লিশিপা হল উত্তর-পূর্ব ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্য অরুণাচল প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত একটি উপজাতি গোষ্ঠী। এরা সাধারণত অরুণাচলের পশ্চিম কামেং জেলার বিস্তৃত দিরাং উপত্যকা অঞ্চলে বসবাস করে। এরা জাতিগতভাবে চুগপা এবং মনপা উভয়ের সাথে সম্পর্কিত এবং তারা আনুষ্ঠানিকভাবে মনপা উপজাতি হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ।[] কিন্তু এদের কথিত ভাষার উৎস পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখা গেছে যে অরুণাচলের অন্যান্য বেশ কিছু ঐতিহ্যশালী জনজাতি যেমন শেরডুকপেন, সুলুং এবং বুগুন ইত্যাদি জনজাতির সাথে এদের অনেক ভাষাগত মিল বর্তমান। এই ভাষাগত বৈশিষ্ট্য এদের মনপাদের থেকে আলাদা এক স্বতন্ত্র পরিচয় প্রদান করেছে। লিশিপারা অরুণাচল প্রদেশের এক গুরুত্বপূর্ণ উপজাতি গোষ্ঠী।[]

প্রচলিত তথ্য অনুযায়ী তিব্বত থেকে প্রথমদিকে যেসকল অভিবাসীরা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের অরুণাচল প্রদেশে এসে বসতি স্থাপন করেছিল লিশিপারা তাদেরই বংশধর। উপজাতি হিসাবে অরুণাচলের অধিবাসী মনপা উপজাতিদের তুলনায় এদের সামাজিক মর্যাদা কম। লিশিপারা পাথর এবং কাঠ দিয়ে তাদের বাড়ি তৈরী করে। তাদের বড়ির মেঝে তৈরি হয় কাঠের তক্তা দিয়ে। তারা বাঁশের ছাউনি দিয়ে বাড়ির ছাদ তৈরী করে। মনপাদের ন্যায় লিশিপা উপজাতির লোকেরাও মূলত তিব্বতি বৌদ্ধধর্ম অনুসরণ করে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

স্থানীয় অন্যান্য জনগোষ্ঠীর ভাষার সাথে লিশিপাদের ভাষাকেও একই শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই বিশেষ শ্রেণীভুক্ত ভাষার নাম খো-বওয়া। এই ভাষায় তিব্বতীয় ভাষার প্রভাব ও সাথে সাথে বর্মী ভাষার প্রভাবও লক্ষ্য করা যায়। তাই মনে করা হয় এটি সম্ভবত তিব্বত-বর্মা ভাষার অপভ্রংশ থেকে সৃষ্ট।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]


তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Mahendra Lal Patel (১৯৯৭)। Awareness in Weaker Section: Perspective Development and Prospects। M.D. Publications Pvt. Ltd.। পৃষ্ঠা 253। আইএসবিএন 81-7533-029-5 
  2. Christopher Moseley (২০০৭)। Encyclopedia of the World's Endangered LanguagesRoutledge। পৃষ্ঠা 297আইএসবিএন 978-0-7007-1197-0