শহীদ আইভি রহমান পৌর ষ্টেডিয়াম
শহীদ আইভি রহমান পৌর ষ্টেডিয়াম বা শহীদ আইভি রহমান পৌর স্টেডিয়াম[১] (ভৈরব স্টেডিয়াম নামেও পরিচিত), বাংলাদেশের একটি উপজেলা পর্যায়ের স্টেডিয়াম। স্টেডিয়ামটি কিশোরগঞ্জ-ভৈরব মহাসড়কের পূর্ব পাশে অবস্থিত। বর্তমানে এই স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের জাতীয় দিবসসমূহের কর্মসূচী পালন, আন্তঃস্কুল ও কলেজ পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিযোগিতা আয়োজন[২] এবং ফুটবল,[৩] ক্রিকেট ও অন্যান্য খেলার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। মূলত ক্রিকেট মাঠের আকৃতি হলেও সব ধরনের খেলার জন্যই স্টেডিয়ামটি ব্যবহৃত হচ্ছে। স্টেডিয়ামের পূর্ণাঙ্গ নির্মাণ শেষ হলে এখানে একটি ক্রিকেট একাডেমি করার পরিকল্পনা রয়েছে।[৪] বাংলাদেশের অন্যান্য ক্রীড়া ভেন্যুর মতই এই স্টেডিয়ামটি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধিভুক্ত এবং উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা ও ভৈরব পৌরসভার[৫] তত্ত্বাবধায়নে রয়েছে।
ভৈরব স্টেডিয়াম ভৈরব পৌর স্টেডিয়াম | |
বাংলাদেশ মানচিত্রে স্টেডিয়ামের অবস্থান | |
পূর্ণ নাম | শহীদ আইভি রহমান পৌর ষ্টেডিয়াম |
---|---|
প্রাক্তন নাম | ভৈরব স্টেডিয়াম |
অবস্থান | ভৈরব, কিশোরগঞ্জ, বাংলাদেশ |
স্থানাঙ্ক | ২৪°০৩′৫৯.০০″ উত্তর ৯০°৫৮′৩৮.৪০″ পূর্ব / ২৪.০৬৬৩৮৮৯° উত্তর ৯০.৯৭৭৩৩৩৩° পূর্ব |
মালিক | জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ |
পরিচালক | ভৈরব উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা ভৈরব পৌরসভা |
ক্ষেত্রফল | ৩ একর |
উপরিভাগ | ঘাস |
স্কোরবোর্ড | আছে |
নির্মাণ | |
নির্মিত | ডিসেম্বর, ২০১৭ - ডিসেম্বর, ২০১৮ |
নির্মাণ ব্যয় | ২০১৬: ৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ২০১৮: ৪৫ লক্ষ টাকা |
সাধারণ ঠিকাদার | মেসার্স ভূইয়া এন্ড ভূইয়া ডেভেলপার মেসার্স খলিলুর রহমান রাজু এন্টারপ্রাইজ বিইজেবি |
কাঠামো ও বৈশিষ্ট্য
সম্পাদনাস্টেডিয়ামের মাঠ গোলাকার এবং তিন একর ভূমির উপর নির্মিত।[৬] ক্রিকেট, ফুটবল খেলা আয়োজন করার পাশাপাশি অন্যান্য খেলাধুলা আয়োজনের উপযোগী। পূর্ণাঙ্গ আধুনিক প্যাভিলিয়ন রয়েছে। রয়েছে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য আধুনিক সুবিধা। পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য পৃথক পৃথক আধুনিক সুবিধা সংবলিত নামাজের স্থান রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৭০০ ফুট বাদে পূর্ব অংশে গ্যালারি নির্মাণ করা হয়নি। বর্তমানে স্টেডিয়ামে গ্যালারিতে প্রবেশের জন্য ছয়টি প্রবেশমুখ রয়েছে।
নির্মাণ ও ইতিহাস
সম্পাদনাজাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের ১১টি উপজেলায় পূর্ণাঙ্গ স্টেডিয়াম নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। এটি সেগুলির মধ্যে একটি।[৭] ২০১৬ সালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ স্টেডিয়ামটিতে দ্বিতল প্যাভিলিয়ন ভবন নির্মাণসহ মাঠ উন্নয়ন, গ্যালারি, ড্রেন, চারদিকে দেয়াল ও গ্রিল নির্মাণ এবং মাটি ভরাট বাবদ ৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া[৫] ১৫ জুলাই,২০১৬তে এই স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করা হয়[৪] মেসার্স ভূইয়া এন্ড ভূইয়া ডেভেলপার ও মেসার্স খলিলুর রহমান নামে দুটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ শুরু করে এবং চার কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭০০ ফুট গ্যালারি নির্মাণ করে এবং তিন কোটি ৬৭ লাখ টাকা ব্যয়ে প্যাভিলিয়ন, সীমানাপ্রাচীর ও মাঠ উন্নয়নের কাজ করে রাজু এন্টারপ্রাইজ এবং বিইজেবি নামক দুইটি প্রতিষ্ঠান।[৮] ডিসেম্বর, ২০১৭ তে অনিয়মের অভিযোগে স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ বন্ধ রাখা হয়েছিল।[৯] ইতোমধ্যে স্টেডিয়ামের বেদখল হয়ে যাওয়া ভূমি উদ্ধার করা হয়।[১০][১১] নভেম্বর, ২০১৮-এর মধ্যে স্টেডিয়ামের প্রাথমিক নির্মাণ কাজ শেষ হয়।[৫] ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এই স্টেডিয়ামের জন্য আরো ৪৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়।[১২]
আয়োজন
সম্পাদনাএই স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসে কুচকাওয়াজ, শিশু সমাবেশ, শরীরচর্চা প্রদর্শনী এবং মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।[২][১৩][১৪]
উল্লেখযোগ্য আয়োজন
সম্পাদনাঅন্যান্য ব্যবহার
সম্পাদনাখেলাধুলা ছাড়াও এই স্টেডিয়াম জনসমাবেশ ও অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত হয়েছে।
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "সুনসান 'আইভি ভবন' রায়ে রুষ্ট ভৈরববাসী"। কালের কণ্ঠ। ২০১৯-০৮-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৮।
- ↑ ক খ "ভৈরবে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন"। banglanews24.com। ২০১৯-০৮-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৮।
- ↑ "ভৈরবে বঙ্গমাতা ফুটবল"। দেশ রূপান্তর। ২০১৯-০৮-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৮।
- ↑ ক খ "ভৈরবে আইভি রহমান স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ শুরু"। jugantor.com। ২০১৬-০৭-১৬। ২০১৯-০৮-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৮।
- ↑ ক খ গ "উদ্বোধনের অপেক্ষায় শহীদ আইভি রহমান স্টেডিয়াম | Purboposhchimbd"। Purboposchim। ২০১৯-০৬-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৯।
- ↑ "উন্নয়ন পুঁজি করে বিজয়ী হতে চায় আওয়ামী লীগ"। আলোকিত বাংলাদেশ। ২০১৮-১২-২৫। ২০১৯-০৮-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৮।
- ↑ ইসলাম, রফিকুল (২০২৪-০২-০৫)। "শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম প্রকল্প হাজার হাজার কোটি টাকার স্থাপনা রক্ষণাবেক্ষণে নেই কোনো বরাদ্দ"। জাগো নিউজ। ২০২৪-০২-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০৩।
- ↑ "ভৈরবে ৭৩ কোটি টাকায় তৈরি হচ্ছে বিসিক শিল্পনগরী"। কালের কণ্ঠ। ২০১৯-০৮-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৮।
- ↑ "স্টেডিয়াম নির্মাণে অনিয়ম"। jugantor.com। ২০১৯-০৮-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৮।
- ↑ "স্টেডিয়ামের জায়গা উদ্ধার"। প্রথম আলো। ২০১৯-০৮-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৮।
- ↑ "ভৈরবে স্টেডিয়ামের জায়গা দখলমুক্ত"। এনটিভি। ২০১৮-০৭-২৯। ২০১৯-০৮-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৯।
- ↑ "যুব ও ক্রীড়ায় বাজেট বেড়েছে তিনশ' কোটি টাকা"। Jugantor। ২০১৯-০৮-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৯।
- ↑ "ভৈরবে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত"। ArthoSuchak। ২০১৭-০৩-২৬। ২০১৯-০৮-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৯।
- ↑ "যথাযোগ্য মর্যাদায় সারা দেশে মহান স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন"। এনটিভি। ২০১৯-০৩-২৬। ২০১৯-০৮-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৯।
- ↑ "ভৈরবে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত"। এনটিভি। ২০১৯-০৮-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৮।
- ↑ "ভৈরবে বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত"। onenews24bd.com। ২০১৯-০৭-১৬। ২০২১-০১-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৯।
- ↑ "ভৈরবে প্রথম জানাজা ১০টায়, কলেজ মাঠে মানুষের ঢল"। banglanews24.com। ২০১৩-০৩-২১। ২০১৯-০৮-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৮।
- ↑ "ভৈরবকে জেলা করার প্রক্রিয়া চলছে: রাষ্ট্রপতি"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২০১৯-০৮-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৮।
- ↑ "ছোট ও দেশি গরুর চাহিদা পশুর হাটে"। সমকাল। ২০১৫-০৯-২১। ২০১৯-০৮-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৮।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ভৈরব উপজেলা খেলাধুলা ও বিনোদন ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৫ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে