১,৮৩,৮৮১ জন। প্রতি বর্গ কি: মি: এ লোক সংখ্যার ঘনত্ব প্রায় ৬৪৩ জন।

শিক্ষা

সম্পাদনা

শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৩১.১৬%; পুরুষ ২৮.৪৫%, মহিলা ২৭.৫১%। কলেজ ১, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৩, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৯৫, মাদ্রাসা ৫। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ: পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়, নোয়াখালী সপ্তগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়, গণিনগর ষোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়, ডুংরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, জয়কলস উজানীগাঁও রশিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, সুরমা উচ্চ বিদ্যালয়, পূর্ব পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়, পাইকাাপন সরকারি


প্রাথমিক বিদ্যালয়, উজানীগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আক্তাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হরিনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাগলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সদরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডুংরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মানিকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাথারিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, গনীগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বীরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রনসী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চিকারকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, জামেয়া ইস. হাজী আক্রাম আলী দাখিল মাদ্রাসা, আমরিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা।

অর্থনীতি

সম্পাদনা

উপজেলার অধিকাংশ মানুষ কৃষি ও মাছ ধরা কাজের উপর নির্ভরশীল। কৃষিপণ্যের মধ্যে ধান আর পাটের বিপুল আবাদ রয়েছে। এছাড়া আছে হাওর ভরা মাছ। পাশাপাশি উপজেলার প্রচুর লোক বহির্দেশে বসবাস করায় তাদের পাঠানো রেমিট্যান্সের উপরও এলাকার অর্থনীতি নির্ভরশীল।

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি

সম্পাদনা

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "আঞ্চলিক পরিচিতি"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০১৫ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "দেশে নতুন উপজেলা হচ্ছে ৩টি"রাইজিংবিডি.কম। ২৬ জুলাই ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০২১ 
  3. "ইউনিয়নসমূহ - দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা"southsunamganj.sunamganj.gov.bd। জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ৩১ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০২০ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা