লোহাচরা দ্বীপ

পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার সাগর সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের একটি গ্রাম

লোহাচরা দ্বীপ একটি দ্বীপ ছিল, যা ১৯৮০ সালে স্থায়ীভাবে প্লাবিত হয়েছিল।[১] এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নিকটবর্তী সুন্দরবন ব-দ্বীপের অংশ হিসাবে হুগলি নদীতে অবস্থিত। ২০০৬ সালের ডিসেম্বর মাসে ভারতীয় গবেষকরা দ্বীপটির সুনির্দিষ্টভাবে নিখোঁজ হওয়ার কথা জানিয়েছেন,[২] যার ফলে আন্তর্জাতিক প্রেসের কভারেজ তৈরি হয়েছিল। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে দ্বীপটি স্থায়ীভাবে ডুবে গেছে (এবং এটি বিনষ্ট হয়নি) প্রমাণ করার জন্য কোনও নির্দিষ্ট অধ্যয়ন কখনও করা হয়নি।[৩] ২০০৯ সালের এপ্রিলে স্থানীয় সংবাদপত্রগুলি ঘোষণা করে যে লোহাছড়া দ্বীপ আবার জল থেকে উত্থিত হয়েছে [৪]

লোহাচরা দ্বীপ ১৯৫৪ সালের মানচিত্র (ইংরেজি:Island) হুগলি নদীর তীরে.

সংক্ষিপ্ত বিবরন সম্পাদনা

লোহাচরা হল বিলুপ্তপ্রায় ক্ষুদ্র ব-দ্বীপের অংশগুলি একটি। গত দুই দশকে চারটি দ্বীপ বেডফোর্ড, লোহাচরা, দক্ষিণ তালপট্টি (ভারত-বাংলাদেশের বিরোধপূর্ণ দ্বীপ),বাঁশগাড়ী নিশ্চিতভাবে প্লাবিত হয়েছে।এই গুলির মধ্যে একমাত্র লোহাচড়া ছিল একমাত্র দ্বীপ যেখানে ছয় হাজার জনের বেশি লোক বসবাস করত। এই ভূমি হারিয়ে যাওয়ায় হাজারেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এই ক্ষুদ্র বদ্বীপটি হারিয়ে যাওয়ার অনেক কারণ রয়েছে যেমন: উপকূলীয় ভাঙন,সমুদ্র স্তর বৃদ্ধি, উপকূলীয় ঘূর্ণিঝড় (যদিও ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা কমেছে,তবে তীব্রতা বেড়েছে) ম্যানগ্রোভের বিনাশ, উপকূলীয় বন্যা ইত্যাদি।।১৯৭৪ সাল থেকে ফারাক্কা ব্যারাজ শুকনো মরসুমে হুগলি নদীর তীরে জল ফেলা শুরু করে। প্রতিটি বর্ষা মৌসুমে প্রায় সমস্ত বাঙালি ব-দ্বীপ অর্ধ বছরের জন্য ডুুুুবে থাকে।আসন্ন বছরগুলিতে গঙ্গার ব-দ্বীপে বসবাসকারী জনগণকে এই অঞ্চলের ডুবে যাওয়ার ফলে সমুদ্রের জলের উত্থানজনিত হুমকি মোকাবেলা করতে হবে।কখনও কখনও তীব্র বন্যা দেখা দেয়,তাই বাসিন্দাদের নদী ব-দ্বীপে গড়ে তুলতে যত্নবান হতে হবে।১৯৯০-এর একটি সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে যে "হিমালয়ের পরিবেশগত অবনতি" বা সমুদ্রপৃষ্ঠে 'গ্রিনহাউস' প্রভাবের কারণে বাংলাদেশে বন্যার প্রবণতা বেড়েছে এমন কোনও প্রমাণ নেই।"[১০] নব্য-টেকটনিক প্লেটের সঞ্চালনের কারণে বেঙ্গল বেসিন ধীরে ধীরে পূর্ব দিকে ঝুঁকছে। ফলস্বরূপ,বাংলাদেশ সুন্দরবনের লবণাক্ততা ভারতীয় সুন্দরবনের তুলনায় অনেক কম।[১১]

সুন্দরবনের সামগ্রিক জনসংখ্যা ২০০% বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৩ মিলিয়ন। [১২]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা