লেডি গাগা: কুইন অব পপ
লেডি গাগা: কুইন অব পপ আমেরিকান গায়িকা লেডি গাগার একটি জীবনীগ্রন্থ। গ্রন্থটি রচনা করেছেন এমিলি হার্বার্ট (ভার্জিনিয়া ব্ল্যাকবার্নের ছদ্মনাম)। বইটি যুক্তরাজ্যে প্রকাশ করে জন ব্ল্যাক পাবলিশিং এবং যুক্তরাষ্ট্রে লেডি গাগা: বিহাইন্ড দ্য ফেম নামে প্রকাশ করে অভারলুক প্রেস। বইটিতে গায়িকার জন্ম, প্রাথমিক জীবন ও গায়িকা হিসেবে কর্মজীবন শুরুর বর্ণনা রয়েছে।
লেখক | এমিলি হার্বার্ট |
---|---|
দেশ | যুক্তরাজ্য |
ভাষা | ইংরেজি |
বিষয় | লেডি গাগা |
ধরন | জীবনী |
প্রকাশক | জন ব্ল্যাক পাবলিশিং |
প্রকাশনার তারিখ | ২০১০ |
মিডিয়া ধরন | পেপারব্যাক |
পৃষ্ঠাসংখ্যা | ২৮৮ |
আইএসবিএন | ১-৮৪৪৫৪-৯৬৩-১ |
ওসিএলসি | ৫১৫৪৫৯৮৩৫ |
পটভূমি
সম্পাদনাএমিলি হার্বার্ট ব্রিটিশ সাংবাদিক ভার্জিনিয়া ব্ল্যাকবার্নের ছদ্মনাম।[১] ব্ল্যাকবার্ন লেডি গাগাকে নিয়ে ডেইলি এক্সপ্রেস[২] ও হেরাল্ড সান[৩] পত্রিকায় সংবাদ করেছেন। অভারলুক প্রেস বলে এটি লেডি গাগাকে নিয়ে লেখা প্রথম জীবনী গ্রন্থ।[৪]
বিষয়বস্তু
সম্পাদনা২৮৮ পৃষ্ঠার লেডি গাগা: কুইন অব পপ বইটিতে ৩২ পৃষ্ঠা লেডি গাগার ছবি রয়েছে।[৫][৬] লেখিকা ম্যাডোনার সাথে লেডি গাগার তুলনা করে বলেছেন দুজনেই স্বাধীন এবং তাদের ভবিষ্যতের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য গান করেন। বইটিতে লেডি গাগার প্রাথমিক জীবন, তার বাবার কাছে নিউ ইয়র্ক সিটিতে বেড়ে ওঠার গল্প রয়েছে। লেডি গাগা ১৯৮৬ সালের ২৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রকৃত নাম স্টেফানি জোয়ান অ্যাঞ্জেলিনা জার্মানোত্তা। ১১ বছর বয়সে তিনি কনভেন্ট অফ স্যাক্রেড হার্ট হাই স্কুলে ভর্তি হন। প্যারিস হিল্টনও সেই স্কুলে পড়তেন।[২] জার্মানোত্তা তার ভিন্ন ধাঁচের নাচ, মাদকাসক্তি ও উভয়-কামীতা জন্য সহপাঠিদের কাছে তেমন জনপ্রিয় ছিলেন না। ১৩ বছর বয়সে তিনি তার প্রথম গান লিখেন এবং তার মা তাকে ওপেন-মাইক ইভেন্টে গান গাওয়ার জন্য একটি নাইট ক্লাবে নিয়ে যান। জার্মানোত্তা ১৭ বছর বয়সে নিউ ইয়র্কের তিস্চ স্কুল অফ দ্য আর্টসে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান, কিন্তু সেখানে বেশিদিন পড়াশোনা করেন নি এবং গো-গো নৃত্যশিল্পী হিসেবে কাজ করার সময়ে মাদক গ্রহণ করা শুরু করেন। তার বাবার সাথে এ বিবাদ হওয়ার পর তিনি এ ধরনের আচরণ পরিত্যাগ করেন।[২]
জার্মানোত্তা নতুন নাম "লেডি গাগা" গ্রহণ করেন। গাগা নামকরণ করা হয় রক গ্রুপ কুইনের গান "রেডিও গা গা" থেকে।[২] তিনি ভাবেন নতুন পরিচয় দিয়ে তিনি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবেন। তার প্রথম অ্যালবাম দ্য ফেম ২০০৮ সালের আগস্টে প্রকাশিত হয়। এই অ্যালবামের "পোকার ফেস" ও "জাস্ট ড্যান্স" গান দুটি হিটের তকমা লাভ করে। এসময়ে তার ছেলে বন্ধু লুকের সাথে তার বিচ্ছেদ হয়ে যায়। লুক একজন হেভি মেটাল ড্রামার।[২] লেডি গাগা তার গান ও কাজ চালিয়ে যান। দ্য ফেম বিশ্বব্যাপী সাফল্য লাভ করে এবং গাগা তার গ্রুপ "হাউজ অফ গাগা" গঠন করেন। এই গ্রুপের কাজ হল শব্দ পরিকল্পনা, পোশাক পরিকল্পনা ও স্টেজ প্রোডাকশন। ২০০৯ সালের মে মাসে তাকে রোলিং স্টোন-এর কভারে দেখা যায় এবং টেক দ্যাট ও পুসিক্যাট ডলস্ ব্যান্ডের সাথে বিশ্ব ভ্রমণে গান করেন।[২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Blackburn, Virginia (জানুয়ারি ১৭, ২০১০)। "Katie Price's life? It's a price worth paying"। The Observer। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ Herbert, Emily (ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১০)। "Lady Gaga – I've always been a freak"। ডেইলি এক্সপ্রেস। পৃষ্ঠা 24।
- ↑ Herbert, Emily (মার্চ ৭, ২০১০)। "The lady who is sending us gaga"। হেরাল্ড সান। পৃষ্ঠা 90; Focus। ওসিএলসি 22992790।
- ↑ "Lady Gaga"। Madata.GR (Greek ভাষায়)। ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
- ↑ Kellogg, Carolyn (ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১০)। "Lady Gaga bio is on the way"। Los Angeles Times। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
- ↑ Jones, Anthony (ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১০)। "First Lady Gaga Biography Releasing In March"। All Headline News। ৩ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।